2025-07-11@18:08:25 GMT
إجمالي نتائج البحث: 682

«র ঐকমত য»:

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তবে চাই, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যেন ত্রুটিমুক্ত হয়।’ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়ে খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আইনসভার মাধ্যমে প্রস্তাব করা বা নিয়োগের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।’ ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত পাওয়া...
    আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক যৌথ বিবৃতিতে যে ঘোষণা এসেছিল, তার বাস্তবায়ন হবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন বা জুলাই সনদের ভিত্তিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটা জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁর দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কোন কোন জায়গায় আলোচনা আটকে যাচ্ছে, তা–ও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।মনির হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার...
    লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে সংস্কারের অগ্রগতি সাপেক্ষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হবে। কমিশন সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অগ্রগতি জানালে, সরকার নির্বাচনে সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করবে।  বৃহস্পতিবার ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেছেন। বৈঠক সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মনির হায়দার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন ও প্রেস উইং থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ড. ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুদক সংস্কারে কমিশনের ১৬৬ সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সংলাপ চলছে। ঐকমত্যের...
    ছবি: প্রথম আলো
    মূল সংবিধান নয়, চতুর্থ তপশিলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে অন্তর্ভূক্ত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায় বিএনপি। ক্রান্তিকালীন বিধান-সংক্রান্ত এ তপশিলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকেও অন্তর্ভূক্ত চায় দলটি। যদিও এনসিপির দাবি ‘জুলাই ঘোষণা’ সংবিধানের প্রস্তবনায় রাখতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ দাবি নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, সংবিধান সাহিত্য নয়, আইন। একাত্তরের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই সংবিধানের মূল অংশে ছিল না। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সপ্তম তপশিলে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তা সাংবিধানিক নয়। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। বিএনপি চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে মর্যাদা ও গুরুত্ব ধারণ করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের এগারতম দিনের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এনসিপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র...
    মূল সংবিধান নয়, চতুর্থ তপশিলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে অন্তর্ভূক্ত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায় বিএনপি। ক্রান্তিকালীন বিধান-সংক্রান্ত এ তপশিলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকেও অন্তর্ভূক্ত চায় দলটি। যদিও এনসিপির দাবি ‘জুলাই ঘোষণা’ সংবিধানের প্রস্তবনায় রাখতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ দাবি নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, সংবিধান সাহিত্য নয়, আইন। একাত্তরের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই সংবিধানের মূল অংশে ছিল না। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সপ্তম তপশিলে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তা সাংবিধানিক নয়। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। বিএনপি চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে মর্যাদা ও গুরুত্ব ধারণ করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের এগারতম দিনের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এনসিপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ৩০টি রাজনৈতিক দলের আজকের সংলাপে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতির জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিধান বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।” আরো পড়ুন: দুই জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা ঢাকায় বেলারুশ দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার তিনি বলেন, “বর্তমানে সংবিধানে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হবে নাকি জ্যেষ্ঠ দুই জনের মধ্য থেকে কাউকে নির্বাচন করা হবে,...
    ৯ জুলাই বুধবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদারের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া ছাড়া ঐকমত্য কি টেকসই হবে’ নিবন্ধটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের অবতারণা করেছে। আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সেই প্রবন্ধে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় সমর্থক গোষ্ঠীর দলকে বাদ দিয়ে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে, তা টেকসই না-ও হতে পারে। তাঁর লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা, রুয়ান্ডা ও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের তত্ত্বের আলোকে একধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে।আমরা অবশ্যই স্বীকার করি, নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য আলোচনা ও অংশগ্রহণ জরুরি। কিন্তু জালাল উদ্দিন শিকদারের বিশ্লেষণ একটি বিপজ্জনক ভ্রান্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তিনি ‘অন্তর্ভুক্তি’ ও ‘দায়মুক্তি’র মধ্যকার মৌলিক পার্থক্যকে গুলিয়ে ফেলছেন। তাঁর উপস্থাপিত আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত ও তাত্ত্বিক কাঠামো বাংলাদেশের বাস্তবতার...
    রাষ্ট্রপতি ও বিচার বিভাগকে বাইরে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১১তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও বিচার বিভাগকে যুক্ত করার কারণে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে এখানে যুক্ত করার কারণে কেবল বিচার বিভাগ দলীয়করণ হয়নি, পুরো বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার মধ্যে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতিকে শেষ বিকল্প হিসেবে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে রাখা হয়েছিল। এর ব্যবহারও তাঁরা দেখেছেন। সে ব্যবহারে রাষ্ট্রপ্রধানকেও একটা বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে আরেকটা গুরুতর সংকট তৈরি করা হয়। এ কারণে তাঁরা তাঁদের দিক...
    ‘জুলাই সনদ’-এর তাগাদায় রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অমীমাংসিত ও মতানৈক্যর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান। দর-কষাকষিতে উত্থান-পতন থাকে, থাকে ক্লাইমেক্স।সব দলের আকার-ভর সমান নয়। সরকার গঠন–আকাঙ্ক্ষী দল বা দলগুলোর আর অন্য দলের সমীকরণও এক নয়। মানতে হবে, সরকার গঠন-আকাঙ্ক্ষীর পরিসরের ব্যাপ্তি বড়, তাদের গুরুত্বও অধিক। তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগত কারণেই তাদের দায়িত্ববোধও বেশি। বাস্তবতা ভুলে যাওয়া বা অস্বীকার করার চেষ্টা কালক্ষেপণ মাত্র।নির্বাহী বিভাগ নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে তর্কবিতর্ক প্রাসঙ্গিক। পতিত সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহির দায় না থাকায় রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ‘মানি মেকার’ ও ‘রুল মেকারের’ যোগসাজশে একচেটিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি হয়। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের (সংসদ, নির্বাহী ও বিচার) মধ্যে...
    দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি হতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একমত। এ কথা বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১১তম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। আমরা একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ করা না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি। এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যাতে এ দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা তৈরি না হয়, সেটি নিশ্চিত করা—এই লক্ষ্যগুলোর ব্যাপারে, উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।’আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, জরুরি...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে লক্ষ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই। সবার উদ্দেশ্য এক। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনা শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ের দুই মাসব্যাপী আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, যা জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলোতে একমত হওয়া এখন জরুরি।’’ অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমাদের এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে ভবিষ্যতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’’ তিনি জানান, কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে বিষয়গুলোতে অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায়। সবার সহযোগিতায় জুলাইয়ের মধ্যেই...
    ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও গণআন্দোলনের ঢেউ এখন রূপ নিতে যাচ্ছে একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্রিক চুক্তি ‘জুলাই সনদ’। কয়েক মাসব্যাপী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের যে সংলাপ ও আলোচনার প্রক্রিয়া চলে এসেছে, তারই ফসল এই সনদ। রাজনৈতিক বিভক্তির দীর্ঘ ইতিহাসে এ এক বিরল মুহূর্ত, যেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ১৬৬টি প্রস্তাবে অভূতপূর্ব ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। সনদের লক্ষ্য ও দর্শন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাষায়, ‘জুলাই সনদ’ কেবল রাজনৈতিক দলিল নয়, এটি একটি ভবিষ্যতপ্রতিশ্রুত সামাজিক চুক্তি যার উদ্দেশ্য- রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক, বিকেন্দ্রীভূত ও জবাবদিহিমূলক কাঠামোয় পুনর্গঠন করা। জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ  বলেন, এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতের জন্য এক নৈতিক ভিত্তির নির্মাণ। সনদ বাস্তবায়িত হলে, নতুন প্রজন্ম আমাদের সাহসিকতা মনে রাখবে। যেসব ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য...
    ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, যা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হিসেবে আলোচিত।সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ৫ আগস্টের আগেই এটি চূড়ান্ত করতে চায় সরকার।সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া বিএনপির কাছে পাঠান।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চায়। সরকার এই ঘোষণাপত্রে আরও কিছু বিষয় রাখতে চায়, সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত প্রয়োজন।সরকার প্রণীত খসড়া ঘোষণাপত্রে কিছু শব্দগত মারপ্যাঁচ আছে বলে মনে করেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা। তাঁরা সেগুলোর সংশোধনের প্রস্তাব করবেন।বিএনপির সূত্রগুলো...
    জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া বিষয়ে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করছে বিএনপি। বাকি প্রক্রিয়া শেষে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত মতামত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পৌঁছে দেবে দলটি। গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা খসড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের মতো বিএনপিও দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে ঘোষণার পক্ষে। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নেতারা জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ ও নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ, সংসদের নারী আসন, পিআর পদ্ধতিসহ সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে...
    নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়া, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, দায়িত্বরত পুলিশের শরীরে ক্যামেরা স্থাপনেরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।  গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার এ নির্দেশনার কথা জানান তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।   সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হতে বলেছেন ড. ইউনূস। নির্বাচনের আগে সব ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি বদল করা এবং নির্বাচনে লটারির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনাও হয়েছে বৈঠকে।...
    ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়া, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশের শরীরে ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।  নির্বাচনের আগে সব ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি বদল করা এবং নির্বাচনে লটারির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনাও করেছেন ড. ইউনূস।  বুধবার সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বৈঠক থেকে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হতে বলেছেন সরকারপ্রধান।  বৈঠকের পর গতকাল রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।  তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি রয়েছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা’। নির্বাচনের...
    নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নির্বাচনব‍্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু করণীয় সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সম্মেলনকক্ষে ওই বৈঠক হয় বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণপদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়। আগামী নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ইসি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে সীমানা নির্ধারণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি মঙ্গলবারের বৈঠকে ইসিকে জানানো হয়েছে। ইসির সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ইসির পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে তারা...
    বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার রাজধানীর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বৈঠকে কমিশনের চলমান কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ এবং জাতীয় সনদ প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন কানাডার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মি. মার্কাস ডেভিস এবং সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ও কাউন্সেলর মি. স্টিফেন উইভার। বৈঠকে রীয়াজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং কানাডার আগ্রহকে স্বাগত জানান। কানাডীয় প্রতিনিধি দল কমিশনের লক্ষ্য ও কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করে। তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও কানাডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। ঢাকা/এএএম//
    বর্তমানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের অংশীদারদের সঙ্গে একধরনের আলোচনা প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন সাংবিধানিক কাঠামো, প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক চুক্তি গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই আলোচনার পরিধি, কাঠামো ও অংশগ্রহণকারীদের বাছাই কতটা ন্যায়সংগত ও প্রতিনিধিত্বমূলক হচ্ছে?বাংলাদেশ এখন একধরনের রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বস্তরে আধিপত্য বিস্তার করেছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক নির্বাচন ছিনতাই করেছে, বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করেছে, গুম-খুন চালিয়েছে।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা–কর্মী রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র–জনতার ওপর সহিংস হামলা চালায়। যেভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল, তা ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ।...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সৎ, যোগ্য, সুনামসম্পন্ন ও দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক ও আইনের দ্বারা সৃষ্ট বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল’ (এনসিসি) নামের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত এনসিসির সদস্যরা হবেন: ১. রাষ্ট্রপতি, ২. প্রধানমন্ত্রী, ৩. বিরোধীদলীয় নেতা, ৪. নিম্নকক্ষের স্পিকার, ৫. উচ্চকক্ষের স্পিকার, ৬. প্রধান বিচারপতি, ৭. নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, ৮. উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার এবং ৯. সংসদের দুই কক্ষের সরকারি ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের বাইরে থেকে নির্বাচিত একজন সদস্য, যিনি উভয় কক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, তথ্য কমিশন এবং প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশনের...
    অধস্তন আদালত পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করার বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এ ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা জারির বিদ্যমান বিধান পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক স্বার্থে এই বিধান ব্যবহার না করার বিষয়েও মতৈক্য হয়েছে। তবে এ–সংক্রান্ত নতুন বিধানে কী কী থাকবে, তা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল দিনব্যাপী এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়। গতকাল ছিল দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার দশম দিন। এদিন ৩০টি দল আলোচনায় অংশ নেয়।কিছু প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও নিশ্চিত করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্থায়ী আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিল বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল।সংস্কার...
    উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ী আদালত স্থাপনে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দশম দিনের সংলাপে তারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা জারির পদ্ধতি বদলাতে সংবিধান সংশোধন এবং জরুরি অবস্থার রাজনৈতিক অপব্যবহার বন্ধেও ঐকমত্য হয়েছে।   হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার পর উপজেলা সদরে স্থায়ী আদালত গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে তা বাতিল করে তৎকালীন সরকার। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন অধস্তন আদালত বিকেন্দ্রীকরণে উপজেলা আদালত ব্যবস্থা পুনর্বহালের সুপারিশ করেছে।  প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ দশম দিনের সংলাপ শেষে বলেছেন, নাগরিকের সুবিচারের অধিকার নিশ্চিতে উপজেলা সদরে অধস্তন আদালত স্থাপনে সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে ৬৪ জেলার সদর উপজেলায় এ আদালতের প্রয়োজন নেই। জেলা জজ আদালতেই থাকবে সদর...
    সংস্কারের বিষয়গুলো নির্বাচিত সংসদের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে যদি কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ঐকমত্য কমিশন পরবর্তী সরকারের ওপর ন্যস্ত করতে চায় তাহলে এনসিপি মনে করে, সেই সংস্কারের গোটা আলোচনা কার্যকর হবে না।’সংস্কারের ম্যান্ডেট এই সরকারের হাতেই রয়েছে বলে এনসিপি মনে করে—উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমরা যারা ঐকমত্য কমিশনে বসছি, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি, আমরা সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রাখি। পরবর্তী সরকারের কাছে সংস্কারের কার্যভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী আমরা নই।’সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন আখতার হোসেন।অনেকের মধ্যে জুলাই সনদকে নিছক একটি দলিল হিসেবে প্রকাশের চিন্তা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এনসিপি...
    বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন না করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন একদল আইনজীবী।আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আইনজীবীরা। পরে মিছিল নিয়ে সমিতি প্রাঙ্গণ ও সমিতি ভবন প্রদক্ষিণ করেন।সরকারের উদ্দেশে সমাবেশে আইনজীবীরা বলেন, ন্যায়বিচার সবার দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে চাইলে জেলা আদালতকে উপজেলায় পৌঁছে দেন। সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে আসতে হয় না। নিম্ন আদালতে বিচারপ্রার্থীদের মাসে হাজিরা দিতে হয়। ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের কোনো বিভাগ নেওয়া যাবে না। যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা থেকে অচিরেই সরে আসুন। অন্যথায় আইনজীবীরা দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।‘বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ’—এমন শিরোনামে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ নিয়ে যাওয়া যাবে না। বিচার...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোনো পরিস্থিতিতেই যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত। বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদের (ক), (খ), (গ) এর সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার ব্যাপারেও দলগুলো একমত হয়েছে।” সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আরো পড়ুন: জুলাই বিপ্লবকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ ঘোষণা ষড়যন্ত্র: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ বর্ণাঢ্য আয়োজনে...
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ১৯৯১ সালে জাতীয় মনোভাবের সঙ্গে একমত হয়ে বিএনপি উপজেলা পর্যায়ে থাকা আদালত তুলে দেয়। তবে আগের অবস্থান পরিবর্তন করে নতুন করে উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণের প্রস্তাবে একমত হয়েছে বিএনপি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘৩৫ বছর আগের সেই সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি জাতীয়ভাবে আসেনি। বিভিন্ন চৌকি আদালত ও দ্বীপাঞ্চল মিলিয়ে বর্তমানে যে ৬৭টি আদালত আছে, সেটাও তখনকার সিদ্ধান্তে। কিন্তু সময় পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জাতির নতুন চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিবেচনায় বিএনপি নতুন করে এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।ঐকমত্য কমিশনের সোমবারের বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে ছিল উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা...
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে তাঁর দল। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে জামায়াতে ইসলামী এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে।আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিরতিতে এ কথা বলেন হামিদুর রহমান আযাদ।আজকের বৈঠকের অন্য দুই আলোচ্যসূচিতে রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব। মধ্যাহ্নবিরতি শেষে বাকি দুটি বিষয়ে আলোচনা পুনরায় চলবে।হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী মনে করে, বর্তমান ঐকমত্য কমিশন কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের সৃষ্টি জনগণের স্বার্থে। তাই জনস্বার্থে আদালতকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে অসচ্ছল। জেলা শহরে গিয়ে আইনজীবী ঠিক করে বিচার পাওয়া তাঁদের...
    বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে একমত হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে যেসব উপজেলা জেলা সদরের নিকটবর্তী সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে দলগুলো। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলগুলো নীতিগতভাবে একমত প্রকাশ করে। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থা; জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, না কি সেক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমি বারবার বলেছি। দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময় সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। সব বিষয়ে একমত হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা সব বিষয়ে একমত হবো না।’ আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১০ দিনের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আজকের আলোচ্য সূচি হচ্ছে- উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ; জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নারী প্রতিনিধিত্ব। প্রাথমিক প্রস্তাবে সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নিয়ে দলগুলোর আপত্তি থাকায় সংশোধিত প্রস্তাবে তা ছিল না জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘একইভাবে চার প্রদেশে ভাগের প্রস্তাবে দলগুলোর দ্বিমতের কারণে উপস্থাপন করা হয়নি। সব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না। কোনো কিছুতে যাবে না, তবুও আমাদের চেষ্টা করতে হবে। যেগুলো বাদ দিয়ে, যে সমস্ত জায়গায়...
    রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ও অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংশোধন প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে বিতর্ক এড়াতে সতর্ক থেকে অনেক কিছুই বাদ দিয়ে কমিশন এগোচ্ছে বলেও তিনি জানান।   সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০ম দিনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং দলগুলোর মতামত বিবেচনায় রেখে সুপারিশ করা হচ্ছে।”  এ সময় কমিশনের সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল নিয়ে ভিন্ন দলগুলোর ভিন্ন অবস্থান রয়েছে। তাই...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের বৈঠক চলছে। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ নিয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, আজ আলোচনা হবে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে। বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্নমত জানালে প্রস্তাব সংশোধন করে আবার উপস্থাপনের চেষ্টা করছে কমিশন।আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে আসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, দলগুলো যেহেতু কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে জোর দিচ্ছে, তাই কমিশন চেষ্টা করছে দলগুলোর সঙ্গে থাকার।আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব।অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সে বিষয়গুলো দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় আনেনি কমিশন।ঐকমত্যের স্বার্থে কমিশনের নমনীয় অবস্থান ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, কমিশন জাতীয়...
    বিএনপি সংস্কারবিরোধী—এটা একটি মহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অঙ্গীকারবদ্ধ, কিন্তু একটি মহল, একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী বলে প্রচার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে মিডিয়ার কিছু অংশ এবং কিছু ব্যক্তিত্ব বিএনপির সংস্কার সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কথা বলছে—যেগুলো সঠিক নয়। বিএনপির কমিটমেন্ট টু রিফর্মস, এটা নিয়ে কোশ্চেন করার কোনো সুযোগ নেই।’নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র দেখছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সে কথা আমি এই মুহূর্তে বলব না। তবে নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, তারা নিশ্চয়ই জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয়।’জাতীয়...
    রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপি কোন কোন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মতানৈক্য রয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দলটি। বিএনপির মতে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আগ্রহ ও প্রত্যাশা যেমন অনেক তেমনি হতাশা ও উৎকণ্ঠাও রয়েছে জনমনে। বিএনপির পক্ষ থেকে যেমন ৬টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া হয়েছে তেমনি ঐকমত্য কমিশনের প্রতিদিনের আলোচনায় দলের প্রতিনিধিরা কার্যকর অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। দলটি বলছে, বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য দলের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে হলেও একমত হয়ে কমিশনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে সহযোগিতা করেছে। রোববার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপি...
    পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতেই হবে। এটা করতে না পারলে সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশ বাহিনীর সংস্কার সম্ভব নয়। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির’ আয়োজনে ‘বাংলাদেশ পুলিশ সংস্কার: প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, সব সংস্কারের উদ্দেশ্য একটাই, দেশে যেন আরেকটা ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে পুলিশ ছিল একটা দানবীয় বাহিনী। পুলিশের এই ভাবমূর্তির জন্য বিদ্যমান ‘সিস্টেম’ বা ব্যবস্থা দায়ী উল্লেখ করে আলোচকেরা বলেন, পুলিশ সদস্যদের একটা বড় অংশ সংস্কার চায়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাধার কারণে পুলিশ সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও কিছু আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন। আলোচকেরা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পুলিশ বাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে দিয়ে নানা...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কতগুলো মৌলিক বিষয়ে একতা থাকা দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর। মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একমত হয়ে যদি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা যায় এবং নির্বাচিত সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করলে ভবিষ্যতে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকাতে পারব। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে সুজনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।  বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকলেও তারা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারত, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিতাড়নের পর অনেকগুলো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে, সেটা বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা দেখা দিত। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন—সুজনের কেন্দ্রীয়...
    ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রেস ব্রিফিং করার সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ তথা ঐকমত্য কমিশনের বরাবর একটি ন্যায্য প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সব বিষয়েই যদি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শতভাগ একমত হতে হয়, তবে আলোচনার কি প্রয়োজন ছিল?’প্রশ্নটি যথেষ্ট ন্যায্য মনে করি। মূলত আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে দ্বিমত নিয়ে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেছেন। বাস্তবিকই বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে আসছে।বিএনপির নিজস্ব রাজনৈতিক কমিটমেন্ট, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা-৩১ দফা, যা তারা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই জাতির সামনে হাজির করেছিল, তা থাকা সত্ত্বেও ঐকমত্যের স্বার্থে এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জনআকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ দফার অনেক দফা থেকেই...
    গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কামাল আহমেদের লেখা ও পর্যবেক্ষণ আমাদের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে তোলায় মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে শুধু রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসন যথেষ্ট নয়। ব্যক্তি খাতে গণমাধ্যমে কালোটাকার দৌরাত্ম্য, প্রভাবক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং নৈতিক মানের অনুপস্থিতির মতো বিষয়গুলোতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’তাঁর (কামাল আহমেদ) সঙ্গে আমরা একমত। তবে তিনি লিবারেল ইকোনমিক পলিসি নামে পরিচিত ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগ’কে যে ইতিবাচক চোখে দেখেন এবং নির্বিচার গ্রহণ করেন, আমি সেভাবে দেখি না, গ্রহণও করি না।মুক্তবাজার অর্থনীতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না। ইউরোপে বাজারব্যবস্থা বিকাশের সঙ্গে গণতন্ত্রের আবির্ভাব ও বিকাশের সম্বন্ধ আছে বটে, কিন্তু একালের কাছাখোলা মুক্তবাজার অর্থনীতি গণতন্ত্রের সহায়ক নয়; বরং গণতন্ত্রের, বিশেষত গণমাধ্যমের ঘাতক। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোর দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যায়।২.কামাল আহমেদ ‘জুলাই সনদে কী থাকছে,...
    আমাদের সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু আমাদের শাসকেরা এই নীতি মান্য করেননি বলেই বাংলাদেশ বারবার রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে যে সমঝোতা ও সহিষ্ণুতা প্রত্যাশিত ছিল, তা তাঁরা কতটা প্রতিপালন করেছেন, সে প্রশ্ন না উঠে পারে না।রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সুদৃঢ় করতে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া, যার অংশ হিসেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে; যার সাফল্যের ওপরই ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামো অনেকটা নির্ভর করছে। এ ক্ষেত্রে কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আন্তরিক হলেই হবে না, রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমঝোতার মনোভাব পোষণ করতে হবে।প্রত্যাশা ছিল, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবসের আগেই জাতীয় সনদের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে। দিনটি এ...
    দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষেত্রে শর্ত যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা শেষে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজ নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যোগ করেছি। যদি কোনো ব্যক্তিগত অপরাধ, যেমন হত্যাকাণ্ড ঘটে এবং দোষী ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়, তাহলে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্মতি ছাড়া রাষ্ট্রপতি বা কমিটি এককভাবে সেই সাজা মাফ করতে পারবেন না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সম্মতি দিলে, তবেই ক্ষমা বিবেচনায় আসবে। এতে ইনসাফ (ন্যায়বিচার) নিশ্চিত হবে।’ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর পরিবার বা ভুক্তভোগীর সম্মতি ছাড়া কাউকে...
    সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে ঐকমত‍্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ফলাফল নিয়ে আশাব‍্যঞ্জক খবর পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ব‍্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য মৌলিক সংস্কারগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে এবং ঐকমত‍্য কমিশনের সঙ্গে খুব বেশি মতপার্থক‍্য প্রত‍্যাশিত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো একটি মেনে নিলেও আরেকটি বাদ দেওয়ার শর্ত দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে মতপার্থক‍্য থেকেই যাচ্ছে, সেগুলোর মধ‍্যে রয়েছে– একজন ব‍্যক্তির প্রধানমন্ত্রী থাকার মেয়াদকাল, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধানদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিমালার সংশোধন। আশার কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিরোধী দলের জন‍্য গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ সংরক্ষণ এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটাই একমত। ঐকমত্য কমিশন প্রথমে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল- এনসিসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিএনপির ঘোর আপত্তি থাকায়...
    অপরাধের ধরনের ভিত্তিতে কোন কোন অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য হবে, সে ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।এনসিপি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রক্রিয়া ও বিচারব্যবস্থা সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমা যেন আর নিরঙ্কুশ না থাকে, বরং একটি বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তা হয়—এ প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি।’অতীতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অপব্যবহার হয়েছে অভিযোগ করে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও ক্ষমা করা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এতে ন্যায়বিচার ক্ষুণ্ন হয়েছে, বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে।ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দেশের বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেতা। আখতার হোসেন বলেন,...
    আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি মনে করে, কোনো ফৌজদারি অপরাধীকে ক্ষমা করে দেওয়ার একক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকা উচিত নয়। এ ছাড়া জনস্বার্থে বিচার বিভাগকে বিকেন্দ্রীকরণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবেও পুরোপুরি একমত দলটি।বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এ সময় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক উপস্থিত ছিলেন।আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এর একটি হলো রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে অনুসরণীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং অপরটি হলো উচ্চ আদালতের বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চকে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা।এবি পার্টির অবস্থান তুলে ধরে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতেও হাইকোর্ট বেঞ্চ...
    উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপন করা হলে অপরাধ কমার পরিবর্তে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি মনে করছে, অতীতে উপজেলা পর্যায়ে আদালত থাকলেও সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করা দরকার। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের বিষয়টিকে আরও ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিধান বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে ইসলামী আন্দোলন। তবে প্রস্তাবের সঙ্গে মতামত যোগ করে গাজী আতাউর রহমান বলেন, পূর্বে রাজনৈতিকভাবে কিংবা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিস্বার্থে যেভাবে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারতেন, এটা না রেখে কমিশনের পাশাপাশি ভুক্তভোগীর পরিবারের সম্মতির বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে।বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের...
    বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্য হয়েছে এবং সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্ধারিত হাইকোর্ট বিভাগের এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা কমাতে ঐকমত্য হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নবম দিনের সংলাপে এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। সংলাপের পর অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এক বা একাধিক বেঞ্চ করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ হবে। আলী রীয়াজ আরও বলেন, সংবিধানের ৪৯...
    হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এক বা একাধিক বেঞ্চ করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে।’আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের নবম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৬ বছর বা তার আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল অনুধাবন করেছে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার যে বিষয়টি আছে, তা সংশোধন করা প্রয়োজন। সে বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার...
    রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নবম দিনের আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আরো পড়ুন: সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজকের আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত ৫৩ বছরে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে এমন গভীর আলোচনা আর হয়নি। নানা প্রতিকূলতা ও আত্মত্যাগের পথ পেরিয়ে এই সুযোগ এসেছে, তা হেলায় হারানো যাবে না। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের নবম দিনে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিজেদের মধ্যেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে, এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। সব সিদ্ধান্ত এখানে হবে না, কিন্তু এখান থেকে গঠনমূলক আলোচনার সূচনা হবে। বৃহস্পতিবার মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়—রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার পদ্ধতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, আজ অন্তত একটি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে, সেটাই...
    নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত। তবে এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন বা কীভাবে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ পাবেন, তা নিয়ে দলগুলো এখনো একমত হতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এ–সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব উঠে এসেছে। প্রস্তাবগুলো নিয়ে আরও আলোচনা হবে।একসময় সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান ছিল। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যবস্থাটি বাতিল করা হয়।গত বছরের ডিসেম্বরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা–সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তত্ত্ববধায়ক ব‍্যবস্থা বাতিলের আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তি পৃথক রিভিউ আবেদন করেছেন। আবেদনগুলো শুনানির অপেক্ষায়...
    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‍ম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশের রাজনীতিতে আর অনিশ্চয়তা থাকছে না বলে অনেকেই ভেবেছিলেন। বিশেষত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হওয়ায় মনে করা হচ্ছিল, নির্বাচনী ট্রেনটি ট্র্যাকে উঠে গেছে। যদিও বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে এসব শর্ত বাধা হবে না বলেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন।  ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাগুলোতে এটা পরিষ্কার– দেশের প্রধান দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল কম সংস্কারেরই পক্ষে। তদুপরি সরকার নির্ধারিত মৌলিক সংস্কার নিয়ে দলগুলোর আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ একাধিকবার বলেছিলেন, সংস্কার নিয়ে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ জুলাইয়েই তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘটনার...
    নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও এই সরকারের রূপরেখা নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কীভাবে করা হবে, সাবেক প্রধান বিচারপতি বা বিচারপতিদের প্রধান উপদেষ্টা করা হবে কি না, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে কি না; এসব বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এসব মতপার্থক্য ওঠে আসে। আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা হবে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনার অষ্টম দিন। এদিন সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারনির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইনসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বা আইনসভা ভেঙে গেলে...
    সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সামাজিক এবং সংবাদমাধ্যমে ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার চায় না। অথচ বিএনপি অনেক বিষয়ে দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করে একমত হয়েছে জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কারের ৪৭ সুপারিশের একটি বাদে সবগুলোতে একমত হয়েছে বিএনপি। একটি সামান্য ভিন্নমত জানিয়েছে। সংস্কার কমিশন দুদকের সার্চ কমিটির যেসব প্রস্তাব করেছে, এর প্রশংসা করেছে বিএনপি। কারণ, এতদিন দুদক ছিল বিরোধীদল দমনের হাতিয়ার। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৪৭ সুপারিশের ৪২টিতে বিএনপি একমত জানিয়েছে। শুধু নিম্ন আদালত নিয়ে কিছু সুপারিশে...
    বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি এ পর্যন্ত সংস্কারের কত প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে, সেটারও একটা হিসাব দিয়েছেন।আজ বুধবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ হিসাব তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে একমত নয়—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন প্রচারিত হচ্ছে; এমন একটা প্রেক্ষাপটে সালাহউদ্দিন আহমদ সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে কতগুলোতে তাঁরা একমত হয়েছেন, সেটা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছি। শতভাগ প্রস্তাবে যদি একমত হতে হয়, তাহলে আলোচনার তো আর দরকার নেই।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সংসদের চারটি প্রধান স্থায়ী...
    নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী একমত বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আজকের একটা বিষয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে পৌঁছেছি, সেটা হলো নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণ কমিটি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা।’আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের।সীমানা নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটা পরিবর্তন এসেছে, সেটি হলো একটি বিশেষায়িত কমিটি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সীমানা নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে যে উপদেষ্টারা থাকবেন, তাঁরা পরামর্শ দেবেন।তত্ত্বাবধায়ক...
    বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষণ করে এবং এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঐকমত্য আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। আজকের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন, কাঠামো এবং এই সরকার কত দিন থাকবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল, সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের, আর নির্বাচন কমিশন সংস্কারবিষয়ক কমিশন সুপারিশ করেছিল ১২০ দিনের।সুপারিশকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই দুই সময় এবং এই সরকারের পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষণ করে এবং এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঐকমত্য আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও কাঠামো এবং এর এখতিয়ার নিয়েও আলোচনা হয়েছে আজ। এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে।  বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ৮ম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও আজ নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।  কমিশনের সহ-সভাপতি জানান এ বিষয়েও...
    রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অমীমাংসিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আজ বুধবার এ চিঠি পাঠান। তিনি বলেছেন, গণশুনানি আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুপুরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে এ আইনজীবী বলেছেন, তিনি গভীরভাবে লক্ষ করছেন যে জাতীয় স্বার্থে গঠিত ঐকমত্য কমিশন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করে একটি সমন্বিত সংস্কার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবিত সংস্কারবিষয়ক আলোচনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।আরও পড়ুনজুলাইয়ের মাঝামাঝি একটা অবস্থানে পৌঁছার ব্যাপারে আশাবাদী আলী রীয়াজ৪৭ মিনিট আগেএসব অমীমাংসিত ইস্যুর মধ্যে নির্বাচনপদ্ধতির পরিবর্তন, সংসদীয় ক্ষমতার ভারসাম্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা,...
    চলতি জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটা অবস্থানে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এই আশার কথা বলেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমি আশাবাদী, আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারব, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে একটা জায়গায় যেতে পারব।’আজকের বৈঠকে আগের কয়েকটি অসমাপ্ত বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা হওয়ার কথা। এর মধ্যে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আলোচনার শুরুতে জুলাই শহীদদের স্মরণে সবাই...
    গত ২১ মে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে আমি সুপারিশ করেছিলাম যে সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলাদাভাবে ‘সাইলো পদ্ধতি’র আলোচনা প্রলম্বিত না করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণসম্পন্ন ‘উন্মুক্ত পদ্ধতি’র আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। এর দুটি সুফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।একটি হলো, এর ফলে বিভিন্ন সংস্কার সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। আরেকটি হলো, আলোচনা উন্মুক্ত হওয়ার কারণে জনগণও তা জানতে পারবে। তাতে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রসঙ্গে অযৌক্তিক অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে জনমত তাদের বিপক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে উন্মুক্ত আলোচনা ঐকমত্য অর্জনে সহায়ক হবে।এটি আনন্দের বিষয় যে গত ১৭ জুন থেকে ঐকমত্য কমিশন সংস্কার নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছে এবং তা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও করছে। এর সুফলও...
    চলতি জুলাই মাসের মধ্যে ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই চলছে ধারাবাহিক সংলাপ। বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনার সূচনায় তিনি এ কথা বলেন। এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আলোচনা শুরুর আগে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “প্রতিদিন হয়তো বড় কোনো অর্জন হচ্ছে না, তবে আমরা এগোচ্ছি। দলীয় অবস্থান সবারই আছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে আমরা আশাবাদী। মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।”  তিনি আরো বলেন, “সংস্কার নিয়ে দেশের মানুষ আশাবাদী। আমরা চাই না কেউ পুরোনো অবস্থানে ফিরে যাক। প্রশ্ন হলো আমরা কেবল নিজেদের...
    ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্ঠনের প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন ৬০ নাগরিক। সোমবার বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ অন্তর্ভুক্ত করুন।  বিবৃতিদাতাদের মধ্যে অন্যতমরা হলেন- মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান, আলোকচিত্রি শহিদুল আলম, শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর, অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান, অর্থনীতিবিদ জিয়া হাসান, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠক ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. রুশাদ ফরীদি, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, ব্যারিস্টার মিতি ফারজানা, অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, প্রকাশক মাহরুখ মহিউদ্দীন প্রমুখ। ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০ দল এবং জোটের মধ্যে বিএনপিসহ ছয়টি চায় নিম্নকক্ষের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি...
    গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, শিক্ষার্থী-জনতার দীর্ঘ গণসংগ্রাম-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে হটিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি তার গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথ অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোটারীগত স্বার্থে কোনভাবেই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না। বিভক্তি বিভাজনের পাঁয়তারাকেও রুখে দিতে হবে। সোমবার নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা পরিষদের  সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম অগ্রগতি, নির্বাচন প্রভৃতি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।   মঞ্চের নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সকলের মতামতের ভিত্তিতে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের  লক্ষ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্র মঞ্চ আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এই উদ্যোগের সাথে থাকছি, সহায়তা করছি। আশা করি- এই জুলাইয়ে মধ্যেই...
    সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন দফা আলোচনা করেও কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান এই আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে (১৬ জুলাই) সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের এখন খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।’সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এই পর্বে মৌলিক সংস্কারের ২০টির মতো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সাত দিনে...
    সংস্কারের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে, সে বিষয়গুলো একত্র করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘এখন এখানে যদি আমাদেরকে বাধ্য করা হয় যে এখানে একমত হতেই হবে, তাহলে সেটা তো সঠিক হলো না।’যদি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শতভাগ প্রস্তাবে একমত হতে বলা হয়, তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই আলোচনার ভিত্তিতে মতৈক্যের বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা...
    মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে একাত্ম হতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান রাখব, জনগণের মতামতকে বুঝে জনগণের প্রত্যাশার জায়গাকে বুঝে এবং বাংলাদেশে যাতে আর কখনো কোনোভাবেই কোনো স্বৈরাতান্ত্রিক শাসনকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, সে জন্য মৌলিক সংস্কারের পক্ষে তারা যেন একাত্ম হন।’ আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ আহ্বান জানান আখতার হোসেন। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে এদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে আছে বলে অভিযোগ করেন আখতার হোসেন।...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রবিবার (২৯ জুন) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ৭ম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।  আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় আমরা যাব না।” তিনি আরো বলেন, ‘‘গত জুলাইয়ে আমরা যে ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের মধ্যে ছিলাম...
    সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতিপূর্বে সংবিধিবদ্ধ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এ প্রস্তাবে ঐকমত্য না হওয়ায় এনসিসির পরিবর্তে একটি নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় কমিশন। কিন্তু আলোচনায় এই কমিটির গঠনের পক্ষেও ঐকমত্য হয়নি।আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ এ কথা বলেন।আজকের আলোচনায় নতুন কোনো বিষয় রাখা হয়নি। আগের কয়েকটি বিষয়ে অসমাপ্ত আলোচনা নিয়ে আবার আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।ঐকমত্য কমিশন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য কমিটি গঠনের প্রস্তাবটিকে রাজনৈতিক দলগুলোকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়।...
    দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) পরিবর্তে একটা নিয়োগ কমিটি করার প্রস্তাব দেয়। যেখানে কোনো একজন ব্যক্তির কর্তৃত্ব থাকবে না। এর সঙ্গে দুই–তিনটি রাজনৈতিক দল ছাড়া এবি পার্টিসহ সবাই একমত হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকবার বিষয়টি ভেবে দেখতে বলেছে। আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনার বিরতিতে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগগুলো একজনের হাতে ন্যস্ত থাকার কারণে গত ১৬ বছরে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। রাষ্ট্র একজন ব্যক্তি কিংবা একটি দলকেন্দ্রিক হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ঐকমত্য কমিশন এই প্রস্তাব দিয়েছে।এক...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘জুলাই মাসের মধ্যেই একটি যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’’ রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘গত সাত দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। যদিও আমরা এখনো চূড়ান্ত আশাবাদের জায়গায় পৌঁছাইনি, তবে আলোচনার ধারা ইতিবাচক। আমরা চাই না অতীতের সেই দুঃসহ রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ফিরে যেতে। এই প্রক্রিয়ার গতি এবং এর ফলই বলে দেবে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছি কি না।’’ তিনি জানান, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সংসদের স্থায়ী...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় আমরা যাব না।’আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।আজকের আলোচনার জন্য নতুন কোনো বিষয় রাখা হয়নি। আগের কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় সেগুলো নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।রাজনৈতিক দলগুলোকে গত জুলাই মাসের কথা স্মরণ করিয়ে...
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গতকাল শনিবারের সমাবেশ থেকে জানানো মূল দাবিগুলো সংস্কারবিষয়ক। সঙ্গে ছিল স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার দাবিও। মূলত সংস্কার প্রস্তাবের যে বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনের বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো আলোচনার টেবিল থেকে মাঠে নিয়ে এলো দলটি।  এই আওয়াজে তাদের সঙ্গে গলা মেলাতে হাজির ছিল জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, নেজা‌মে ইসলাম পা‌র্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলা‌দেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলনসহ ১১টি দল। এ দলগুলো সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যানুপা‌তিক নির্বাচন চায়। বিএনপি এর বিপক্ষে। ফলে গতকালের সমাবেশে তারা দাওয়াত পায়নি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহা‌জো‌ট ও বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনও। তাদের উপস্থিতি মূলত সম্প্রীতির নিদর্শন। সমাবেশ থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। জামায়াত আগে থেকে এ দাবি করে আসছে।   বিএনপির দিক থেকে দ্রুতই...
    রাষ্ট্র সংস্কার ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনের বার্তা নিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা। পাশাপাশি এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার ও সংগঠন বিস্তারেও আহ্বান জানানো হয়েছে।আজ শনিবার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দিকনির্দেশনা দেন নেতারা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে এবং ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের রাজনীতি নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আপনাদের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবি পার্টিই নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবে। দেশ পরিবর্তনে এবি পার্টির ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের...
    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁরা একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এমনটি বলছেন বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যাঁরা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলছেন, তাঁদের একটি উদ্দেশ্য আছে। যাঁরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চান, তাঁদের একটি উদ্দেশ্য আছে। হয় নির্বাচন বিলম্বিত করা, না হয় বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া। এটা তাঁদের উদ্দেশ্য হতে পারে। তবে এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে।’আজ শনিবার বিকেলে ‘জিয়াউর রহমান: যুদ্ধের ময়দান থেকে রাষ্ট্রের প্রধান’ শীর্ষক একটি স্মারক প্রকাশনা ও আর্কাইভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন...
    ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ অনুমোদন দেওয়ার সময় আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিবিধি সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তা উদ্বেগজনকই। তারা মনে করে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ চার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো খারাপ অবস্থায় আছে। অন্য তিনটি কারণ হলো কঠোর আর্থিক ও রাজস্ব নীতির প্রভাব, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতে অব্যাহত চাপ।বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা স্বীকার করে বলেছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটেনি। প্রশ্ন হলো গত ১০ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার এই স্থবিরতা কাটাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। সংস্থাটির মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। মূল্যস্ফীতিই জনজীবনে মারাত্মক...
    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছে, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সত্যিকার নেতৃত্ব দেখতে চায়। টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না। এমনকি যাঁরা আজকের তুর্কি–তরুণ, তাঁরাও অনেকে এই গড্ডালিকায় গা ভাসাবেন, এমনটা আশা করেনি কেউ। মানুষ ভরসা রাখতে চায়।’আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই স্মৃতি হলে শ্রমিকনেতা ‘প্রয়াত মির্জা আবুল বশর স্মরণসভায়’ প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।সভায় তিনি সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিয়ে সবাই এখনো ঐকমত্য হতে না পারলেও অগ্রগতির জায়গা রয়েছে। আবার কিছু মতপার্থক্যও আছে। অগ্রগতির দিকটা ছোট করার কিছু নেই। আবার যেসব বিষয়ে পার্থক্য আছে, যেসব বিষয়কে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি এবং অপরিহার্য মনে করি, সেসব বিষয় বাস্তবায়নের জন্য...
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে ঘটবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে যেমন নতুন ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তেমনি প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে শুরু হয়েছে তীব্র বাহাস বা বিতর্ক; যদিও নিকট অতীতের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বলে, ক্রান্তিকালীন রূপান্তরের ক্ষেত্রে বিতর্ক, সংলাপ ও নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশেও অভূতপূর্ব সক্রিয়তা দৃশ্যমান।আরও পড়ুনগণক্ষমতাবিরোধী ধ্যানধারণা বনাম গণরাজনৈতিক ধারা১৯ জুন ২০২৫২.দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারের যে আলোচনা ছোট এবং অনেকটা বিশেষায়িত পরিসরে চলেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান তাকে সাধারণের আলোচনার বিষয়ে পরিণত করেছে। প্রশ্ন হলো, সংস্কার কিসের হবে? কীভাবে হবে? বা এর প্রক্রিয়া কী হবে?এসব প্রশ্ন নিয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে সংবিধানের সংস্কার নিয়ে—কেউ নতুন গঠনতন্ত্রের পক্ষে, কেউ মৌলিক কিছু সংস্কারের পক্ষে। তবে এসবের কোনোটিই...
    আ বদুল্লাহ বিন জাহিদ, শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ, মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া, মারুফ হোসেন, আফিকুল ইসলাম সাদ, আব্দুল আহাদ সৈকত, ইমাম হাসান ভূঁইয়া তায়িম ও ইয়াসির সরকার ২৬ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এরা প্রত্যেকেই শহীদ হয়েছে। যাদের বসার কথা ছিল পরীক্ষার টেবিলে, তাদের পড়ার টেবিলেও নেমে এসেছে শতাব্দীর নিস্তব্ধতা। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান আমাদের এমন ঘটনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। ‘বেঁচে থাকলে আজ ওরা পরীক্ষা দিত’ শিরোনামে এই খবরই দিয়েছে প্রথম আলোয়।  রাষ্ট্রে চলছে সংস্কার বনাম নির্বাচনের দ্বৈরথ। এই লড়াই আমাদের জুলাই-আগস্টের শরীর হিম করা পরিস্থিতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হলে ৮ আগস্ট ২০২৪ অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। রাষ্ট্রের বি‍ভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক...
    নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার দাপট দেখায় সরকার। সরকারের সঙ্গে যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠান থাকে, তারাও ক্ষমতার দাপট দেখায়। বিগত সরকারের ক্ষমতার দাপটে দেশে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সবাই জানেন। সেই দাপটের পরিণামই তারা ভোগ করছে।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতার দাপট কমিয়ে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ধরে রাখতে এমন একটি রাজনৈতিক দল দরকার, যাদের সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকবে। নাগরিক ঐক্য তেমনি একটি দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।দেশে মব সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সাবেক দুজন প্রধান...
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে চলা সংস্কার কার্যক্রমে আলাপ–আলোচনার চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে, চূড়ান্তভাবে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।’আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে। কিন্তু কবে, কখন ও কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা আমাদের জানা ছিল না।’সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দশ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না, এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। এখানেই ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া হলো। এরপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগের...
    জুলাই ঘোষণাপত্র বা সনদ ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিশেষ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তার পটভূমিতে এই সনদের গুরুত্ব ধীরে ধীরে কিছুটা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। তবে সনদে শেষ পর্যন্ত কী কী থাকবে, এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে আমাদের হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই মাসেই একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করে জাতির সামনে উপস্থাপনের আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। তাঁর বর্ণনায়, ‘এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কটিতে একমত হয়েছে, তার তালিকা...
    গত বছরের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে তখনকার সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শামিল হয়েছিল– এ সত্য সবাই মানেন। ডানপন্থিদের সঙ্গে বামপন্থিরাও ছিলেন সমতালে। তবে এটাও সত্য, সে অভ্যুত্থানে ব্যাপক প্রাধান্য ছিল বিশেষ রাজনৈতিক মত ও পথের। সত্যটা অভ্যুত্থানের গোড়ার দিকে অনেকটা অস্পষ্ট থাকলেও, দিন দিন তা স্পষ্টতর হচ্ছে।  এই বিশেষ মত ও পথের মানুষ মনে করেন, এ দেশে শুধু সমাজতন্ত্র অ্যালিয়েন নয়, সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাও বিষবৎ পরিত্যাজ্য; অথচ এ দুটোই ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব দলের ইশতেহারের প্রধান বিষয়। ওই বিশেষ ধারার মানুষ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঘোর বিরোধী, যদিও এই বাঙালি জাতীয়তাবাদই পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। মনে হতে পারে, এ দেশে শত শত বছর ধরে বসবাসরত আদিবাসী বা নৃগোষ্ঠীগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয় নির্ধারণের প্রশ্নে তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের জায়গায় নতুন...
    সংস্কারের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে না পারলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হবে এবং ঐকমত্য কমিশনের সব চেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জনগণের চাওয়া। সে ধারণাটির বিপক্ষে বিএনপি ও এর সমমনারা অবস্থান নিয়েছে।আমাদের আহ্বান থাকবে জনগণের মতামতের সঙ্গে সংহতি রেখে, জনগণের চাওয়াকে শ্রদ্ধায় রেখে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রকাঠামো যেন এক ব্যক্তির কাছে সীমাবদ্ধ না থাকে, সে বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো যেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে এ আহ্বান জানান আখতার হোসেন।রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে কমিশনের সংশোধিত প্রস্তাবের বিষয়ে এনসিপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কমিশন বিদ্যমান...
    এক ব্যক্তি সারা জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, এই প্রস্তাবের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে একমত হবে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বা এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা যাবে না। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপি এই অবস্থান তুলে ধরে। বেশির ভাগ দল একমত হলেও মূলত বিএনপিসহ কয়েকটি দলের আপত্তি থাকায় প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদকাল (এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন) ও সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য কমিটি গঠনের প্রস্তাবে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে দলগুলোর মতবিরোধ থাকায় গতকালও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ বিষয়গুলো নিয়ে আগামী রোববার আরও আলোচনা হবে।রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয়...
    একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে মেনে নেবে বিএনপি। এ জন্য সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বা এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা যাবে না বলে শর্ত দিয়েছে দলটি।বিএনপির এই শর্তের সঙ্গে একমত নয় জামায়াতে ইসলামী। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি, আমরা অবস্থান থেকে সরি নাই এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরে নাই। এই পয়েন্টে সবাই এখন পর্যন্ত ঐকমত্যই আছেন যে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে...
    এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, “হাজারো প্রাণ আর রক্তের স্রোত মাড়িয়ে যে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে তার প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো ফ‍্যাসিবাদী ব‍্যবস্থার বিলোপ। হাসিনার মতো একচ্ছত্র ক্ষমতা চর্চার সংস্কৃতি বজায় থাকলে সংস্কার বলতে কিছুই হবে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের মতো নিয়োগ ব‍্যবস্থা বজায় রাখা ফ‍্যাসিবাদী নীতিতে অটল থাকার শামীল।” বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় এবি পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, “সাম‍্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র...
    জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) বা এমন কোনো পর্ষদের চিন্তা বাদ দিলে এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে যে প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তুলেছে, সেটা মেনে নেবে বিএনপি। আজ বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে দলের এই অবস্থান তুলে ধরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজকের আলোচনা শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এনসিসির মতো আর কোনো বডি নির্বাহী ক্ষমতার কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করে বা ইন্টারফেয়ার করে বা এমন ব্যবস্থা থাকলে আমরা সে প্রস্তাবটা গ্রহণ করব না। এনসিসির মতো ব্যবস্থা থাকলে আমরা আগের অবস্থায় থাকব (কারও প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ ১০ বছর মানবেন না)।’সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী না করে শুধু নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সব জায়গায় কমিয়ে একটি সুষ্ঠু...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ক্ষেত্রে মতৈক্য না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা কোনো বিষয়েই একমত হব না, এটাই যেন আমাদের আলোচনার মূলনীতি।’আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। আজ কমিশনে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়।মজিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ক্ষেত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা-সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা—এই অভিপ্রায়গুলো যুক্ত করলে সব পক্ষের মতামতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে শুধু ভাষার হেরফেরের কারণে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো ফ‍্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। হাসিনার মতো একচ্ছত্র...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের পূর্বঘোষিত ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)’ প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। এর পরিবর্তে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের।  বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক সংলাপের ষষ্ঠ দিনের বৈঠকে এ তথ্য জানান কমিশনের সহসভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনায় এনসিসির গঠন কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি নিয়ে যে আপত্তি উঠেছিল, সেটি আমলে নিয়েই তারা নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছেন। আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর বাস্তব মতামত ও প্রাসঙ্গিক আপত্তিগুলো বিবেচনা করেই এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছি। নতুন কাঠামোতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে থাকবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার, যিনি এই কমিটির সভাপতি হবেন।’’ ...
    জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নাম ও কাঠামো পরিবর্তনের যে প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমত পোষণ করেছে। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এ কথা জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, তাঁরা লিখিতভাবে কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাবিত এনসিসিতে না রাখার কথা বলেছিলেন। ঐকমত্য কমিশন সেটার (এনসিসি) নাম ও কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব (সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি) দিয়েছে। আজকের আলোচনায় একটি দল ছাড়া সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীও এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তিনটি দল ছাড়া সবাই এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ষষ্ঠ দিনের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক চলছে। মধ্যাহ্নবিরতির আগপর্যন্ত বৈঠকে রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এই বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে নতুন একটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের মূলনীতিতে কী কী অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা—এই পাঁচ বিষয়কে সমর্থন করেছেন তাঁরা।জোনায়েদ সাকি বলেন, ভবিষ্যতে অন্তত এই পাঁচ বিষয় সংবিধানে থাকতে হবে—এই রকম একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি আশাবাদী।বৈঠকে একজন ব্যক্তি কয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা...
    জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) নাম সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এনসিসির পরিবর্তে সংস্থাটির নাম সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা জানান আলী রীয়াজ।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। নতুন এই কমিটির কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে তাঁরা থাকবেন না। একই সঙ্গে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকারও এই কমিটিতে অন্তভুর্ক্ত থাকবেন না।সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এই আশার কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি, আপনাদের সাথে আলোচনা করছি যে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন-সংযোজনের মধ্য দিয়ে আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে, অর্থাৎ একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব। আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে যে আমরা পারব।’রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনায় ক্ষেত্রবিশেষে অগ্রগতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা আনুষ্ঠানিক...
    রাষ্ট্রের বি‍ভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এটি কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা। এর আগে প্রথম পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে দুই মাস সময় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছিল কমিশন। প্রথম পর্বে যেসব মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য হয়নি সেগুলোর বিষয়ে এই পর্বে সব দলকে একসঙ্গে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের এখন পর্যন্ত পাঁচ দিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হয়েছে। এর আগের পাঁচ দিনে আলোচনা হয়েছে ৯টি বিষয়ে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দলগুলো। আগামীকাল বুধবার আবার আলোচনা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্বে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দলগুলোর সঙ্গে মোট ২০টির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি আছে। তবে কমিশন এই...
    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজের খরচের দায়িত্ব সরকারের। সেই হিসাবে সরকারকে সহযোগিতার জন্যই কানাডার কাছে এই আবেদন জামায়াতের।আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং দলটির আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। সেখানে কানাডাকে এ আহ্বান জানায় জামায়াত।বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের সাংবাদিকদের জানান, ‘সিসি ক্যামেরাসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের বাজেট দরকার। এ ব্যাপারে আমরা কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে আর্থিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছি। (কানাডার) হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কানাডিয়ান...
    মৌলিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী। সোমবার দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের বৈঠকে এ অবস্থান তুলে ধরেছে জামায়াত।  রাজধানীর মগবাজারে জামায়াত কার্যালয়ে বৈঠকের পর দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, হাইকমিশনার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। জামায়াত জানিয়েছে, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রীত্বের সুযোগ না রাখা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, নির্বাচনে ভোটের অনুপাতে সংসদের আসন বন্টন, ভোটার তালিকায় প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তের আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে একমত হলেও মৌলিক সংস্কারে এখনও ঐকমত্য হয়নি। দুঃখজনকভাবে যদি তা না হয়, তবে জামায়াত এসব বিষয়ে গণভোটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।  জামায়াত সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে ডা. তাহের বলেছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন।...
    মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লন্ডনের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ওই ফোনলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ফোনালাপে দুই নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ‘গম্ভীর হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন। স্টারমার ও ট্রাম্প মনে করেন, এই হামলা ইরান থেকে আসা হুমকি কমানোর একটি প্রচেষ্টা। ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতির বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে তারা একমত। এই দুই নেতা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে ইরানের যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা প্রয়োজন। তারা ভবিষ্যতেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
    এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন—সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশির ভাগ দল একমত হয়েছে। তবে বিএনপিসহ তিনটি দলের আপত্তি থাকায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘ বিতর্ক হলেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি। বিষয় দুটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।গতকাল রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের পঞ্চম দিনে এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আলোচনা শুরু হয়। এক ঘণ্টার মতো মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে আলোচনা চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ধারাবাহিক এ আলোচনায় ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে। আজ সোমবার ও আগামীকাল আলোচনা মুলতবি থাকবে।একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার...
    কী উদ্দেশ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা নিয়ে এর অংশীজনের মধ্যেই রয়েছে বিতর্ক। তবে এর প্রেক্ষাপট নিয়ে বিতর্ক নেই। সবাই দেখেছি, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কীভাবে চলে গিয়েছিল সরকার পতনের দিকে। আর কোনো সংস্কারের বিষয় তখন সামনে ছিল না। সরকার এর সহজ নিষ্পত্তির দিকে গেলে আন্দোলনের দ্রুত সমাপ্তি ঘটত বলেই ধারণা।  এর বদলে নিষ্ঠুরভাবে আন্দোলন দমনের চেষ্টা সরকারের পতনকে করে ত্বরান্বিত। সরকার পতনের মাত্র দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জনসমাবেশ থেকে আসে সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণা।  সংস্কারের প্রশ্ন সামনে এনেছিল গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থী-তরুণেরা। তবে সংস্কারের প্রশ্নটি নতুন নয়। নব্বইয়ে সেনাশাসন অবসানের পর গঠিত প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই রাষ্ট্র সংস্কারে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ড. রেহমান সোবহানের উদ্যোগে ২৯টি টাস্কফোর্সে...