বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘‘পপকর্ন ব্রেনের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’’ পপকর্ন ব্রেন আসলে কী?— এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগে আমাদের জীবন যাপনের ওপর কি কি প্রভাব ফেলছে, সেগুলো একবার ভাবা দরকার। সব কিছুতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। সমীক্ষা বলছে, মানুষ একটানা মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে, একাগ্রতা হারাচ্ছে।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক গ্লোরিয়া মার্ক জানিয়েছেন, ‘‘কোনো একটি কাজে কতক্ষণ একটানা মনোযোগ দিতে পারছেন, তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে। ধরুন,  বই পড়া শুরু করেছেন, ঠিক কতটুকু সময় বই পড়বেন তারপর অন্য কাজ শুরু করবেন তার কিন্তু একটা হিসেব আছে। দেখা গেছে, ২০০৪ সাল পর্যন্ত যেকোনো একটি কাজে আড়াই মিনিটের মতো মনোযোগ দিতে পারতো কমবয়সিরা, ২০১০ সালের পরে তা কমে হয় ৭৫ সেকেন্ড। বর্তমানে এই স্থিতিশীলতা আরও কমেছে কমবয়সীরা একটি কাজে মাত্র ৪৭ সেকেন্ড মনোযোগ দিতে পারছে। অর্থাৎ ‘অ্যাটেনশন স্প্যান’ কমতে কমতে ৪৭ সেকেন্ডে গিয়ে ঠেকেছে।

২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের গবেষক ডেভিড লেভি তার গবেষণাপত্রে ‘পপকর্ন ব্রেন’ সিনড্রোমের কথা প্রথম বলেন। গবেষকের বক্তব্য ছিল, ‘‘একটি কাজ থেকে অন্য আরেকটি কাজ শুরু করার জন্য কয়েক সেকেন্ড সময় নিচ্ছে এখনকার প্রজন্ম। এর  ফলে কোনও কাজই ঠিকমতো সম্পন্ন হচ্ছে না। পড়াশোনা, বই পড়া, টিভি দেখা অথবা নিজের পছন্দের কোনও কাজের ক্ষেত্রেও তারা একই মনোভাব দেখাচ্ছে। পড়তে বসে হঠাৎ টিভি দেখতে শুরু করছে আবার টিভি চালিয়ে হয়তো মনে করছে,গল্পের বইটা শেষ করা দরকার। দেখা যাচ্ছে বইয়ের পাতায় কয়েক সেকেন্ড মন দেওয়ার পরেই মোবাইল হাতে নিয়ে ইউটিউব চালিয়ে দিচ্ছে। এই যে অস্থিরতা, তারই নাম ‘পপকর্ন ব্রেন’।

আরো পড়ুন:

তিতুমীর কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মসূচি

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি

কেন মনোযোগ কমছে
ডিজিটাল ডিভাইসে নির্ভরতা অর্থাৎ মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপে দিনরাত ব্যস্ত থাকায় মনোযোগ কমেছে। নানা ডিভাইস থেকে আসা নোটিফিকেশন মানুষের মনে অস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের ঝলমলে জীবনচিত্র কিংবা হতাশাজনক অবস্থা দেখেও মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন য গ দ

এছাড়াও পড়ুন:

লালপুরে বিয়ের প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণ, মামলা

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাদিম আলী (৩০) নামে যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে লালপুর থানায় মামলা করেছেন।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে লালপুর থানার ওসি মমিনুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত নাদিম আলী উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যা: ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২

ঝিনাইদহে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন

ভুক্তভোগী নারীর দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে নাদিমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাদিম। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য নাদিমকে চাপ দেন। গত ৩০ জুন তাকে আটকে কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল এলোমেলো করে কেটে দেন নাদিম। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (৪ জুলাই) ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দেন।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাদিম আলী। তিনি জানান, ভিত্তিহীন অভিযোগে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই নারী।

লালপুর থানার ওসি মমিনুজ্জামান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ