বগুড়ায় প্রত্নতত্ত্বস্থল মহাস্থানগড়ের ফটক খুলতে দেরি হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মহাস্থান প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা গত বুধবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

অভিযোগে রাজিয়া জানান, রমজান মাসে মহাস্থান জাদুঘর ও প্রত্নস্থল জাহাজঘাটা খোলা রাখার সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে এনসিপি নেতাকর্মী পরিচয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন জাহাজঘাটার মূল ফটকে যান। তাদের একজন রাজিয়াকে ফোন করে সেখানে প্রবেশের অনুমতি চান। পরে তিনি চাবি পাঠান। তবে জাদুঘর থেকে জাহাজঘাটা কিছুটা দূরে হওয়ায় চাবি নিয়ে যেতে ৫ মিনিট দেরি হয়। এই দেরির জন্য দলটি ভেতরে ঢোকার পর নিরাপত্তাকর্মী বাপ্পী মিয়াকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মোবাইল ফোনে কল করে তাকেসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে এনসিপির বগুড়া জেলা সংগঠক মৃদুল হোসাইন খন্দকার বলেন, ‘মঙ্গলবার ঢাকা থেকে এনসিপির কিছু নেতাকর্মী মহাস্থানগড়ে বেড়াতে এসেছিলেন বলে শুনেছি। সেখানে কাউকে মারধর করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’

শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান থানায় একটি জিডি করেছেন। তদন্ত করে দেখছি কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর এনস প ন ত কর ম জ দ ঘর ম রধর এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

জেনেভা ক্যাম্পে গভীর রাতে সেনা অভিযান, বিস্ফোরক-মাদক উদ্ধার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়েছেন সেনাসদস্যরা। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়।

সেনাবাহিনীর বসিলা ক্যাম্প সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, জেনেভা ক্যাম্পের বাসায় ককটেল তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শীর্ষ মাদক কারবারি-অস্ত্রধারী বুনিয়া সোহেল। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর চারটি দল অভিযান শুরু করে। সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল পালিয়ে যান। দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানে ৭৭টি প্রক্রিয়াধীন ককটেল, চার ধরনের স্প্লিন্টার, ৪০০ গ্রাম গানপাউডার, সামুরাই ধরনের ৪টি তলোয়ার, ৪৯০টি ইয়াবাবড়ি, ২ হাজার ৮০ প্যাকেট হেরোইন ও মাদক বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা মাদক, বিস্ফোরক ও নগদ অর্থ মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়। সোহেলকে গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো দিয়ে হয়তো ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা ছিল। আসামিদের ধরতে তাঁরা অভিযান অব্যাহত রাখবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ