সামিটের দুই বিদ্যুৎ কোম্পানির এমডি হলেন রিয়াজ উদ্দীন
Published: 1st, July 2025 GMT
বেসরকারি খাতে শীর্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী গোষ্ঠী সামিটের দুই বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. রিয়াজ উদ্দীন। কোম্পানি দুটি হচ্ছে সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (৩৩৭ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র) ও সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (৫৮৩ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার সামিট এ কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানিতে সামিটের সঙ্গে যৌথভাবে অংশীদারত্বে আছে জাপানের জেরা ও তাইয়ো লাইফ ইনস্যুরেন্স। সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানিতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জিই ও জাপানের জেরা।
২০১১ সাল থেকে সামিট গ্রুপের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন রিয়াজ উদ্দীন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে তিনি সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সিইও এবং সামিট মেঘনাঘাট-১ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (৩৫২ মেগাওয়াট) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রিয়াজ উদ্দীন ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন, অংশীদারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে পর্যালোচনা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নেতৃত্বদানে রিয়াজ উদ্দীনের প্রায় ৩২ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ট ম ঘন ঘ ট
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১১
চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার সদস্য ও আন্দোলনকারী পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে ‘মব’ সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন–চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।