মিরসরাইয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 20th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি কারখানায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আকবর সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদাবাজীর ঘটনায় কারখানাটির পরিচালক কামরুল হোসাইন মঙ্গলবার (২০ মে) সোহাগকে প্রধান আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সোহাগ মিরসরাই উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের বাড়িয়াখালী এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে।
আরো পড়ুন:
আটঘরিয়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, গ্রেপ্তার নেই
নাশকতা মামলায় সাংবাদিক ও আ.
জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় হামলা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুল হোসাইন ১২ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় সোহাগকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে শওকত আকবর সোহাগের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে করে যাওয়া কিছু লোক বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় প্রবেশ করেন। তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার হাসিবুল হাসান চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় হাসিবুল হাসান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সামাদসহ কারখানায় কর্মরত স্টাফদের মারধর ও গুরুতর জখম করেন অভিযুক্তরা। তারা হাসিবুল হাসানের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান এবং চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর
গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।