প্রথম দেখায় বুমরার কাছে পাত্তা না পাওয়া মেয়েটিই এখন তাঁর স্ত্রী
Published: 1st, July 2025 GMT
২০১৯ সালের ঘটনা। ইংল্যান্ডে চলছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সঞ্জনা গণেশান তখন কাজ করছেন সম্প্রচারক হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই সব ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় ছিল তাঁর। সৌজন্যের খাতিরে মাঠে সবাই হেসে ‘হাই’ বলতেন তাঁকে। শুধু একজন ছিলেন ব্যতিক্রম।
যশপ্রীত বুমরা যেন তাঁকেই পাত্তাই দিতেন না। অথচ এর দুই বছর পর সেই বুমরার সঙ্গেই বিয়ে হয় সঞ্জনার। দুজনের প্রথম দেখার সেই গল্প ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং ও তাঁর স্ত্রী গীতা বসরার ইউটিউব চ্যানেলে শুনিয়েছেন বুমরা ও সঞ্জনা।
সঞ্জনা তখন ভেবেছিলেন, বুমরা হয়তো বিবাহিত অথবা প্রেমিকা আছে। নইলে মেয়েদের থেকে দূরে কেন থাকবেন! বুমরার দাবি, তিনি ছিলেন অনেক লাজুক। ২০১৯ বিশ্বকাপের ঘটনা নিয়ে সঞ্জনার ভাষ্য, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে আমি কাজ করছিলাম, তাই প্র্যাকটিস সেশনে নিয়মিতই যেতাম। ডিকে (দিনেশ কার্তিক) আর অন্য অনেক ক্রিকেটার আমাকে চিনত, ওরা খুব স্বাভাবিকভাবেই “হাই” বলত। আমি হেসে জবাব দিতাম, তারপর নিজের কাজে মন দিতাম। বুমরা একটা গোটা দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে, যাদের সবাই আমাকে “হাই” বলছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো সব অনুষদ ও বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে (সম্মান) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে ছয় অনুষদভুক্ত বিভাগের এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও চেক প্রদান করেন।
এ সময় উপাচার্য বলেন, “আজকের দিনটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজকের দিনের প্রাপ্ত সনদ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি মূল্যবান। সম্মাননা ও সনদ অর্জনের অনুপ্রেরণা শিক্ষার্থীদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্নাতক পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ: জবি ও কুবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
যবিপ্রবিতে ছাত্রীদের আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা এই সাফল্যের যথাযথ মূল্যায়ন আগামী দিনে পাবেন। শহীদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের মাধ্যমে এই বিদ্যাপীঠ আরো সমৃদ্ধি লাভ করবে।”
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনুষদগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী চারজন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এবং বিভাগসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১৭ জন শিক্ষার্থীকে মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক।
একাডেমিক শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন এবং রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও রংপুরের কে. মুশতাক অ্যান্ড হাসনা ইলাহি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে অধ্যয়নরত চারজন নারী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপের চেক প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী