নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছেন রাবাদা
Published: 6th, May 2025 GMT
মাত্র দুইদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া লিগে রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ গ্রহণের কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। প্রাথমিকভাবে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার শাস্তি কমে এসেছে। পেশাদার আচরণ বজায় রাখা এবং ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই নিষেধাজ্ঞা এক মাসে কমিয়ে আনা হয়েছে। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এরই মধ্যে এক মাসের শাস্তি ভোগ করেছেন, ফলে সব ধরনের ক্রিকেটে তার খেলতে আর কোনো বাধা নেই। আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের জানুয়ারিতে, এসএ টি-টোয়েন্টি লিগে এমআই কেপ টাউনের হয়ে খেলার সময়। ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হন রাবাদা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং সাময়িকভাবে ক্রিকেট থেকে বিরত রাখে। বোর্ডের বিবৃতি অনুযায়ী, রাবাদা ছিলেন ‘প্রোভিশনাল সাসপেনশনে’, যার মেয়াদ ছিল এক মাস।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে এপ্রিলের শুরুতে আইপিএল চলাকালীন হঠাৎ দেশে ফিরে যান রাবাদা। সে সময় তার দল গুজরাট টাইটান্স এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যক্তিগত কারণে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরেছেন। পরে জানা যায়, মূলত ডোপ কেলেঙ্কারির কারণেই তাকে সাময়িকভাবে খেলার বাইরে রাখা হয়েছে।
তবে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় আবারও আইপিএলে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চলতি মৌসুমে এর আগে গুজরাটের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, উইকেট নিয়েছেন দুটি।
১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে আছে গুজরাট টাইটান্স। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে রাবাদার মতো অভিজ্ঞ পেসারের ফেরাটা দলের জন্য বড় স্বস্তির। আজ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতই সিদ্ধান্ত নিক সংলাপ নাকি ধ্বংসযজ্ঞ: বিলাওয়াল ভুট্টো
পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন যে পাকিস্তানের লড়াইয়ের সংকল্প স্বাধীনতার জন্য, সংঘাতের জন্য নয়। ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সংলাপ হবে নাকি ধ্বংসযজ্ঞ? সহযোগিতা নাকি মোকাবিলা? মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেছেন।
২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার সেনাবাহিনীকে সামরিক অভিযানের জন্য ‘কার্যকরী স্বাধীনতা’ প্রদান করেছেন। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিীততে নয়াদিল্লির যেকোনো দুঃসাহসিক কাজের ‘দ্রুত’ জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনো হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।”
তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভারতের দাবি অস্বীকার করে বলেন, “কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব?”
তিনি বলেন, পাকিস্তান “বিদেশী অর্থায়নে, আদর্শিকভাবে পরিচালিত এবং নির্মমভাবে নির্বিচার সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে। আমরা আমাদের সেনা ও স্কুলের বাচ্চাদের কবর দিয়েছি... আমরা কেবল অস্ত্র দিয়েই নয়, বরং ধারণা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ঐক্যের মাধ্যমেও এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।”
বিলাওয়াল আরো বলেন, “একমাত্র ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা যাবে না, ন্যায়বিচার দিয়ে একে পরাজিত করতে হবে। বুলেট দিয়ে একে উপড়ে ফেলা যাবে না, আশা দিয়ে একে নিরস্ত্র করতে হবে। জাতিগুলোকে দানবীয় করে পরাজিত করা যাবে না, বরং এর জন্মদানকারী অভিযোগগুলোকে মোকাবেলা করে একে পরাজিত করা যাবে।”
তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ভারতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জের শুরু এটি। সন্ত্রাসের একজন প্রকৃত শিকার কেন জবাবদিহিতা এড়াতে লজ্জা পাবে? যদি না তারা চিন্তিত হয় যে কাশ্মীরে রক্তপাতের জন্য আসল দোষ ইসলামাবাদের নয়, দিল্লির।”
পিপিপি নেতা বলেন, “যদি ভারত শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়। আসুন আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে... তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সংকল্প আছে, কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, বরং আমরা স্বাধীনতা ভালোবাসি।”
তিনি বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। এটা কি সংলাপ হবে নাকি ধ্বংস? সহযোগিতা হবে নাকি সংঘর্ষ?”
ঢাকা/শাহেদ