জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর এক মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ফুটানি বাজার এলাকার যমুনা নদীতে লাশটি ভেসে ওঠে।

ওই মাঝির নাম সুমন দাস (২২)। তিনি চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের হলকার চর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম সুরেন চন্দ্র দাস।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে সুমন দাস ফুটানি বাজার ঘাট থেকে নৌকায় যাত্রী নিয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন। মাঝপথে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হলে তিনি নৌকাটি উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় নদীর তীরে ভেড়ান। এ সময় নৌকা বাঁধতে গিয়ে তিনি নদীর পাড়ে ওঠেন। হঠাৎ করে পাড় ধসে পড়লে সুমন নদীতে পড়ে যান এবং স্রোতের মধ্যে তলিয়ে যান। প্রথমে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালালেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন ফুটানি বাজার এলাকায় যমুনা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে নৌকা নিয়ে উদ্ধার করেন। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেটি নিখোঁজ সুমন দাসের লাশ।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, নদীতে ভেসে ওঠা লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি সুমন দাসের লাশ বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মন দ স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে পাসের হার 

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বোর্ড মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: শামছুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ বছর মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের ৮৮ দশমিক ০১ শতাংশ, মানবিকে ৪৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ -৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা। 

ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার, শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জিপিএ-৫ কমেছে। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ ছিল ১২ হাজার ১০০ জন এবং শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৯৮টি এ বছর মাত্র ২২টি। ফলাফল ঘোষণার সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাসছীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ