ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু হবে তার। আসন্ন সিরিজ দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশেরও। আগামীকাল কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বহুল উচ্চারিত পঞ্চপান্ডবের অধ্যায় পেরিয়েছে আরও আগেই। মাশরাফি অবসর না নিলেও জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সাকিব আল হাসানও জাতীয় দল থেকে যোজন যোজন দূরে। তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছেন। এবারই সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের সীমিত ওভারের যাত্রা।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হতে যাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করছেন, অভিজ্ঞদের না থাকাটা চ্যালেঞ্জের হলেও এটি তরুণদের জন্য দারুণ এক সুযোগ। কলম্বোয় সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন টাইগার অধিনায়ক।

মিরাজ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমরা সিনিয়রদের মিস করব। তারা অনেক দিন দেশের হয়ে খেলেছেন। তবে যেহেতু তারা অবসর নিয়েছেন, এটাও মেনে নিতে হবে। তবে এখন যারা দলে এসেছে, তাদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। ভালো করলে সামনে স্থায়ী হতে পারবে। আমি মনে করি, দল হিসেবে আমরা ভালো করব।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। এবার তাদের কেউই নেই। তাই তাদের জায়গায় কারা সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি কারা তাদের জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে। এই ধরনের রদবদল এক-দুই সিরিজে হয়ে যাবে না। সময় দিতে হবে। একসঙ্গে এত সিনিয়র খেলোয়াড় সরে যাওয়াটা দলের জন্য একটু কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করছি ওই জায়গাগুলোতে উন্নতি আনতে।’

আগামী ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে এখন থেকেই দল গোছাতে চায় বাংলাদেশ। মিরাজ মনে করেন, এটা তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার সেরা সময়। নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের ভাষ্যে, ‘বিশ্বকাপের জন্য অনেক সময় হাতে আছে। কিছু নতুন খেলোয়াড় এসেছে, যারা নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারে। আমরা পরিকল্পনা করছি কীভাবে এই সময়ের মধ্যে দলটাকে প্রস্তুত করা যায়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কারা হবেন নতুন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

সদ্য বিদায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ কী বলেছেন, তা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। ওয়ানডে দল পরিচালনায় নাজমুলের সাহায্য চেয়ে মিরাজ বলেছেন, দুজন মিলেই দলটাকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে চান।

মিরাজের সেই যাত্রা শুরু হবে কাল থেকে, কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে। তার ঠিক আগে দলের অধিনায়কত্বে যেমন নতুনত্ব এসেছে, পুরোনো দল থেকে খসে পড়েছেন দুজন বড় তারকাও। গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন মুশফিকু রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক এখনো টেস্ট খেললেও মাহমুদউল্লাহ এখন সব সংস্করণেই সাবেক ক্রিকেটার। ওয়ানডে থেকে তাঁদের অবসরের পর এই প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।

আরও পড়ুননাজমুলের কাছে যে সাহায‍্য চাইলেন মিরাজ২০ ঘণ্টা আগে

তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন, সাকিব আল হাসান অবসর না নিয়েও ‘অবসরে’, এখন মুশফিক–মাহমুদউল্লাহও নেই। মাশরাফি বিন মুর্তজা তো নেই আরও আগে থেকেই। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের যে ‘যাই যাই’ রব, টি–টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও এখন সেটির আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে গেছে।

মুশফিক–মাহমুদউল্লাহর যুগপৎ বিদায়ে একটু অনভিজ্ঞ হয়ে পড়বে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার। তাঁরা অবসরে চলে গেলেও মিডল অর্ডারে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর নির্ভরযোগ্য বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি বা হলেও তাঁদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা এখনো প্রমাণের অপেক্ষায়। অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার মানসিকতা—দুটো মিলেই আসলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকবেন মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ। তাঁদের বিকল্প রাতারাতি হবেও না। তবে যাঁরা আছেন, ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নতুন করে পথ দেখাতে হলে তাঁদেরই হয়ে উঠতে হবে নতুন মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ–সাকিব।

তাওহিদ হৃদয় কি মিডল অর্ডারের হাল ধরতে পারবেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা হবেন নতুন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ