দেশের ৭৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব সংস্থার নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে আজ শনিবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি।

কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারও দাবি বা আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসি বরাবর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে। এরপর দাবি–আপত্তি নিয়ে শুনানি শেষে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করবে ইসি।

বর্তমানে দেশীয় কোনো সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে ইসিতে নিবন্ধিত হতে হয়। গত ১৮ জুলাই আগের নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সবগুলোর নিবন্ধন বাতিল করার কথা জানায় ইসি। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি নতুন করে পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

গত ২৭ জুলাই নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে ইসি। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত সময় ১০ আগস্ট বিকেল পাঁচটার মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ের পর আবেদন জমা হয় ১৩টি।

যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মিলেমিশে ক্রিকেট এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সবকিছুই এতো চটজলদি হয়েছিল আমিনুলের ঘোর কাটতে সময় লেগেছিল বেশ। তাকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব চালাতে হবে৷ 

চার মাস পর নির্বাচন হলো ঠিকই, নতুন এই বোর্ডের সভাপতি পুরনো মুখ আমিনুল। এবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। পাশে পেয়েছেন ফারুক আহমেদকে। তাকে সহ-সভাপতি বানিয়ে আমিনুল ২৫ পরিচালক নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদ সাজিয়েছেন চার বছরের জন্য।  

আরো পড়ুন:

ব্রিটসের রেকর্ডভাঙা সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জয়

লো স্কোরিং ম্যাচে রংপুরের জয়, বরিশাল-রাজশাহীর পয়েন্ট ভাগাভাগি

ফারুকের জায়গায় হুট করে আসা, এখন আবার ফারুককে নিয়েই বোর্ড গঠন...পুরো বিষয়টি মিশ্র পরিস্থিতি তৈরি করছে নিশ্চিত ভাবেই৷ কিন্তু ২২ গজের পুরনো দুই সতীর্থ দায়িত্ব গ্রহণ করেই জানিয়ে গেলেন, ক্রিকেট প্রশাসনিক কাজে দুজনই পুরনো ও পেছনের কথা ভুলে মিলেমিশে থাকবেন। এগিয়ে নেবেন ক্রিকেটকে। সেই প্রতিশ্রুতির একটা চিত্র পাওয়া গেল নির্বাচনের ময়দানেই,

‘’আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে যাত্রা শুরু করেছি। তার প্রমাণ হলো সভাপতি হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করেন ফারুক ভাই। আর আমি ফারুক ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করি সহ-সভাপতি হিসেবে। আমার বিশ্বাস আমরা একসঙ্গে চলতে ফিরতে কোনই সমস্যা হবে না। আমরা সবাই মিলে একসাথে ক্রিকেটকে একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

‘’ফারুক ভাই ছিলেন রূপালী ব্যাংকের ক্যাপ্টেন, আমি তখন প্লেয়ার। ফারুক ভাই ছিলেন বিমানের ক্যাপ্টেন, আমি তখন তার অধীনে খেলেছি। আবার বিশ্বকাপে ফারুক ভাই আমার আন্ডারে খেলেছেন। বোঝাপড়া ব্যাপারটা আমাদের বহু বছর ধরে হয়ে আছে। আমরা জানি কিভাবে মানিয়ে নিতে হয়।’’ - বলেছেন আমিনুল। 

মাত্র চার মাসের জন্য এসে চার বছরের লম্বা ইনিংস খেলতে হবে আমিনুলকে। আইসিসির চাকরি ছেড়ে আমিনুলের ঠিকানা এখন বিসিবি। কেন এত বড় পরিকল্পনা নিলেন তিনি? উত্তরে বলেছেন, ‘’এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ডেভেলপমেন্টের প্রেমেও পড়ে গিয়েছি। স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম। সেটাই সবসময়ের পরিকল্পনা ছিল।”

“কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ শুরু করলাম এবং সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি এবং সেই লক্ষ্যে আমার দেশকে আরও সার্ভ করার জন্য আমি রয়ে গেছি।”

আর ফারুক আহমেদের ভাবনা বেশ পরিস্কার, ‘’এখন আমরা সামনে এগিয়ে যাব, আমি পিছনে যেতে চাই না। মানুষের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা হয়, কঠিন সময় যায়। কিন্তু আমার কথা হলো এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন সভাপতি তিন-চার মাস ছিলেন। আবার তার নেতৃত্বে এখন আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পেয়েছি। আশা করি বোর্ডটা লম্বা সময়ের জন্য থাকবে এবং সেই পরিকল্পনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’'

‘’সভাপতি বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য...আপনারা এখানে যারা বসে আছেন আপনারা চান বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমরা এখানে যারা বসে আছি, আমরাও চাই বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। লক্ষ্য কিন্তু একটাই। এই লক্ষ্যের মাঝে কিছু জিনিস আসে...ওই জিনিসগুলো আমাদের ট্যাকেল দিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’
 

ঢাকা/ ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ