সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাংবাদিক তোফাজ্জলকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
Published: 25th, May 2025 GMT
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরপ আলোকিত শীতলক্ষ্যার সম্পাদক সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা মো. তোফাজ্জল হোসেনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে রাজধানী ঢাকার শিশু কল্যাণ পরিষদ সেমিনার হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নজরুলের সৈনিক জীবন, বিদ্রোহী কবিতার প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা, কবিতাপাঠ ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাতীয় পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটি (জাপমাস) এর চেয়ারম্যান ও কবি, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আতিক আজিজের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড.
এসময় কবি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ গুনিজনদেরকে বিভিন্ন অবধানের স্বীকৃতি স্বরূপ সংবর্ধনা প্রদান করেন অনষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ।
ছড়াকার টিমুনী খান রীনোর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, সাহিত্যিক আসলাম সানী, প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, কথা সাহিত্যিক আরিফ মঈনুদ্দিন, জাতীয় পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এম.এম কামাল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। আজ শুক্রবার রাতে তাঁরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মী শনাক্ত হয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়আজ রাত ১০টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, আধিপত্যবাদবিরোধী মঞ্চ, বিল্পবী সাংস্কৃতিক মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলপরবর্তী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আহসান লাবিব।
সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান বলেন, ‘গত ৯ মাসে বিএনপির অন্তঃকোন্দলের কারণে প্রায় দেড় শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এই বাংলাদেশে আর হতে দেব না। আপনারা যদি না শোধরান, তাহলে হয়তো আগামীতে আপনাদের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হবে, কিন্তু কত দিন ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, সেটা ছাত্র-জনতা আবার ঠিক করে দেবে।’
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি শাফায়েত মীর বলেন, ‘আবার যারা আওয়ামী লীগের পুরোনো বন্দোবস্ত চালু করতে চায়, আবার চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন করতে চাচ্ছে, সেই দলকে আমরা বলব, চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করুন, আমরা ভিক্ষা দেব। কিন্তু আমরা আপনাদের জুলুম, নির্যাতন, খুন মেনে নেব না। প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামব।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘বিএনপি যদি এই খুন, রাহাজানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হয়তো সেদিন বেশি দূরে নেই, যে পথে আমরা লীগকে পাঠিয়েছি, সেই পথে ফ্যাসিবাদী আমলে আমাদের সহযোদ্ধা বিএনপিকেও হয়তো হাঁটতে হবে।’
পুরান ঢাকায় নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার রাত আটটায় ক্যাম্পাসে