ট্রাম্পের আলকাট্রাজ চালুর ঘোষণা: মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই তিন ‘ম্যাকগাইভার’ বন্দীর পালানোর ঘটনা
ছবি : আন্তর্জাতিক/alcatraz reuters/alcatraz reuters inner/alcatraz reuters Prison/alcatraz outside reuters/alcatraz cell reuters
ক্যাপ:
ক্যাপ:
ক্যাপ:
ক্যাপ: ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর আলকাট্রাজ কারাগারের বাইরের অংশ-ছবি: রয়টার্স
ক্যাপ:
সেকশন : যুক্তরাষ্ট্র
মেটা:

এক্সার্প্ট:
ট্যাগ:

সিএনএন

আলকাট্রাজ দুর্ভেদ্য। এটাই কুখ্যাত এ কারাগারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখান থেকে কেউ পালাতে পারে না। কিন্তু একে যত দুর্ভেদ্য বলা হোক না কেন, এ কারাগার থেকেও পালানোর ঘটনা রয়েছে। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তাঁদের শুধু বুদ্ধি, সাহস আর ৫০টি রেইনকোট।

১৯৬২ সালের ১১ জুন। তিনজন বন্দী, যাঁদের বয়স তিরিশের কোঠায় সেই ফ্যাঙ্ক মরিস এবং দুই ভাই ক্লারেন্স ও জন অ্যাংলিন নিজেদের কারাকক্ষের দেয়ালে তৈরি লুকানো গর্ত দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এরপর নিজেদের তৈরি ভেলা নিয়ে চুপিচুপি বেরিয়ে পড়েন। তাঁদের এই দুঃসাহসী কাজ করতে গিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে পাইপ দিয়ে তাঁদের ছাদে উঠতে হয়েছিল। দেয়াল টপকে সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরের হিমশীতল ও ঢেউতোলা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্বীপের মধ্যে তৈরি আলকাট্রাজ দুর্গ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার এ কারাগারটি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। দ্বীপের কারাগারটি থেকে সত্যিকার অর্থেই পালানো অসম্ভব—এ ধারণাটিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের কারা ব্যুরো এটি চালানো ব্যয়বহুল হওয়ায় ৬০ বছরের বেশি আগে বন্ধ করে দেয়।

সম্প্রতি ওভাল অফিসে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আলকাট্রাজ থেকে কেউ কোনো দিন পালাতে পারেনি।’ ট্রাম্প বলেছেন, তিনি তাঁর সরকারকে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের কাছে একটি দ্বীপে অবস্থিত কুখ্যাত কারাগার আলকাট্রাজ আবার চালু ও সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪ মে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক বেশি দিন ধরে আমেরিকা হিংস্র, সহিংস এবং পুনরাবৃত্ত অপরাধীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর আলকাট্রাজ দ্বীপে অবস্থিত আলকাট্রাজ কারাগারের ভেতরের অংশ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আলক ট র জ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬

ভারতের তামিলনাড়ুতে এক বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার ভোরে তামিলনাড়ুর শিবকাশিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন ভোরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয়দের। তাঁরা বেরিয়ে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানাটি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

জানা যায়, প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নেয়। ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।

উল্লেখ্য, শিবকাশি এলাকাকে 'ফায়ারওয়ার্কস ক্যাপিটাল অব ইন্ডিয়া' বলা হয়। এখানকার বাজির কারখানাগুলো ছাড়াও ম্যাচ ও প্রিন্টিং শিল্পও সমানভাবে সক্রিয়। এই জেলার অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভরশীল এই শিল্পগুলোর ওপর। মাত্র একদিন আগেই তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় একটি ওষুধ তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ৪২ জন। তামিলনাড়ুর ঘটনাতেও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ