চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে চক্ষু হাসপাতাল পরিচালক অবরুদ্ধ
Published: 28th, May 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনে আহত একদল যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টার মতো পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন। এ সময় একাধিক ব্যক্তি গায়ে কেরোসিন ও পেট্রোল ঢেলে আত্মাহুতির হুমকি দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ডা.
তিনি বলেন, ‘আহতদের মধ্যে অনেক কোন্দল আছে। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’
হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘তারা বলেছেন, তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আমি যেন বিদেশে পাঠানোর নামের তালিকা করি। কিন্তু এটা তো হওয়ার কথা নয়। এখানে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে, তারাই নির্ধারণ করে কারা বিদেশে যাবে, তো এসব বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল।
‘তাদের মধ্যে আকতার হোসেন নামে একজন আবার পেট্রল নিয়ে এসেছিলেন। যে কারণে আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই, কোনো দুর্ঘটনা ঘটায় কিনা। বিষয়টি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলে তারা সরে যায়। এর আগেই আমি আহতদের একটা অংশের সহায়তায় কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি।’
ঘটনাস্থলে থাকা জুলাই আহতদের একজন বলেন, ‘ওইদিন যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তারাই আজ পরিচালকের কার্যালয়ে আসে। সেখানে নানা কথাবার্তা বলতে বলতে আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সঙ্গে পেট্রল নিয়ে আসে। এখন সব ঠিক আছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
মস্কো থেকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
অন্তর্বর্তী সরকার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামকে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি ফেসবুক পোস্টে সরাসরি ওই নিয়োগের সমালোচনা করেছেন রাশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স-সিডিএ) মো. ফয়সাল আহমেদ। সরকারের রীতি-নীতি ভঙ্গ করে সরাসরি নীতিনির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্তের সমালোচনার জন্য মো. ফয়সাল আহমেদকে গতকাল মঙ্গলবার ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত সোমবার মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে।
ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, আগামী সপ্তাহের শুরুতে তাঁকে ঢাকায় ফিরতে হবে।
মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজের পর দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো. নিয়াজ মোর্শেদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ মে ফয়সাল আহমেদ ফেসবুকে লেখেন, ‘হযবরল সেগুনবাগিচায় কে পররাষ্ট্রসচিব হবেন, নিশ্চিত নয়। একজন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে ১০ জন সচিবকে ডিঙিয়ে কেন তড়িঘড়ি করে পররাষ্ট্রসচিব করা হচ্ছে বোধগম্য নয়। আসাদ আলম সিয়াম শেখ হাসিনার লয়ালিস্ট হিসেবে তিন বছর চিফ অব প্রটোকল ছিলেন। আওয়ামী লীগের ইন্টারেস্ট সার্ভ (স্বার্থ রক্ষা) করার জন্যই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসাদ আলম সিয়ামকে নির্বাচনকালীন সময়ে পররাষ্ট্রসচিব করতে চান।’