ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বয়স মাত্র ২৪ বছর। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই এখন তাঁর সামনে পড়ে আছে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা এ বয়সেই সম্ভবত ভবিষ্যতের পথরেখা ঠিক করে ফেলেছেন। ক্লাবের মালিক হতে চান। ইএসপিএনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, পর্তুগালে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলের একটি ক্লাব কেনার কথা ভাবছেন ভিনিসিয়ুস।

আরও পড়ুনসৌদি আরবে উত্ত্যক্তের শিকার মায়োর্কার ফুটবলারদের স্ত্রী ও সমর্থকেরা৬ ঘণ্টা আগে

পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগে ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি ক্লাব কিনতে আলোচনা শুরু করেছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর এই প্রচেষ্টায় একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পাশে আছে। স্পেনের রেডিও স্টেশন কাদেনা কোপের সাংবাদিক রবার্তো আন্তোলিন ভিনিসিয়ুসের ক্লাব কিনতে আলোচনা শুরুর খবর প্রথম প্রকাশ করেন।

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল খেলতে ভিনিসিয়ুস এখন রিয়ালের সঙ্গে সৌদি আরবে। সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। জেদ্দায় আগামীকাল রাত একটায় ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে রিয়াল। ইএসপিএন জানিয়েছে, ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনায় বৈচিত্র্য আনতে অবসর–পরবর্তী জীবন মাথায় রেখে ক্লাব কেনার কথা ভাবছেন ভিনি। তবে গ্লোবো জানিয়েছে, এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ভিনিসিয়ুস ঠিক কোন ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন, সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

কিছুদিন আগে দুবাইয়ে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে দুটি পুরস্কার জেতেন ভিনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান

ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বলেছেন, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের প্রতি ঝুঁকছে। এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতের চিন্তক প্রতিষ্ঠান অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনিল চৌহান এ কথাগুলো বলেন।

জেনারেল চৌহান বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট বহিরাগত শক্তিদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে। ঋণ–কূটনীতির সাহায্যে প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে তারা ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। পাশাপাশি ঘনঘন সরকার পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে তাদের আদর্শচ্যুতি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

জেনারেল চৌহান বলেন, এই প্রবণতা ভারতের জন্য বড় এক সমস্যা। সম্প্রতি চীনের কর্মকর্তারা সে দেশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। তিনটি দেশই নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের কাছাকাছি আসছে। এই নৈকট্য ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বহু পুরোনো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং তাঁর ভারতে আশ্রয়লাভ ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশের কাছাকাছি আসা জেনারেল চৌহানকে সন্দিহান করে তুলেছে। তিনি মনে করছেন, এই তিন দেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের চিন্তা বাড়াতে পারে। স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সিডিএস জেনারেল চৌহানকে পাকিস্তান–ভারত সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ওই সংঘাতে পাকিস্তানকে চীন কতটা ও কীভাবে সমর্থন দিয়েছে, সহায়তা করেছে, তা বলা খুবই কঠিন। ওই সংঘাতের সময় উত্তর সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।

জেনারেল চৌহান বলেন, তবে ঘটনা হলো পাকিস্তান তাদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বেশির ভাগটাই চীন থেকে নেয়। সে কারণে পাকিস্তানে চীনের উপস্থিতি থাকার কথা। বিশেষ করে সংঘাত ও সংঘর্ষের সময়। সেটা কতটা ছিল এবং সমর্থন বা সহায়তার চরিত্র কেমন ছিল, তা বলা সহজ নয়।

অপারেশন সিঁদুর নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলার প্রসঙ্গে ভারতের উপসেনাপ্রধান লে. জেনারেল রাহুল আর সিং অবশ্য গত শুক্রবার বলেছিলেন, সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে চীন শুধু সাহায্যই করেনি, সংক্ষিপ্ত ওই যুদ্ধকে তারা তাদের অস্ত্রের পরীক্ষাগার করে তুলেছিল।

ওই কর্মকর্তার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ওই যুদ্ধে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর ৮১ শতাংশই চীনের তৈরি। সেসব অস্ত্র প্রকৃত যুদ্ধের সময় কতটা কার্যকর, সে পরীক্ষাও চীন করে ফেলেছে। ওই সংঘাতকে চীন তার অস্ত্রসম্ভারের পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ