তরুণদের ক্যারিয়ার সচেতনতা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো কিরন প্রেজেন্টস ‘বরিশাল ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৫’। শনিবার বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক) প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষার্থী, নবীন পেশাজীবী ও তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নেন। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।  

এক্সিলেন্স বাংলাদেশ, জেসিআই ঢাকা হেরিটেজ, বিজ্ঞান ও গবেষণা ক্লাব বিটেক এবং ক্যারিয়ার ক্লাব বিটেকের যৌথ উদ্যোগে এই ইভেন্টে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাংচিল মিউজিকের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিপেশ নাগ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, বরিশালে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান উপস্থাপক রাশেদ ইমাম, ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদিন হাসান, এম টেক্স.

এর কান্ট্রি ম্যানেজার আরিফুল ইলাম, সাসনেক্স লিমিটেডের পরিচালক আলেয়া আকতার এবং মিডিয়া মিক্স কমিউনিকেশনস এর সিইও আবদুল্লাহ হাসান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের কর্পোরেট নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। শুধু ডিগ্রি নয়, ক্যারিয়ার গঠনের জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা, নেটওয়ার্কিং এবং লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করার মানসিকতা। তারা বলেন, এমন আয়োজন তরুণদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, চিন্তার পরিসর বিস্তৃত এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার একটি বড় সুযোগ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল অন ষ ঠ বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘তুমি কি মুসলিম’ বলেই নিউইয়র্কের সাবওয়েতে নারীর ওপর হামলা

নিউইয়র্ক নগরের সাবওয়েতে ৫৫ বছর বয়সী নারী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই নারী বলেন, ‘তুমি কি মুসলিম’ প্রশ্ন করার পরই তাঁকে মারধর করেছেন হামলাকারী।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি ওই নারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে।

গত বুধবার ভোরে নিউইয়র্ক নগরের কুইন্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারী যখন সাবওয়েতে ট্রেনে উঠছিলেন, তখন ৩৪ বছর বয়সী নাভেদ দুরানি নামের ওই হামলাকারী তাঁর খুব কাছাকাছি চলে আসেন।

ওই নারী বলেন, ‘তিনি (হামলাকারী) আমাকে বললেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? তুমি কি মুসলিম?’

হামলার শিকার নারী বলেন, ‘আমি বললাম, হ্যাঁ। তখনই ওই ব্যক্তি আমাকে লাথি–ঘুষি মারতে শুরু করেন, সবদিক থেকে আঘাত করেন।’

ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ার পরপরই হামলা শুরু হয়। পরবর্তী স্টেশনে যাওয়া পর্যন্ত হামলা চলে। পরের স্টেশনে ট্রেন থামার পর নাভেদ দুরানি পালিয়ে যান।

ওই নারী বলেন, ‘আমি শুধু বলছিলাম, থামুন থামুন। কিন্তু হামলাকারী থামেননি। আমি বুঝতেই পারিনি, কী হচ্ছে।’

নিউইয়র্ক নগর পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নাভেদ দুরানি মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তিনি ওই নারীর মুখ, মাথা ও ঘাড়ে ঘুষি ও লাথি মেরেছেন।

ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, দুরানি ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি মুসলিম কি না। পরে তাঁকে মারধর করে পালিয়ে যান। দুজন নারী যাত্রী ও সাবওয়ে কন্ডাক্টরের সহায়তায় পুলিশ দুরানিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

নিউইয়র্ক নগর পুলিশ বিভাগ ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছে, ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধ ও আক্রমণের অভিযোগে দুরানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রান্ত নারী মাথায় চোট পেয়েছেন। হামলায় তাঁর নাক ভেঙে গেছে এবং তিনি সারা শরীরে আঘাত পেয়েছেন।

ওই নারী বলেন, ‘এই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আগে কখনো এমন কিছু ঘটেনি। আমি কীভাবে তাঁর (হামলাকারীর) মুখ ভুলতে পারি?’

ওই নারীর চিকিৎসা, মানসিক সহায়তা, বাসাভাড়া ও খাবার কেনার মতো জরুরি খরচ মেটাতে ‘গো ফান্ড মি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তা নিজেকে ওই নারীর সন্তান উল্লেখ করে পেজে লিখেছেন, ‘তিনি (ওই নারী) শুধু নিজের ও তাঁর পরিবারের দুজন সদস্যের ভরণপোষণের চেষ্টা করছিলেন। একজন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি মুসলিম কি না। তিনি শান্তভাবে ‘‘হ্যাঁ’’ বলার পরপরই লোকটি আচমকা তাঁকে হিংস্রভাবে আঘাত করেন।’

ওই নারী ‘শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন’ বলে জানিয়েছেন তহবিল সংগ্রহকারী। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করা হলেও ‘শুধু ন্যায়বিচার পেলেই মানসিক আঘাত দূর হয় না, চিকিৎসার খরচও কমানো সম্ভব নয়।’

তহবিল সংগ্রাহক আরও বলেন, ‘জরুরি চিকিৎসা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো, ওষুধ এবং পরীক্ষা–নিরীক্ষার খরচ অনেক বেশি। তার চেয়েও খারাপ কথা হলো, মাথায় আঘাতের লক্ষণ এখনো যাচ্ছে না। এর ফলে তিনি কাজে ফিরতে পারছেন না। এ জন্য নিজের ও পরিবারের সদস্যদের খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। বাসাভাড়া, বিদ্যুৎ ও ন্যূনতম জীবনযাত্রার খরচ মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ