চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিচে নামল
Published: 27th, May 2025 GMT
চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিচে নেমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার বিবিএস ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাময়িক হিসাব দিয়েছে। সেখানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮-৯ মাসের প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধির এ সাময়িক হিসাব করা হয়েছে বলে বিবিএসের কর্মকর্তারা জানান।
কোডিডের বছর, অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের পর জিডিপির প্রবৃদ্ধি আবার ৪ শতাংশের নিচে নামল। কোডিডের বছরে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ থাকায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। কোভিডের সময়ের বিশেষ পরিস্থিতি বাদ দিলে গত দুই দশকের মধ্যে এত কম প্রবৃদ্ধি আর কোনো বছরে হয়নি।
বিবিএস বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জিডিপিতে কৃষি ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কৃষি খাতে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এবার প্রবৃদ্ধি কমবে, এমন পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস হলো ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প রব দ ধ ৩ দশম ক ব ব এস বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।
এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।
ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।