দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল। এরপর দলটির পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও, এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। সূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা ও পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ব্যস্ততার কারণে সফরটি ঝুলে আছে।
বাংলাদেশ দল যাচ্ছে দুই ধাপে। আজ বুধবার সকাল ১০টার ফ্লাইটে প্রথম দফায় আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হন রিশাদ হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারীসহ মোট ১০ জন ক্রিকেটার। বাকি সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টার ফ্লাইটে দেশ ছাড়বেন, সেই দলে থাকবেন অধিনায়ক লিটন দাসও।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ১৭ ও ১৯ মে ম্যাচ দুটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। ইতোমধ্যে এই সিরিজের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু করেছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। সাধারণ গ্যালারির টিকিট ৩০ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৯০ টাকা), গোল্ড/প্লাটিনাম শ্রেণির টিকিট ৭৫ দিরহাম (প্রায় ২,৪৭৫ টাকা) ও ভিআইপি বক্সের টিকিট ২০০ দিরহামে (প্রায় ৬,৬১২ টাকা) মিলছে।
বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে আছেন লিটন দাস। আর কেবল আমিরাত সফরের জন্য সহ–অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন শেখ মেহেদী হাসান। এই সফরের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ, তবে এখনো দল ঘোষণা করেনি স্বাগতিক আমিরাত।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের জন্য বাংলাদেশের দল: লিটন দাস (অধিনায়ক), শেখ মেহেদী হাসান (সহ–অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিসংঘের প্রতিবেদন ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা কেন নয়, রুল হাইকোর্টের
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণ বা গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি কেন সংরক্ষণ করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন।
এর আগে ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা এবং গণহত্যায় (জুলাই-আগস্ট) দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। দেশজুড়ে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য অপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ ও গুরুতর আহতসহ অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যে প্রতিবেদন দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল। ওই প্রতিবেদন গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিট আবেদনকারী।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, জড়িতদের বিচারের জন্য গত বছরের আগস্টে রিটটি করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে রুল দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন দল কাজ করছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে দেখা যায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। এখানে কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, এখানে রাজনৈতিক প্রভাব কেমন ছিল এবং সে সময় বিচারব্যবস্থা কেমন ছিল অর্থাৎ প্রতিবেদনটি যথাযথ। এ প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তাই তিনটি উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি সংরক্ষণ করা উচিত। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।
আরও পড়ুনদায়ীদের সুবিচার নিশ্চিতের তাগিদ ফলকার টুর্কের০৫ মার্চ ২০২৫