Samakal:
2025-12-02@18:04:34 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

Published: 15th, January 2025 GMT

সেই দুই শতাধিক গণবদলি বাতিল

গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বদলি আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তদন্তে গণবদলির প্রমাণ মেলায় মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মো.

আজিজ তাহের খান। এ নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সমকালে ‘দায়িত্ব ছাড়ার আগে বদলি বাণিজ্যে মহাপরিচালক’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ওই সাত দিনে সাবেক মহাপরিচালকের করা বদলিগুলো স্থগিত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বাকি দুজন হলেন একই বিভাগের যুগ্ম–সচিব আনিসুল ইসলাম এবং উপ–সচিব মোহাম্মদ মিকাইল। 

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজ বুধবার সমকালকে জানান, তারা প্রতিবেদন সচিব বরাবরে জমা দিয়েছেন। 

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ওই সাতদিনে দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা–কর্মচারী বদলির প্রমাণ মিলেছে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে একসঙ্গে এতোগুলো বদলি করা সাবেক মহাপরিচালকের জন্য ‘সময়োচিত কাজ হয়নি’ বলেও কমিটির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে। 

কমিটির সুপারিশে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই সাতদিনে আদেশ দেওয়া প্রতিটি বদলির আদেশ বাতিল করে দেওয়া যেতে পারে। এসময়কালে দু’একটি বদলির আদেশ দেওয়া যৌক্তিক ছিল। যেমন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। সব বদলি আদেশ বাতিল করে যে দু–একটি যৌক্তিক ছিল, সেগুলোর কেইস টু কেইস বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বর্তমান মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।

জানা গেছে, কমিটির সুপারিশ অনুসারে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে সব বদলি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে কোনো বদলির প্রশাসনিক যুক্তি থাকলে সেগুলো কেইস টু কেইস বিবেচনা করার জন্যও ডিজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতদিনে বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (টিএসসি) ইনস্ট্রাক্টর, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর, হিসাবরক্ষক, ক্যাশ সরকার, কেয়ারটেকার, অফিস সহকারী ও পিয়ন (এমএলএসএস) পদে অন্তত দুই শতাধিক বদলি করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আজিজ তাহের খান। তিনি ২২ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে সাবেকে ডিজির করা এ গণবদলি নিয়ে জোরালো বিতর্ক ওঠে। 

গণবদলির এই বিষয়টি যেন জানাজানি না হয়, সেজন্য বদলির বেশিরভাগ বদলি আদেশেই সে সময়ে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটউটের কোনো বদলি আদেশই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ইনস ট সরক র বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিল আজারবাইজান, বাটলার বললেন ‘আমি জাদুকর নই’

ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারের পর দলে গোলমালের গন্ধ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের ২-১ গোলে হারের পর বাটলার বললেন, তিনি কোনো জাদুকর নন।

আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দুই ম্যাচ হেরেও অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন বাটলার।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিবাচক দিক হলো, ১১ জন খেলোয়াড়কে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামা। গত দুটি ম্যাচে তারা যে দুর্দান্ত মনোভাব দেখিয়েছে, সেই মনোভাব নিয়ে আজকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাও ইতিবাচক। আপনাকে সত্যিই বাস্তববাদী হতে হবে।’

জাদুকরের মতো রাতারাতি বা মুহূর্তে সবকিছু বদলে দেওয়ার মতো জিয়নকাঠি তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বাটলার, ‘যখন আপনারা শিশুদের জন্মদিনের পার্টিতে যান এবং সেখানে একজন জাদুকর থাকে, আর তিনি একটি বড় কালো টুপি থেকে সাদা খরগোশ বের করেন। আপনি কি মনে করেন আমি সেই জাদুকর? আমি শিশুদের জন্মদিনের পার্টির সেই জাদুকর নই যে সাদা খরগোশ বের করব।’

এশিয়ান বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশে মেয়েরা। চারটির কোনোটিতে জেতা হয়নি। এ সিরিজের আগে গত অক্টোবরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।

যদিও দলগুলো বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তা ও র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে। আজারবাইজানের বর্তমান র‍্যাঙ্কিং ৭৪, তারা বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে। মালয়েশিয়া ১২ ধাপ আর থাইল্যান্ড এগিয়ে ৫১ ধাপ।

বাটলার প্রতিপক্ষদের শক্তিমত্তায় চোখ রেখেই খানিকটা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন, ‘আমাদের কোনো ট্রেনিং সুবিধা নেই, আলোচনা করার মতো কোনো জিম নেই। আলোচনা করার মতো কোনো লিগ নেই। তবু তো মেয়েরা উন্নতি করছে। তাদের প্রচেষ্টাকে আমি  দশে দশ নম্বর দেব। খেলার মানের কথা বললে সম্ভবত পাঁচ-ছয় দিতে পারি।’

কয়েকটি জায়গায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আজারবাইজান। জয়ের পর দলটির কোচ সিয়াসাত আসগারভও সেই পার্থক্যগুলো তুলে ধরেছেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের একটি বড় সুবিধা হলো, বেশির ভাগ খেলোয়াড় বিদেশি ক্লাবে খেলে। এতে তাদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ দল আমাদের তুলনায় বয়সে কম। আর আমাদের ম্যাচ প্র্যাকটিসও তাদের চেয়ে বেশি। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকেও আমাদের খেলোয়াড়েরা বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ