অনেক দিন বড় পর্দায় দেখা মেলেনি মাহিরা খানের। আলোচনাতেও ছিলেন না এই পাকিস্তানি অভিনেত্রী। এবার আলোচনায় এলেন ভারতের কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার নিন্দা জানাতে গিয়ে। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় দুর্বৃত্তরা ধর্মের নামে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা নিয়ে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি তারকারাও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মাহিরা খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 

একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘বিশ্বে যে কোনো প্রান্তে যে কোনো রকম হিংসার ঘটনা ঘটানো কাপুরুষোচিত কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। পহেলগাঁও কাণ্ডে যারা ভুক্তভোগী, তাদের সবার প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’ 

লেখার সঙ্গে মন ভাঙার ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন তিনি। সে পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু নেটিজেনরা যখন দেখেছেন, মাহিরা তাঁর পোস্ট মুছে ফেলেছেন, তখন রীতিমতো অবাক হয়েছেন। কেন কিছু সময় পরেই শোকবার্তা সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলেছেন, সেই প্রশ্নে পড়ে গেছে শোরগোল। নেট দুনিয়ার অনেকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, কার ভয়ে পোস্ট ডিলিট করলেন মাহিরা খান? কেউ আবার পাকিস্তান সরকারের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। আবার কারও মত, নিজ দেশে চাপের মুখে পড়েই হয়তো বাধ্য হয়েছেন পোস্ট মুছে দিতে! যদিও মাহিরা পোস্ট মুছে ফেলার পর বিতর্কে জড়িয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার চেষ্টা করেননি। তাই কী কারণে অভিনেত্রী তাঁর পহেলগাঁও শোকবার্তার পোস্ট মুছে ফেলেছেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

এদিকে বুধবার বিকেলে ফিল্ম ফেডারেশন অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পতি পাকিস্তানি তারকাদের ভারতীয় সিনেজগতে প্রবেশ চিরতরে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বন্ধ হয়ে গেল মাহিরার বলিউডে প্রবেশের দুয়ার। পাকিস্তানি এই অভিনেত্রী বলিউড সিনেমা ‘রইস’-এ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পাবেন পুরস্কার

যুক্তরাষ্ট্রের নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে নিজ দেশে ফেরত যেতে চান, তাদের প্রত্যেককের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। সূত্র : আলজাজিরা

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে ১ হাজার ডলার করে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই ১ হাজার ডলারের বাইরে নিজ দেশে ফেরার জন্য আলাদা অর্থ দেওয়া হবে তাদের এবং সিবিপি অ্যাপের মাধ্যমে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী জানাবেন যে তারা নিজ দেশে ফিরতে চান, তাদেরকে বন্দিশালায় রাখা হবে না কিংবা বলপ্রয়োগ করা হবে না।

সোমবারের বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম নথিবিহীন অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা যারা অবৈধভাবে এই দেশে বসবাস করছেন, তাদের জন্য স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়া হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ঠ, সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সাশ্রীয় পন্থা। যারা এই পন্থ অবলম্বন করতে আগ্রহী— তাদেরকে সিবিপি হোম অ্যাপের মাধ্যমে ১ হাজার ডলার সহায়তা ও ও তাদের যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে চান— তাদেরকে অর্থ সহায়তা ও যাতায়াত ব্যয় সরবরাহ করা হলেও সেটি হবে অনেক সাশ্রয়ী। কারণ বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান, বন্দিশালা ও তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রত্যেক অভিবাসীর পেছনে মাথাপিছু গড়ে ১ হাজার ৭০০ ডলার ব্যয় হচ্ছে।

গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তিনি এই আদেশে স্বাক্ষর করার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে অভিযান শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সংখ্যা অবশ্য তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের চেয়ে কম। কারণ পরিসংখ্যাণ বলছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন যে যেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাদের ফের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, “তাদের মধ্যে যারা ভালো এবং বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা অবশ্যই সহায়তা করব।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ