আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং, ভারতের মোদি এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করে যাবেন না, যা করার আমাদের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা বহুতবাদ এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। তেমনি ২০২৪ সালে ছাত্রদের ওপর যখন গুলি চালায়, তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল সাত কোটি আর এখন ১৮ কোটি। সেই সময়ে আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন আর এখন খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। এই খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্যনিরাপত্তায় কাজ করছেন দেশের কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীরা। যেটা আমরা মনে করি না, বুঝিও না।

তিনি বলেন, সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।

ফখরুল আরও বলেন, গ্রামের যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারে পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে নারী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছেন। আমরা যদি তাদের নিয়ে না ভাবি, তাহলে কোনোভাবেই দেশ এগিয়ে যাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে তাদের নিয়ে ভাবি তবেই দেশ গিয়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এটুকু আশাবাদী আমি, আমরা সবাই যদি বিশ্বাস করি। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের ভাবতে হবে। সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে। ড.

ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সাহেব সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল আম দ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

কোহলি জানালেন, তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছিল যে আইপিএল–সতীর্থ

২০০৮ সালে তাঁর আইপিএল অভিষেক। আইপিএলের শুরুর মৌসুমে ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে দলে ভিড়িয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর।

১৭ বছর আগের স্মৃতি হাতড়ে কোহলির মনে পড়ছে, আইপিএলে শুরুর দিনগুলোতে কোন সতীর্থ তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর প্রভাব ফেলেছিলেন।

বেঙ্গালুরুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক পডকাস্ট ভিডিওতে কোহলি কথা বলেছেন আইপিএলে নিজের শুরুর সময় নিয়ে। সেই ভিডিওতে তিনি মায়ন্তি ল্যাঙ্গারকে বলেছেন সাবেক আইপিএল সতীর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কীভাবে তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব রেখেছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোহলি।

মার্ক বাউচার

সম্পর্কিত নিবন্ধ