বর্ষাকালে আবহাওয়া থাকে স্যাঁতসেঁতে, আকাশ থাকে মেঘে ঢাকা আর সূর্যের দেখা মেলে খুব কমই। ফলে জামা-কাপড় ঠিকভাবে শুকাতে না পেরে অনেক সময় থেকে যায় হালকা ভেজা। সেখান থেকেই তৈরি হয় অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গন্ধ। এই গন্ধ যেমন অস্বাস্থ্যকর, তেমনি বিরক্তিকরও। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আর একটু বাড়তি যত্নে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় এ সমস্যার হাত থেকে।
কাপড় ভালোভাবে ধোয়া
বর্ষায় কাপড় ধোয়ার সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। গা থেকে বের হওয়া ঘাম বা বৃষ্টির পানি কাপড়ে জীবাণু ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই ধোয়ার সময় গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট। প্রয়োজনে অ্যান্টিসেপটিক বা ডেটল, স্যাভলন মিশিয়ে নিতে পারেন।
কাপড় শুকানোয় যত্ন
বর্ষায় সরাসরি রোদ না পেলেও হাওয়ার সংস্পর্শে কাপড় শুকানোর চেষ্টা করুন। জানালার পাশে, বারান্দায় বা ফ্যানের নিচে কাপড় মেলে দিন– যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। প্রয়োজনে শুকনো তোয়ালে দিয়ে একটু চাপ দিয়ে অতিরিক্ত পানি শুষে নিন।
ইস্ত্রি করে নেওয়া
বর্ষাকালে ইস্ত্রি করাটা শুধু কাপড় চিপচিপে ভাব দূর করে না, বরং হালকা ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে হালকা কাপড়, শাড়ি বা জামা ইস্ত্রি করলে তা দীর্ঘসময় থাকে সজীব ও গন্ধহীন।
কাপড় রাখার পদ্ধতি
শুকনো কাপড় সরাসরি আলমারিতে রাখার আগে ভালো করে দেখে নিন সত্যিই শুকিয়েছে কিনা। হালকা ভেজা থাকলে সেটি থেকে আবার গন্ধ হতে পারে। কাপড় রাখার জায়গায় অল্প পরিমাণ কর্পূর, ল্যাভেন্ডার স্যাচে বা শুকনো তুলোয় পারফিউম স্প্রে করে রেখে দিতে পারেন। এতে কাপড় থাকবে সুগন্ধি ও সতেজ।
ব্যবহারিক কিছু টিপস
কাপড় ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় একসঙ্গে গাদা করে রাখবেন না। প্রতি ২-৩ দিনে আলমারির দরজা খুলে কিছুক্ষণ বাতাস চলাচল করতে দিন। v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫