চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আখন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও গুচ্ছ পরীক্ষায় থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মোট অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে ভর্তি প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

আজ দুপুরেও শিক্ষার্থীরা ইউজিসি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে দুটি গেট অবরোধ করে। গুচ্ছ পদ্ধতি অব্যাহত রাখার পক্ষে তারা স্লোগান দেন। তবে, বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জেনে তারা গেট খুলে দেয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন করে ফ্যাসিজম বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইলে যথাযথ জবাব পাবেন: শফিকুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, কেউ যদি আবার বাংলাদেশে নতুন করে ফ্যাসিজম বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান, তাহলে খুব দেরি হবে না যথাযথ জবাব পেয়ে যাবেন। জনগণ সব ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।

জামায়াতের আমির বলেন, কাউকে এ ধরনের নোংরামি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের মাটি কারও বাপ–দাদার জমিদারি নয়, এটা ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ।

আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শফিকুর রহমান। সেখানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘এই হত্যাচেষ্টা যারা চালিয়েছে, গুলি যারা চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরকারের কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ধরনের ঢিলেমি বরদাশত করা হবে না। সরকার যেন এ ব্যাপারে তৎপর থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, সেটা আমরা দেখতে চাই।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসক ও তাঁর (হাদির) ভাই–বোনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। যে কাপুরুষেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, অবিলম্বে সেই কাপুরুষদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘একটা মেসেজ ভেরি ক্লিয়ার (বার্তা সুস্পষ্ট)—এই জাতি কোনো গুলিকে পরোয়া করবে না, ইনশা আল্লাহ। আমরা কোনো গুলির তোয়াক্কাও করি না।’

জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমরা শরিফ ওসমান হাদির সুস্থতা কামনা করছি। সে যেন ফিরে এসে মুক্তির লড়াইয়ে আবার রাজপথে আমাদের সবার সঙ্গে শরিক হতে পারে, আল্লাহ তাআলার দরবারে সেই দোয়া করছি। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল (সংকটাপন্ন)। সে এখন জীবন–মৃত্যুর মাঝখানে আছে।’

এর আগে দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর জানিয়েছে।

আরও পড়ুন‘বিজয়নগর আসতেই মোটরসাইকেলে দুজন এসে হাদি ভাইকে গুলি করে’২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ