সব নাগরিককে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ বিনামূল্যে (যথা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পর্যায়ে এবং অতি দরিদ্রের ক্ষেত্রে) বা ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করতে হবে বলে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ জন্য সরকারি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে পুনর্গঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে। বেসরকারি খাত থেকে সাশ্রয়ীমূল্যে মানসম্মত ওষুধ সংগ্রহে কৌশলগত ক্রয় ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা.

এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। এই ফার্মেসিগুলো জাতীয় ফার্মেসি নেটওয়ার্কের আওতায় পরিচালিত হবে।

অ্যান্টিক্যান্সার, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ও অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকাভুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর ভ্যাট এবং প্রযোজ্য অন্যান্য শুল্ক ও কর শূন্য হবে। ভিটামিন, মিনারেলস, ব্রেস্ট মিল্ক সাবস্টিটিউট ও প্রোবায়োটিকসহ স্বাস্থ্য-সম্পূরক ও উচ্চমূল্যের ওষুধের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমে একদিকে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা বাড়বে, অন্যদিকে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় ও বিলাসমূলক পণ্যে কর বাড়িয়ে রাজস্ব আয় জোরদার করা যাবে।

সুপারিশে বলা হয়, জরুরি চিকিৎসাকে একটি বিশেষায়িত ও অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একে স্বীকৃত চিকিৎসা বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলো পর্যায়ক্রমে এ বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, যাতে জরুরি চিকিৎসাসেবার পরিসর ও মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সংখ্যা বাড়ানো এবং দুই বছর পরপর এই ওষুধের তালিকা আপডেট করার সুপারিশ করেছে কমিশন। অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে ২৫ শতাংশ ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন) জেনেরিক নামে লিখতে হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে ১০০ শতাংশ ওষুধের জেনেরিক নামে লিখতে হবে।

কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সংস্কার প্রতিবেদনে সরকারি হাসপাতালে সেবা বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা, বেসরকারি হাসপাতালে সেবামূল্য নির্ধারণ, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওষুধের কাঁচামাল তৈরি, স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সার্ভিস গঠনসহ ৩২টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ উল ল খ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারকা দম্পতি

বিয়ের দেড় বছরের মাথায় বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা জুটি বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি। মঙ্গলবার (৬ মে) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আনন্দের খবরটি জানান এই দম্পতি।

ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি। তাতে দেখা যায়, বরুণের হাতটি শক্ত করে ধরে আছেন লাবণ্য। পাশাপাশি ছোট্ট এক জোড়া জুতা। এ ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “জীবনের সবচেয়ে চমৎকার চরিত্রটি এখনো আসেনি। খুব শিগগির আসছে।”

এরপর থেকে সহকর্মী, ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই দম্পতি। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মধ্যে রয়েছেন— কাজল আগরওয়াল, রেজিনা, আদিত্য রায় হায়দারি, রাম চরেণে স্ত্রী উপাসনা, রাকুল প্রীত সিং, অভিনেতা নিতিন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা, ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ

বাবা-মা হতে যাচ্ছেন নাগা-শোভিতা?

বরুণ তেজ ও লাবণ্য ত্রিপাঠি অভিনয় ক্যারিয়ারে আলাদা আলাদাভাবে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কয়েকটি সিনেমায় জুটি বেঁধেও অভিনয় করেছেন। ২০১৭ সালে ‘মিস্টার’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম পরিচয়। পরবর্তীতে সম্পর্কে জড়ান বরুণ-লাবণ্য। তাদের প্রেম নিয়ে কানাঘুষা কম হয়নি। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।

২০২৩ সালের ৯ জুন ভারতের হায়দরাবাদে আংটি বদল করেন বরুণ-লাবণ্য। এর মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দেন। একই বছরের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ইতালিতে হয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ