মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না: সমমনা পরিষদ
Published: 17th, May 2025 GMT
রাজধানীর মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বনশ্রী সমমনা পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, ‘হাইকোর্ট পশুর হাট বসাতে স্থিতি অবস্থার আদেশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তালিকা থেকে মেরাদিয়া হাট বাদ দিলেও একটি চক্র হাট বসাতে তৎপর। তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমরা ভয় পাই না। মেরাদিয়ায় অবৈধ হাট বসাতে দেওয়া হবে না।’
শনিবার মেরাদিয়া বাজারে সমমনা পরিষদ-বনশ্রী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বনশ্রীর মোরাদিয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মানুষের বাড়ি-ঘরের সামনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবং সিটি করপোরেশন কর্তৃক হাটের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরে হাট বসানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, যারা হাট বসায় তারা বনশ্রী বা আফতাবনগরের কেউ নন। তারা আসে সবুজবাগ, বাড্ডা, খিলগাঁও থেকে আসেন। কোনো রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও তারা বড় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয় দেখায়। আজ থেকে কোরবানির হাটের দিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। যদি আমাদের বাসার সামনে গরু আনা হয়, আমরা ঝাড়ু ও বাথরুম পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে প্রতিরোধ করব।
মানববন্ধনে বনশ্রীর সমমনা পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন শিকদার বলেন, বনশ্রীর মেরাদিয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ৬৮০টি বাড়ি আছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসার গ্যারেজ, এমনকি মূল ফটকের সামনেও হাট বসানো হয়। এতে মালিক-ভাড়াটিয়ারা বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এলাকায় নোংরাভাব ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের ১৫ দিন আগ থেকেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং সিটি করপোরেশনের হাট তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও গরুর হাট বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বনশ র
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের একজন নারী একটি ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাতে লেখা ছিল ‘নদী আমাদের মা, মায়ের বুক ভাঙা চাই না।’ এ রকম আরও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষেরা।
জেলার চারঘাট উপজেলা সদরে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙনকবলিত পাঁচটি গ্রামের মানুষের উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত এই আয়োজন হয়।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, চারঘাট উপজেলার গোপালপুর, রাউথা, পিরোজপুর, সাহাপুর এবং বাঘা উপজেলার চক রাজাপুর, আতারপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে আগামীতে ভাঙনের ঝুঁকি আছে। এই আশঙ্কায় ভাঙনকবলিত গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন চারঘাটের পিরোজপুর গ্রামের শাহানাজ বেগম (৪০। তিনি বললেন, ‘আমার বাড়ি নদীর পাড়ের ওপরে ঝুলি আছে। যকুন তকুন ভাইঙ্গি পড়বি।’
একই এলাকা থেকে এসেছেন পারভীনা খাতুন (৩৫)। সঙ্গে তাঁর শিশু ও বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, নদী একেবারে পায়ের তলায় এসে গেছে। তাঁদের আর পেছনে সরার জায়গা নেই।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ। তিনি বলেন, পিরোজপুর, গোপালপুর, সাহাপুর এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে নদীভাঙন অব্যাহত আছে। এলাকার অন্তত ৫০০ মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার বাস্তুহারা মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছেন। তাঁরা এলাকায় ফিরতে পারছেন না। এই ভাঙনকবলিত এলাকায় এবার যদি বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অচল করে দেওয়া হবে। তাঁদের অফিস করতে দেওয়া হবে না।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালেক আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শাহীনুর রহমান, ভাঙনকবলিত এলাকার শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।