পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মো. শরফুদ্দিনকে তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে সরকার।

পবিপ্রবি আইন, ২০০১–এর ধারা ১৮ (১)(ট) ও ১৮ (৪) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে সরকার কর্তৃক শিল্প ও ব্যবসা–বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তি হিসেবে ইনোভা আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

শরফুদ্দিনকে তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিনিউয়েবল এনার্জি টেকনোলজি বিষয়ে এমএস এবং ইইই বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অ্যাডজাসেন্ট ফ্যাকাল্টি শরফুদ্দিন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর লেখা ‘Physics Panacea’ নামের একটি বই আছে।

মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাব ও বাঁধন ব্লাড ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী সদস্য, এসএএম ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্যসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দশমিনা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং সেন্টার ফর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে ছাত্রী হলের কক্ষে ঢুকে পুরুষ কর্মচারীর তল্লাশি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পুরুষ কর্মচারীদের দিয়ে কক্ষে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) হজরত বিবি খাদিজা হলের ছাত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

হলের ছাত্রীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রী হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক চুলাসহ সামগ্রী উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযানের সময় একাধিক পুরুষ কর্মচারী ছাত্রী হলের বিভিন্ন কক্ষে অতর্কিতে ঢুকে পড়ে তল্লাশি শুরু করেন। এতে ছাত্রীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন।

এক ছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে অসুস্থ। আজ বিভাগে পরীক্ষা থাকায় তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে গতকাল হলে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে দরজা ধাক্কানোর শব্দে তাঁর ঘুম ভাঙে। হঠাৎ এমন শব্দে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দরজা খুলতেই হলের একজন পুরুষ কর্মচারী কক্ষে ঢুকে এদিক-সেদিক তল্লাশি করতে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কক্ষে পুরুষ কর্মচারী দিয়ে তল্লাশির ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রীরা হলের নিচতলার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সোয়া একটার দিকে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল কাইয়ুম মাসুদ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক শফিকুর রহমানসহ একাধিক সহকারী হল প্রভোস্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর তাঁর ছাত্রীদের অভিযোগ শোনে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ছাত্রীরা নিজেদের কক্ষে ফিরে যান। আজ বুধবার সকালেও ছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হল কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট আবদুল কাইয়ুম মাসুদ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ছাত্রী হলের শূন্য আসনের তালিকা তৈরি এবং রান্নার জন্য ব্যবহৃত অবৈধ বৈদ্যুতিক সামগ্রী উদ্ধারে হল প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানের কারণে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত হল প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হলে অবস্থান করেছেন। তখন পর্যন্ত কোনো ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ আসেনি। রাতে ছাত্রীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্রী হলে ছাত্রীদের কক্ষে কোনো পুরুষ কর্মচারী ঢোকার সুযোগ নেই। কেউ যদি ঢুকে থাকে, অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ