ওষুধশিল্পে পরনির্ভরতা কমাতে ও সুলভ মূল্যে ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা.

এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।

সুপারিশে বলা হয়েছে, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ওষুধশিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। এজন্য কাঁচামাল উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ব্যবস্থার পাশাপাশি নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করা।

কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সংস্কার প্রতিবেদনে সরকারি হাসপাতালে সেবা বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা, বেসরকারি হাসপাতালে সেবামূল্য নির্ধারণ, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওষুধের কাঁচামাল তৈরি, স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সার্ভিস গঠনসহ ৩২টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সাউথ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ হারালেন নড়িয়ার বিল্লাল

সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনের একটি দোকানে ডাকাতি শেষে সন্ত্রাসীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন (৩৮) নামে একজন শরীয়তপুরের। তিনি নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা এলাকার সিরাজ শিকদারের মেজো ছেলে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে তার পরিবার। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

পরিবার জানায়, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ৯ বছর আগে সাউথ আফ্রিকা পাড়ি জমান দিনারা এলাকার বিল্লাল হোসেন। তিনি কেপটাউনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন। সাউথ আফ্রিকার সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে সেই প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ডাকাত দল। এসময় তারা নগদ টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বিল্লাল হোসেন ও তার আরেক সহকর্মী কিশোরগঞ্জ জেলার এমদাদুল হক।

গ্রাম পুলিশ জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘বিল্লাল খুবই ভালো ছেলে ছিলো। তারা ৩ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই আলাদা থাকেন। আর ছোট ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিল্লালের টাকায় তার পরিবার চলতো। এই ঘটনার পর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।’’  

নিহতের বাবা সিরাজ শিকদার বলেন, ‘‘এভাবে আমার ছেলে মারা যাবে মেনে নিতে পারছি না। আমরা এখন কীভাবে বাঁচবো। আমার ছেলের মুখটা শেষ বারের মতো দেখতে চাই।’’  

এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘আমরা পরিবারটির খোঁজ খবর নিবো। মরদেহ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে উপজেলা প্রশাসন থাকবে।’’

ঢাকা/আকাশ/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ