রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ‘সাধারণ বিপ্লবী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শহরের প্রধান সড়ক অতিক্রম করে এক ঘণ্টা পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্রশিবির, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘হত্যা করার অধিকার কে দিল রে জানোয়ার’সহ নানা স্লোগানে হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সোহাগ হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।

আরো পড়ুন:

দুই স্কুলের ২২ শিক্ষক পাস করাতে পারেননি ৩০ শিক্ষার্থীকে!

কুড়িগ্রামের ৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি 

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমদ বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতার শূন্যস্থান দখল করে সারা দেশে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও খুনোখুনির মাধ্যমে জনজীবনে ভয়ংকর অনিরাপত্তা তৈরি করেছে। তারা যেন নিজেদেরই রাষ্ট্রের মালিক মনে করছে। এই নব্য-ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই আমরা রাজপথে নেমেছি।”

এ সময় আরো কয়েকজন ছাত্রনেতা বক্তব্য রাখেন এবং পাথর মেরে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে হত্যার নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। চাঁদাবাজির রাজনীতি এই বাংলায় হবে না হলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে রংপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও গোটা পথজুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। 

গত বুধবার (৯ জুলাই) পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে। 
 

ঢাকা/আমিরুল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প হত য র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ