জারুল-সোনাইলের সৌন্দর্য যেন থামিয়ে দেয় মহাসড়কের ব্যস্ততা
Published: 6th, May 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশজুড়ে যেন এক রঙিন ফুলের রাজ্য। পিচঢালা মহাসড়কের বুকে বর্ণিলভাবে সেজে আছে লাল সোনাইল ফুল। দেখলে মনে হবে চলাচলকারীদের যেন অভ্যর্থনা জানাচ্ছে লালচে গোলাপি ও সাদার সংমিশ্রণযুক্ত ফুলগুলো। কাছে যেতেই যে কারও ইচ্ছা করে একমুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়াতে।
এমন চিত্র মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার। শুধু লাল সোনাইলই নয়, ব্যস্ততম এই মহাসড়কে একই সঙ্গে রূপের পসরা সাজিয়ে ফুটেছে বেগুনি রঙের মায়াভরা জারুল ফুলও। আদর্শ সদর উপজেলার নাজিরা বাজার থেকে শুরু করে বুড়িচংয়ের কোরপাই এলাকা পর্যন্ত শত শত গাছে ফুটেছে মনোমুগ্ধকর বেগুনি আর নীলাভ রঙের জারুল ফুল। জারুলের বেগুনি মায়া আর লাল সোনাইলের গোলাপি আভায় মোহিত মহাসড়কে চলাচলকারী হাজারো পথচারী।
ঋতুচক্রে প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। বাংলা বছর শুরুর এই মৌসুমে প্রকৃতিতে রংবেরঙের বাহারি ফুলের মনমাতানো সৌরভ, রাঙিয়ে তুলেছে নান্দনিক রূপে। তেমনই মহাসড়কের বিভাজকে জারুল-লাল সোনাইলের ফাঁকে ফাঁকে ফুটে আছে নানা প্রজাতির ফুলও। কোথাও সোনালু আবার কোথাও কৃষ্ণচূড়া, যার চোখজুড়ানো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন চলাচলকারীরা।
জারুল ফুলের রঙে সেজেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। রোববার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ডুবাইচর এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পাবেন পুরস্কার
যুক্তরাষ্ট্রের নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে নিজ দেশে ফেরত যেতে চান, তাদের প্রত্যেককের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। সূত্র : আলজাজিরা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নথিবিহীন অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে ১ হাজার ডলার করে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই ১ হাজার ডলারের বাইরে নিজ দেশে ফেরার জন্য আলাদা অর্থ দেওয়া হবে তাদের এবং সিবিপি অ্যাপের মাধ্যমে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী জানাবেন যে তারা নিজ দেশে ফিরতে চান, তাদেরকে বন্দিশালায় রাখা হবে না কিংবা বলপ্রয়োগ করা হবে না।
সোমবারের বিবৃতিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম নথিবিহীন অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা যারা অবৈধভাবে এই দেশে বসবাস করছেন, তাদের জন্য স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়া হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ঠ, সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সাশ্রীয় পন্থা। যারা এই পন্থ অবলম্বন করতে আগ্রহী— তাদেরকে সিবিপি হোম অ্যাপের মাধ্যমে ১ হাজার ডলার সহায়তা ও ও তাদের যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে চান— তাদেরকে অর্থ সহায়তা ও যাতায়াত ব্যয় সরবরাহ করা হলেও সেটি হবে অনেক সাশ্রয়ী। কারণ বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান, বন্দিশালা ও তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রত্যেক অভিবাসীর পেছনে মাথাপিছু গড়ে ১ হাজার ৭০০ ডলার ব্যয় হচ্ছে।
গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তিনি এই আদেশে স্বাক্ষর করার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে অভিযান শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সংখ্যা অবশ্য তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের চেয়ে কম। কারণ পরিসংখ্যাণ বলছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন যে যেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাদের ফের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, “তাদের মধ্যে যারা ভালো এবং বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা অবশ্যই সহায়তা করব।”