পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন শরফুদ্দিন
Published: 11th, January 2025 GMT
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে মো. শরফুদ্দিনকে তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে সরকার।
পবিপ্রবি আইন, ২০০১–এর ধারা ১৮ (১)(ট) ও ১৮ (৪) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে সরকার কর্তৃক শিল্প ও ব্যবসা–বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তি হিসেবে ইনোভা আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিনিউয়েবল এনার্জি টেকনোলজি বিষয়ে এমএস এবং ইইই বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অ্যাডজাসেন্ট ফ্যাকাল্টি শরফুদ্দিন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর লেখা ‘Physics Panacea’ নামের একটি বই আছে।
মো. শরফুদ্দিন ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাব ও বাঁধন ব্লাড ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী সদস্য, এসএএম ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্যসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দশমিনা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং সেন্টার ফর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয় দিবসে কলকাতায় যাচ্ছেন সেনা-মুক্তিযোদ্ধাসহ ২০ সদস্যের প্রতি
ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের বিজয় উৎসবে যোগ দেবেন বাংলাদেশের সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ইস্টার্ন কমান্ডের হেড কোয়ার্টার ফোর্ট উইলিয়ামে (বিজয় দূর্গ) রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেজর জেনারেল ভানগুরু রঘু।
প্রতিবছরই বিজয় দিবস উদযাপনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পাড়ি দেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে সেনাদের একটি প্রতিনিধি দল আসে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। যা দু’দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও ঐতিহাসিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। ডিসেম্বরের এই বিশেষ দিনে প্রতিবারই যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে দুই দেশের বছরের সম্পর্ক। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আবহাওয়া সেই বাতাবরণ অনেকটাই বদলে দিয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সেই বিষয়টা কখনোই লক্ষ্য করা যায়নি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বড় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আরো পড়ুন:
ভারতে নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৩
ভারতে অবস্থানের ব্যাপারে শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন: জয়শঙ্কর
মেজর জেনারেল ভানগুরু রঘু জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবছরও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত ফোর্ট উইলিয়ামকে নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা, ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার-সহ মোট ২০ জন উপস্থিত থাকবেন ফোর্ট উইলিয়ামের অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও।
অনুষ্ঠানের সূচী অনুযায়ী, বাংলাদেশের এই প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসবে ১৪ ডিসেম্বর। বিমানবন্দরে তাদের আমন্ত্রণ জানাবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা। ১৫ ডিসেম্বর ব্যারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর ‘মিলিটারি টাট্টু’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তারা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ও সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় স্মারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, ভারতীয় নৌবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড ‘বিজয় মাস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রতিবছর বিজয় র্যালি ও বাইক মিছিলের আয়োজন করে, যা গোটা মাস ধরে চলে। সবমিলিয়ে, ‘বিজয় দিবস’ স্মরণে কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যেখানে বাংলাদেশও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এবারেও তার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ