আমরা দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী নই: সারজিস
Published: 4th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “দুনিয়ায় আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। সবাইকে একদিন বিদায় নিতে হবে। এ কারণে দুনিয়ার জীবনে সবার ভালো কাজ করা উচিত।”
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বামনকুমার এলাকার রাখলদেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দাদা তজির উদ্দীনের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জানাজা শেষে সরজিস আলমের দাদাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ অংশ নেন। জানাজায় সারজিসের পরিবারের সদস্যসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কৃষকের
ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু
রাজৈরে নিহত ১০ জনের পরিবারে চলছে মাতম
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সারজিস আলমের দাদা তজির উদ্দীন নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে পাল্টা প্রশ্ন না করায় ‘অবাক হয়েছেন’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সম্প্রতি ভারত সফর করে আসা বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা নিয়ে কোনো পাল্টা প্রশ্ন না করায় ‘অবাক’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্নোত্তরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছিল ডিকাবের (ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ) একটি প্রতিনিধিদল। সে সময় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আইনি দিক তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তো আইনি দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা পালন করেছি। আদালতের নির্দেশেই আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। আইনি বিষয়গুলো ভারত দেখতে থাকুক। ভারত কোনো জবাব দেয়নি এখন পর্যন্ত। তারা তাদের দিক থেকে দেখতে থাকুক।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি০৬ অক্টোবর ২০২৫এ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘তবে আপনারা যাঁরা গিয়েছিলেন (ভারত সফরে), তাঁদের বিষয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। যেহেতু আপনি প্রশ্নটি তুললেন, কাজেই আমি বলছি। না হলে হয়তো বলতাম না। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আপনাদের মুখে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আপনারা সে প্রশ্নটি করেননি কেউ। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছিলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ট্রান্সপারেন্ট ইত্যাদি নির্বাচন তাঁরা চান। আপনার... আপনাদের মুখে প্রশ্নটা তুলে দেওয়া হয়েছিল যে আপনারা এই কথা গত ১৫ বছর বলেননি কেন? আগের নির্বাচনগুলো কি আপনাদের এই ফর্মুলা অনুযায়ী সঠিক ছিল? আপনারা কেউ এই প্রশ্ন তোলেননি। আমি বড় অবাক হয়েছি যে আপনাদের মধ্যে যথেষ্ট পুরোনো জার্নালিস্ট অনেকে আছেন। আপনাদের উচিত ছিল এই সুযোগটা যখন উনি দিয়েছেন—আপনারা যদি নিজে থেকে কিছু এমব্রারাস (বিব্রত) করতে না-ও চান—যখন তিনি সুযোগটা দিয়েছেন, তখন সেই প্রশ্নটা আপনাদের করা উচিত ছিল। সেটা আপনারা করেননি।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশে নির্বাচনে যে সরকার আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: বিক্রম মিশ্রি০৬ অক্টোবর ২০২৫চলতি মাসের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি সফর করেন বাংলাদেশি একদল সাংবাদিক। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছিলেন, বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় নয়াদিল্লি। তিনি আরও বলেছিলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।