হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শরীরের অধিকাংশ পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি তারা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর ইউনিয়নের উদ্ভবপুর গ্রাম সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয় বলে জানান আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কিছু রাখাল নদীপাড়ে বস্তাবন্দি মরদেহটি দেখতে পান। তারা বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে।
ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, “এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথাবিহীন মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহের হাতে একটি বিশেষ ধরণের মালা ছিল। মরদেহটি নারী নাকি পুরুষের সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। আমরা আইনানুগভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের আরও দুটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে
নতুন করে দেশের আরও দুটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এর ফলে দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা এখন ২৩৭।
পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে গাজীপুরের কলম্বিয়া অ্যাপারেলস ও বঙ্গ ফ্যাশন লিমিটেড। এর মধ্যে কলম্বিয়া অ্যাপারেলস গোল্ড ও বঙ্গ ফ্যাশন লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। ১০০ পয়েন্টের মধ্যে কলম্বিয়া ৭৭ এবং বঙ্গ ফ্যাশন ৮৭ পয়েন্ট পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে কলম্বিয়া অ্যাপারেলস ও বঙ্গ ফ্যাশন। এই সনদ পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০ থেকে ৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০ থেকে ৪৯ পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অনানুষ্ঠানিকভাবে আজ রোববার বিষয়টি জানিয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে লিড সনদপ্রাপ্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা এখন ২৩৭। এর মধ্যে ৯৫টি প্লাটিনাম সনদ; ১২৮টি গোল্ড সনদ; ১০টি সিলভার সনদ এবং ৪টি সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি শীর্ষ লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৬৩টিই বাংলাদেশের।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো, লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল (ইউনিট ৪), গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস।