নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে রিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল
Published: 20th, April 2025 GMT
নাটোরে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে চলন্ত অটোরিকশায় (ইজিবাইক) মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শহরের কানাইখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম ফয়সাল হোসেন (২৫)। মারধরকারীরা নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, অটোরিকশায় শুইয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের পিঠের ওপর জুতা পায়ে চেপে ধরে আছেন আরেক তরুণ। সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন উচ্চ স্বরে গান বাজাচ্ছেন। পায়ের নিচে থাকা ফয়সাল চিৎকার করে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু নির্যাতনকারী তরুণেরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। এভাবেই শহরের প্রধান সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার ওই তরুণকে ঘোরানো হয়।
ফয়সাল গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট নাটোরের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ছাড়া পেয়ে ফয়সাল হোসেন বলেন, দুপুরে আমি ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশায় তুলে সিটের নিচে পা রাখার জায়গায় আমাকে শুইয়ে পেছন থেকে দুই হাত ধরে মারধর শুরু করে। এ সময় আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগের সব টাকাও নিয়ে নেয় তারা। এভাবে পুরো শহর ঘুরায়।
ফয়সাল আরও বলেন, আমার অপরাধ কি জানতে চাইলে, তারা বলছিল তুই ছাত্রলীগ করিস, এটাই তোর অপরাধ। পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তারা আমার মা-বাবার কাছে আমাকে তুলে দেয়।
এ ঘটনার বিষয় জানতে নাইম ও রিমনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
নাটোর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর জানা নেই। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র ম রধর ফয়স ল
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডি ৩২ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে খননযন্ত্র
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে আনা এক্সকাভেটর বা খননযন্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িটির নিরাপত্তায় সেনা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন গতকাল সোমবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ৩২ নম্বরে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে গিয়েছিলেন।