দাদির নামে ‘হীরামন মঞ্জিল’, কেমন ছিল মুস্তাফা জামান আব্বাসীর ছেলেবেলা
Published: 10th, May 2025 GMT
সত্যি বলতে, গান মিশে আছে তাঁর রক্তের মধ্যে। এই গান শোনা আর গান গাওয়া চলে আসছে সেই ছোট্টবেলা থেকে। আব্বাসী বলেন, কুচবিহারে তাঁর বাবা আব্বাসউদ্দীন এমন এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছিলেন, যেখানে ধানখেতের আলের মধ্যে সুর ঘুরে বেড়াত। সেই সংগীতকে তিনি মাঠ থেকে তুলে এনে শহরের মানুষের দোরগোড়া অবধি পৌঁছে দিয়েছেন। ভারতবর্ষে তো বটেই, এমনকি বিশ্বদরবারেও বাংলা গানকে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। কুচবিহার থেকে পরে আব্বাসউদ্দীন কলকাতায় ৬ নম্বর বেনেপুকুর লেনে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। সেখানে তাঁকে ঘিরেই সংগীতের বিশাল এক পরিসর সৃষ্টি হতে থাকে। শুধু লোকসংগীত নয়, নজরুল ইসলামের ইসলামি গানকে তিনি সবার কাছে নিয়ে যান। নজরুলের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞও ছিলেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘আমার শরীরের প্রতি লোমকূপ নজরুলের কাছে ঋণী।’
মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সংগৃহীত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিনের জন্য পেনশন চালু করল কমিটি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক মুয়াজ্জিনের জন্য পেনশন চালু করেছে মসজিদ কমিটি। তাকে আমৃত্যু প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই।
শনিবার (৫ জুলাই) আছরের নামাজ শেষে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মাতুব্বর বাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসমাইল পাহলানকে (৭০) বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তার হাতে ২৫ হাজার টাকা, নতুন পোষাক, জায়নামাজ ও তসবিহ উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল পাহলান গত ৩০ বছর ধরে মাতুব্বর বাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার খেদমতে এলাকার মুসল্লিরা খুশি হয়ে এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পাগলা মসজিদে দান করা যাবে অনলাইনে
জৌলুস হারাচ্ছে ঐতিহাসিক ‘ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ’
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসমাইল পাহলান বলেন, “তারা আমাকে যেভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে এতে আমি অনেক আনন্দিত। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করছি। মসজিদের মুসল্লি এবং কমিটির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব।”
মসজিদ কিমিটির সভাপতি ইভান মাতুব্বর বলেন, “মসজিদে দীর্ঘ বছর খেদমত করে বিদায় নেওয়ার সময় ইমাম-মুয়াজ্জিনকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। যেটা কষ্টের বিষয়। এটি উপলব্ধি করে মুয়াজ্জিন সাহেবকে নগদ অর্থ সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাকে প্রতিমাসে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে অবসর ভাতা দেওয়া হবে। এটা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ