চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মোট অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে ভর্তি প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

আজ দুপুরেও শিক্ষার্থীরা ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করে। গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার পক্ষে তারা স্লোগান দেন। তবে, বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দেয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মামুন হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে নিম্ন আদালত এলাকার নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

পুরান ঢাকায় নিম্ন আদালত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গতকাল সোমবার তারিক সাইফ মামুন হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে এর মধ্য দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা কতটা নাজুক, তা তুলে ধরা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসিতে ৩৭টি আদালত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই আদালতগুলোয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা আমলে গ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানার বিভিন্ন ধরনের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারকেরা এজলাসে বিচারকার্য, খাস কামরায় বিভিন্ন মামলার আদেশ ও রায় লেখার কাজ করে থাকেন। এর ফলে তাঁদের বাসায় ফিরতে প্রতিদিন প্রায় সন্ধ্যা হয়। এই আদালত ভবন এলাকা ও রাস্তায় বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান ও যানবাহন যত্রতত্রভাবে পরিচালনা করা হয়। এটি আদালত–সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও পড়ুনখুনের মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে খুন হন মামুন১০ নভেম্বর ২০২৫সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তারিক সাইফ মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন (বাঁয়ে)। দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ