জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে
Published: 19th, May 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে শুরু, এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত। গতকাল রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শুধু প্রোমোটেড শিক্ষার্থীরা ‘এফ’ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনার্স প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম পূরণসংক্রান্ত আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কোর্সের ইনকোর্স নম্বর দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে ২০ মে থেকে শুরু হবে, টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ জুন।
আবেদন ফরম সংগ্রহ
অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার আবেদন ফরম পরীক্ষার্থী নিজে অথবা কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা www.
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শর্তাবলি
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশনকৃত অনার্স কোর্সের সব ছাত্রছাত্রী (যাঁরা রেগুলেশন অনুযায়ী কোর্স সম্পন্ন করেছেন) ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুনসাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে২২ ঘণ্টা আগেঅনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য
২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Not Promoted হয়েছেন অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, ওই সব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। Not Promoted শিক্ষার্থীকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না।
গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের জন্য
২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষে যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন, ওই সব শিক্ষার্থীরা শুধু C, C+ এবং D গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স/কোর্সগুলোয় গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২টি (দুই) পত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যেসব শিক্ষার্থী ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেয়েছেন কিন্তু এক বা একাধিক কোর্সে এফ গ্রেড রয়েছে, তাঁরা ২০২৪ সালের পরীক্ষায় এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্স বা কোর্সগুলোয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সব এফ গ্রেডপ্রাপ্ত কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে (রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদে) অবশ্যই ন্যূনতম ‘D’ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে C Promoted–প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতপত্রে ২০২৪ সালের পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুনউপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করল সরকার৪ ঘণ্টা আগে২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তাবলি
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক কোর্সে (এফ) গ্রেডপ্রাপ্ত (অকৃতকার্য) শিক্ষার্থীরা সর্বমোট পাঁচ হাজার টাকা ফি প্রদান করে শুধু ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নবায়নের কোনো প্রয়োজন হবে না। কোনো শিক্ষার্থী ফরম পূরণ/পরীক্ষায় অংশগ্রহণ/অকৃতকার্য হলে কোনো অবস্থাতেই পরবর্তী সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় গেড উন্নয়নের কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুনসাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, চলবে ভিন্ন মডেলে ১৭ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন য ম ত পর ক ষ র থ ক ষ র থ দ র জন য ত পর ক ষ র থ দ র শ ক ষ বর ষ র সব শ ক ষ র থ র পর ক ষ ড উন ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক দুই মন্ত্রীর ছেলে–বোনসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রারসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার এ–সংক্রান্ত অফিসে আদেশ জারি করেন উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফ।
অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীনের ছেলে মাহিদ বিন আমীন ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের বোন আইরিন সুলতানাও রয়েছেন। চিকিৎসক মাহিদ বিন আমীন সহকারী রেজিস্ট্রার এবং চিকিৎসক আইরিন সুলতানা উপ–কলেজ পরিদর্শক ছিলেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হাসিনা নাসরীন, সহকারী রেজিস্ট্রার এ এম শাহদাত হোছাইন ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু মোহাম্মদ মাসুদ। হাসিনা নাসরীন নোয়াখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদ উল্লাহ খানের বোন। শাহদাত ও মোহাম্মদ মাসুদ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
অব্যাহতি আদেশে লেখা হয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত কর্মকর্তার নিয়োগ ও পদোন্নতি সংবিধি ২০২২–এর ধারা ১৪–এর ২৪ উপধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে অব্যাহত দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য ওমর ফারুক ইউসুফকে ফোন করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অব্যাহতি পাওয়া সহকারী রেজিস্ট্রার মাহিদ বিন আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কালও অফিস করেছি। পরে আজ চিঠি পেলাম। এখন দেখি কী করা যায়।’