পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মো. শরফুদ্দিনকে তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে সরকার।

পবিপ্রবি আইন, ২০০১–এর ধারা ১৮ (১)(ট) ও ১৮ (৪) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে সরকার কর্তৃক শিল্প ও ব্যবসা–বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তি হিসেবে ইনোভা আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

শরফুদ্দিনকে তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিনিউয়েবল এনার্জি টেকনোলজি বিষয়ে এমএস এবং ইইই বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অ্যাডজাসেন্ট ফ্যাকাল্টি শরফুদ্দিন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর লেখা ‘Physics Panacea’ নামের একটি বই আছে।

মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাব ও বাঁধন ব্লাড ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী সদস্য, এসএএম ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্যসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দশমিনা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং সেন্টার ফর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি-ধর্ষণ মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে পৃথক অভিযানে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১৪।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সখীপুরের প্রতিমাবংকী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৪০) ও কালিহাতীর তেজপুর রতনগঞ্জ গ্রামের সোলায়মান ভূইয়ার ছেলে মেহেদী হাসান মিলন (৩০)।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নিজ কার্যালয়ে র‌্যাব-১৪ এর ৩নং কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে এক শিশুকে (১০) স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তার কথিত মামা ফজলু মিয়া গজারি বনের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। শিশুটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সখিপুর থানায় ধারায় মামলা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সখীপুরের নলুয়া থেকে ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান মিলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কৌশলে ওই নারীর ২২ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন মিলন।

মেজর কাওছার বাঁধন জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মিলন। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও ভুক্তভোগীকে অপহরণের হুমকি দেন। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফরিদপুর ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে শুক্রবার বিকেলে কালিহাতীর তেজপুরথেকে প্রধান আসামি মেহেদী হাসান মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মেজর কাওছার বাঁধন বলেন, “গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ