টক দইয়ের সঙ্গে খাওয়া ঠিক নয় যেসব খাবার
Published: 1st, February 2025 GMT
টক দই পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রোজ একবাটি করে টক দই খেলে না ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, টক দইয়ের সঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যায় না। এতে উপকারের পরিবর্তে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যেমন-
মাছ
মাছের সঙ্গে টক দই না খাওয়াই ভালো। দই দিয়ে তৈরি মাছের কোনও পদ খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাছ ও দই একসঙ্গে খেলে দেহে টক্সিনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।
পেঁয়াজ
অনেকেই পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খান। কখনও তরকারি বানাতে আবার কখনও রায়তায় কাজে লাগে টক দই। পেঁয়াজ ও টক দই একসঙ্গে খেতে ভালো লাগলেও এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস,পেট ফাঁপা, পেট খারাপ হতে পারে।
দুধ
দুধ থেকে দই তৈরি হলেও এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। এতে অন্ত্রের থাকা ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি হজমের গণ্ডগোল বাড়ে। স্মুদি বানানোর সময় হয় দুধ, না হলে দই ব্যবহার করবেন। দুটি একসঙ্গে ভুলেও ব্যবহার করবেন না।
বিশেষ কিছু ফল
তরমুজ, আঙুর, কমলালেবু, শসা, মুসাম্বি লেবুর মতো ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তা ছাড়া লেবুজাতীয় ফলে অ্যাসিডিক উপাদান থাকে। এই ধরনের ফলের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা হবে।
চিনি
অনেকেই টক দইয়ে চিনি মিশিয়ে খান। এটি অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা পেটের গণ্ডগোলের অন্যতম কারণ। যদিও চিনি কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী নয়। তাই দইয়ের সঙ্গে চিনি ভুলেও মেশাবেন না। তবে মধু মেশাতে পারেন।
ভাজাভুজি
তেলে ভাজা জাতীয় খাবারের সঙ্গে টক দই না খাওয়াই ভালো। ডুবো তেলে ভাজা মসলাদার খাবার ভারী হয় এবং হজম হতেও সময় নেয়। এর সঙ্গে যদি আবার টক দই খান, তাহলে গ্যাস-অম্বল হতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা, একসঙ্গে গ্রেপ্তার ৭ আসামি
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে হত্যার পর সাত আসামি পালিয়ে গিয়ে দিনাজপুরে লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মামলার এক থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আসামি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মধ্যরাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হায়াতপুর পূর্বপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল অভিযানটি চালায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার দেলশাদপুর শিয়ালমারা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (৬০), তার ছেলে আকবর আলী (২৮) ও বাবর আলী (১৯); নারায়ণপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম (৫০), তার ভাই সাদ্দাম হোসেন (৩৭) এবং মফিজুলের দুই ছেলে মো. হানিফ (২৯) ও রমজান আলী (২০)।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: প্রেস সচিব
রাউজানে প্রকৌশলী বকুল হত্যা: মা ও ২ ভাই গ্রেপ্তার
গত রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে গোদাগাড়ীর আইহাই সাগরা মোড়ে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের (৪৭) ওপর হামলা চালায় আসামিরা। তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন রাতেই তিনি মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নিহতের পরিবার গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করল র্যাব।
র্যাব-৫, রাজশাহীর উপ-পরিচালক মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা প্রধান আসামি আশরাফুলের চাচার বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। তাদের কেউ ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন, কেউ দেশের ভেতরে আত্মগোপনের পরিকল্পনা করেছিলেন। আমরা সময়মতো অভিযান চালিয়ে সবাইকে গ্রেপ্তার করি।”
তিনি আরো বলেন, “আসামিদের রাজশাহীতে আনা হয়েছে এবং তাদের গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ