Samakal:
2025-12-10@13:52:05 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

Published: 15th, January 2025 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বদলি আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তদন্তে গণবদলির প্রমাণ মেলায় মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মো.

আজিজ তাহের খান। এ নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সমকালে ‘দায়িত্ব ছাড়ার আগে বদলি বাণিজ্যে মহাপরিচালক’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ওই সাত দিনে সাবেক মহাপরিচালকের করা বদলিগুলো স্থগিত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বাকি দুজন হলেন একই বিভাগের যুগ্ম–সচিব আনিসুল ইসলাম এবং উপ–সচিব মোহাম্মদ মিকাইল। 

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজ বুধবার সমকালকে জানান, তারা প্রতিবেদন সচিব বরাবরে জমা দিয়েছেন। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ওই সাতদিনে দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা–কর্মচারী বদলির প্রমাণ মিলেছে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে একসঙ্গে এতোগুলো বদলি করা সাবেক মহাপরিচালকের জন্য ‘সময়োচিত কাজ হয়নি’ বলেও কমিটির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। 

কমিটির সুপারিশে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই সাতদিনে আদেশ দেওয়া প্রতিটি বদলির আদেশ বাতিল করে দেওয়া যেতে পারে। এসময়কালে দু’একটি বদলির আদেশ দেওয়া যৌক্তিক ছিল। যেমন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সব বদলি আদেশ বাতিল করে যে দু–একটি যৌক্তিক ছিল, সেগুলোর কেইস টু কেইস বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বর্তমান মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।

জানা গেছে, কমিটির সুপারিশ অনুসারে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে কোনো বদলির প্রশাসনিক যুক্তি থাকলে সেগুলো কেইস টু কেইস বিবেচনা করার জন্যও ডিজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতদিনে বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (টিএসসি) ইনস্ট্রাক্টর, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর, হিসাবরক্ষক, ক্যাশ সরকার, কেয়ারটেকার, অফিস সহকারী ও পিয়ন (এমএলএসএস) পদে অন্তত দুই শতাধিক বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান। তিনি ২২ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে সাবেকে ডিজির করা এ গণবদলি নিয়ে জোরালো বিতর্ক ওঠে। 

গণবদলির এই বিষয়টি যেন জানাজানি না হয়, সেজন্য বদলির বেশিরভাগ বদলি আদেশেই সে সময়ে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটউটের কোনো বদলি আদেশই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ইনস ট সরক র বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়েছে শিশু, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু একটি গর্ত দিয়ে মাটির ৩৫ ফুট গভীরে পড়ে গেছে ২ বছর বয়সী এক শিশু। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। 

দুর্ঘটনার শিকার শিশুটির নাম সাজিদ। সে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের এ জমির মালিক কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এক বছর আগে কছির উদ্দিন তার জমিতে সেচের জন্য একটি সেমিডিপ নলকূপ বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, ৩৫ ফুট বোরিং করার পর সেখানে পানি পাননি। তাই, নলকূপ বসানো হয়নি। এক বছর ধরে গর্তটি সেভাবেই পড়ে ছিল।

বুধবার দুপুরে শিশুটির মা ওই মাঠে ধানের খড় নিতে যান। ওই সময় সাজিদ খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে মাটির ভেতরে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

ফায়ার সার্ভিসের তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ওই শিশুকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে গর্তে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন কিছু মাটি গর্তে পড়ে গেছে। তারা ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। মানুষের কোলাহলের কারণে শিশুটির কোন সাড়া বুঝতে পারছেন না।

তিনি জানান, শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য তারা অক্সিজেন পাঠাচ্ছেন। পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন করছেন। এতে আরো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাগতে পারে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ