বেসরকারি খাতে শীর্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী গোষ্ঠী সামিটের দুই বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. রিয়াজ উদ্দীন। কোম্পানি দুটি হচ্ছে সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (৩৩৭ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র) ও সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (৫৮৩ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার সামিট এ কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানিতে সামিটের সঙ্গে যৌথভাবে অংশীদারত্বে আছে জাপানের জেরা ও তাইয়ো লাইফ ইনস্যুরেন্স। সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানিতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জিই ও জাপানের জেরা।

২০১১ সাল থেকে সামিট গ্রুপের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন রিয়াজ উদ্দীন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে তিনি সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সিইও এবং সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (৩৫২ মেগাওয়াট) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রিয়াজ উদ্দীন ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন, অংশীদারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে পর্যালোচনা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নেতৃত্বদানে রিয়াজ উদ্দীনের প্রায় ৩২ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ট ম ঘন ঘ ট

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ