২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৩৩ জন সাবেক ডিসিকে ওএসডি
Published: 19th, February 2025 GMT
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মরত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের পদে থাকা প্রশাসনের ৩৩ জন কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে সরকার। তাঁরা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক ছয়টি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে প্রতিটিতে ছয়জন করে এবং আরেকটিতে তিনজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার কথা জানানো হয়েছে।
অবশ্য কী কারণে এসব কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুতার্তে ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে পরিচালিত তথাকথিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ অন্তত ৭৬ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
দুতার্তের বয়স এখন ৮০ বছর। গত মার্চ মাস থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে একটি আটককেন্দ্রে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। গতকাল সোমবার আইসিসির প্রকাশিত নথিতে দুতার্তের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনআইসিসির পরোয়ানা: ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার১১ মার্চ ২০২৫দুতার্তের নেতৃত্বে ফিলিপাইনে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে সন্দেহভাজন হাজারো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী নিহত হয়েছিলেন।
গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর মামে মান্দিয়ে নিয়াংয়ের সই করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির পেছনে দুতার্তের ব্যক্তিগত অপরাধমূলক দায় রয়েছে।
দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।প্রথম অভিযোগটি দুতার্তে যখন দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন, তখনকার। বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৯ জনকে হত্যায় ‘পরোক্ষ সহ–অপরাধী’ (প্রত্যক্ষভাবে অপরাধে যুক্ত না হলেও অন্যকে প্রভাবিত বা সহায়তা করে অপরাধে জড়িত হওয়া ব্যক্তি) ছিলেন তিনি।
আইসিসির দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিযোগ দুটি দুতার্তের প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ের। এগুলোর প্রথমটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ ১৪ জনকে হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। শেষেরটি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নিম্ন স্তরের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের (সাধারণ অপরাধী বা দায়ী ব্যক্তি) বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স’ অভিযান চলাকালে ৪৩টি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
আরও পড়ুনফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধের সব দায় নিলেন দুতার্তে১৩ মার্চ ২০২৫এ ছাড়া নথিতে উল্লেখ আছে, মোট ৭৬টি হত্যাকাণ্ড পুলিশ ও কিছু অ-রাষ্ট্রীয় হত্যাকারী গ্রুপ বা গোষ্ঠীর হাতে সংঘটিত হয়েছে।
দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।
আরও পড়ুনএখন দুতার্তেকে কী করা হবে১১ মার্চ ২০২৫