Samakal:
2025-12-11@10:21:27 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

Published: 15th, January 2025 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বদলি আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তদন্তে গণবদলির প্রমাণ মেলায় মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মো.

আজিজ তাহের খান। এ নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সমকালে ‘দায়িত্ব ছাড়ার আগে বদলি বাণিজ্যে মহাপরিচালক’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ওই সাত দিনে সাবেক মহাপরিচালকের করা বদলিগুলো স্থগিত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বাকি দুজন হলেন একই বিভাগের যুগ্ম–সচিব আনিসুল ইসলাম এবং উপ–সচিব মোহাম্মদ মিকাইল। 

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজ বুধবার সমকালকে জানান, তারা প্রতিবেদন সচিব বরাবরে জমা দিয়েছেন। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ওই সাতদিনে দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা–কর্মচারী বদলির প্রমাণ মিলেছে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে একসঙ্গে এতোগুলো বদলি করা সাবেক মহাপরিচালকের জন্য ‘সময়োচিত কাজ হয়নি’ বলেও কমিটির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। 

কমিটির সুপারিশে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই সাতদিনে আদেশ দেওয়া প্রতিটি বদলির আদেশ বাতিল করে দেওয়া যেতে পারে। এসময়কালে দু’একটি বদলির আদেশ দেওয়া যৌক্তিক ছিল। যেমন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সব বদলি আদেশ বাতিল করে যে দু–একটি যৌক্তিক ছিল, সেগুলোর কেইস টু কেইস বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বর্তমান মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।

জানা গেছে, কমিটির সুপারিশ অনুসারে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে কোনো বদলির প্রশাসনিক যুক্তি থাকলে সেগুলো কেইস টু কেইস বিবেচনা করার জন্যও ডিজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতদিনে বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (টিএসসি) ইনস্ট্রাক্টর, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর, হিসাবরক্ষক, ক্যাশ সরকার, কেয়ারটেকার, অফিস সহকারী ও পিয়ন (এমএলএসএস) পদে অন্তত দুই শতাধিক বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান। তিনি ২২ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে সাবেকে ডিজির করা এ গণবদলি নিয়ে জোরালো বিতর্ক ওঠে। 

গণবদলির এই বিষয়টি যেন জানাজানি না হয়, সেজন্য বদলির বেশিরভাগ বদলি আদেশেই সে সময়ে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটউটের কোনো বদলি আদেশই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ইনস ট সরক র বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন ভবনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা, কড়া নজরদারি 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভবনের ভেতর ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশপথে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। ভবনে ঢুকতে হচ্ছে তল্লাশি পেরিয়ে।

নির্বাচন ভবনের মূল ফটক ও সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও র‌্যাব সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচলেও আনা হয়েছে সীমাবদ্ধতা।

আরো পড়ুন:

পটুয়াখালী-২: জামায়াত নেতার ছেলে পেলেন এনসিপির মনোনয়ন

রেকর্ড করা হয়েছে সিইসির ভাষণ

আজ সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন। আগের দিন বুধবারও পুরো এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছিল।

দায়িত্বরত ডিএমপির এসআই (এডিসি) মাহবুবুল করিম বলেন, ‘‘তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। নির্বাচন ভবনে প্রবেশকারীদের পরিচয় যাচাইসহ প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা।’’

দায়িত্বরত ডিএমপির  ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মাসুদ রহমতুল্লাহ  জানান, নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের মোতায়েন বেড়েছে। ভবনের চারপাশে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং সন্দেহজনক যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নির্বাচন ভবন এলাকায় কাজে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সালমা আক্তার বলেন, “দুপুরে দেখি আশপাশ ঘিরে অনেক পুলিশ। হাঁটতে একটু অসুবিধা হলেও নিরাপত্তা বাড়ানো ভালো। বড় অনুষ্ঠান বলে স্বাভাবিকভাবেই কড়াকড়ি থাকা উচিত। এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’’

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘রাস্তায় ব্যারিকেড থাকায় ঘুরে যেতে হচ্ছে। তবে নির্বাচন সামনে এ কারণে নিরাপত্তা থাকাটা দরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য যেন খুব বেশি ভোগান্তি তৈরি না হয়ভ।’’

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ