বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট চার দিনের সরকারি সফরে শনিবার ঢাকা পৌঁছেছেন। সফরকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

জোহানেস জুট ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সফরই হচ্ছে তার প্রথম সরকারি সফর। এর আগে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ডাচ নাগরিক জোহানেস জুট ১৯৯৯ সালে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি ব্রাজিলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে অপারেশনাল পলিসি ও কান্ট্রি সার্ভিসেস (ওপিসিএস) এর ভাইস প্রেসেডিন্ট কার্যালয়ে কৌশল, ফলাফল, ঝুঁকি ও শিক্ষার বিষয়ক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তুরস্ক, কোমোরোস, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সিশেলস ও সোমালিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য আরও ভালো ও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করেন জুট। তিনি বলেন, আমি সবসময় বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সৃজনশীলতা ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ার অদম্য চেষ্টায় মুগ্ধ হয়েছি। গত দশ বছরে এদেশে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখতে মুখিয়ে আছি।

বিশ্বব্যাংক হলো স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসা প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম। এখন পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা সহজ শর্তে ঋণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বব য ক ভ ইস প র স ড ন ট ব শ বব য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে যাদের ভয়, তারাই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিতে চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন–নির্বাচনে যাদের ভয়, তারাই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিতে চায়। তারা মনে করে, পিছিয়ে দিয়ে কিছু শক্তি সঞ্চয় করে নির্বাচন করবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করতে তারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছে। 

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অপূর্ণ জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাসদ। 

আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষের মালিকানা, তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। কোনো কমিশন এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। দেশের মানুষকে তার সমস্যা সমাধান করতে হবে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে। যতটুকু ঐকমত্যে আমরা পৌঁছেছি, এর বাইরে আর কিছু না করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’ 

সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিলে আগামী ৩-৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক করে নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন অনিশ্চিত ও দোলাচলে থাকলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে। 

গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতি জানতে চাচ্ছে, কবে আর কখন নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার কানামাছি খেলছে। তারা এর মধ্যে একটি কিংস পার্টিও করে দিয়েছে। জাতির সঙ্গে এই তামাশা বন্ধ করুন। 

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সরকার আসলে যেভাবে বলছে, সেভাবে নির্বাচন দেবে কি না– সেটি নিয়ে গভীর একটা সন্দেহ এখনও আছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে– মানুষ এটিতে এখনও সন্দেহ করে। 

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন। আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুদ্দিন স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইউম, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. সোহেল আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহউদ্দিন, বিলস্-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ