জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে শুরু, এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত। গতকাল রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শুধু প্রোমোটেড শিক্ষার্থীরা ‘এফ’ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনার্স প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম পূরণসংক্রান্ত আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কোর্সের ইনকোর্স নম্বর দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে ২০ মে থেকে শুরু হবে, টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ জুন।

আবেদন ফরম সংগ্রহ

অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার আবেদন ফরম পরীক্ষার্থী নিজে অথবা কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা www.

nubd.info/honours থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করে Application Form ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি নির্ধারিত ফিসহ নিজ নিজ বিভাগে জমা দিবেন।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শর্তাবলি

নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশনকৃত অনার্স কোর্সের সব ছাত্রছাত্রী (যাঁরা রেগুলেশন অনুযায়ী কোর্স সম্পন্ন করেছেন) ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

আরও পড়ুনসাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে২২ ঘণ্টা আগে

অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য

২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Not Promoted হয়েছেন অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, ওই সব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। Not Promoted শিক্ষার্থীকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না।

গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের জন্য

২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষে যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন, ওই সব শিক্ষার্থীরা শুধু C, C+ এবং D গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স/কোর্সগুলোয় গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২টি (দুই) পত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

যেসব শিক্ষার্থী ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন কিন্তু এক বা একাধিক কোর্সে এফ গ্রেড রয়েছে, তাঁরা ২০২৪ সালের পরীক্ষায় এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স বা কোর্সগুলোয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সব এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে (রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদে) অবশ্যই ন্যূনতম ‘D’ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।

২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে C Promoted–প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতপত্রে ২০২৪ সালের পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুনউপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করল সরকার৪ ঘণ্টা আগে

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তাবলি

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক কোর্সে (এফ) গ্রেডপ্রাপ্ত (অকৃতকার্য) শিক্ষার্থীরা সর্বমোট পাঁচ হাজার টাকা ফি প্রদান করে শুধু ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নবায়নের কোনো প্রয়োজন হবে না। কোনো শিক্ষার্থী ফরম পূরণ/পরীক্ষায় অংশগ্রহণ/অকৃতকার্য হলে কোনো অবস্থাতেই পরবর্তী সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় গেড উন্নয়নের কোনো সুযোগ নেই।

আরও পড়ুনসাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে ১৭ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন য ম ত পর ক ষ র থ ক ষ র থ দ র জন য ত পর ক ষ র থ দ র শ ক ষ বর ষ র সব শ ক ষ র থ র পর ক ষ ড উন ন

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী