বরিশালে মেডিকেল ছাত্রের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার
Published: 25th, May 2025 GMT
অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পারায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্র সজীব বাড়ৈই আত্মহত্যা করেছেন। নিজেই শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে তিনি আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তিনি চিরকুটে এর কারণ জানিয়ে গেছেন।
রবিবার (২৫ মে) সকালে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের পারিবারিক শশ্মানে নিহত সজীবের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় ওই এলাকায় শোক নেমে আসে।
সজীবের প্রতিবেশী সাংবাদিক ওমর আলী সানী জানান, নিহত সজীব বাকাল গ্রামের বাসিন্দা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত সুধীর বাড়ৈর ছেলে। সজীবের বাবা আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের সাথী টেইলার্সের মালিক। দীর্ঘদিন তিনি ব্রেন টিউমারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্যব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আসেন। পরিবারের বড় সন্তান সজীব। এলাকার বিত্তশালীদের সহযোগিতায় তার পড়াশুনা চলছিল।
আরো পড়ুন:
রোগী সেজে জামালপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪
নিহত সজীবের রুমমেট সুমন হালদার জানান, পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে নিজের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেছেন সজীব বাড়ৈ। পড়াশুনার অতিরিক্ত চাপে সজিব প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তিনি তৃতীয়বর্ষের মাইক্রোবায়োলজিতে আটকে ছিলেন। তার ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সবাই এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নশিপ করছেন। গত ২২ মে দিবাগত রাতে শিরায় বিষাক্ত ওষুধ পুশ করেন তিনি। সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৪ মে) বিকেলে সজীব বাড়ৈ মারা যান।
সুমন হালদার আরো জানান, সজীব বাড়ৈ ৫০তম ব্যাচের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে সজীব একটি চিরকুট লিখে গেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘‘নিজের সাথে যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত আমি। একটু বিশ্রাম চাই। ক্ষমা করে দিও। এত ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারলাম না।’’
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার জানান, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে সজীব কিছুদিন আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মুমূর্ষু অবস্থায় সজীবকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপের সিইও হলেন শাহাদাৎ হোসেন
দেশের আবাসন ও পর্যটন খাতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে শাহাদাৎ হোসেন বাহারকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বুধবার (৯ জুলাই) গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপের সঙ্গে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুক্ত থাকা শাহাদাৎ হোসেন বাহার রিয়েল এস্টেট ও পর্যটন শিল্পে টেকসই বিনিয়োগ এবং প্রবাসীবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক মানের পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণে দেশের শীর্ষে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের হিমছড়িতে “বে-হিলস” হোটেলটির উদ্বোধন শিগগিরই হতে যাচ্ছে।
রিয়েল এস্টেট খাতে প্রায় তিন দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শাহাদাৎ হোসেন বাহার ১৯৯৭ সালে এমবিএ শেষ করে এই খাতে যাত্রা শুরু করেন। বরিশাল জেলার সন্তান ও বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাহার বর্তমানে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, বরিশাল এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন, ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সসহ বহু সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
পেশাগত জীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত শাহাদাৎ হোসেন বাহার ২০২৩ সালে কলকাতায় “আইকনিক অ্যাওয়ার্ড” এবং ২০২৪ সালে নিউইয়র্কে “লিডারশিপ অ্যান্ড বিজনেস অ্যাওয়ার্ড” লাভ করেন। প্রবাসীদের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের ধারণা ও ‘ট্যুরিজম বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপের সিইও হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণে দেশের আবাসন ও পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/ইভা