Samakal:
2025-12-12@03:44:27 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

Published: 20th, April 2025 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

যন্ত্র কি মানুষের মতো সুখ-দুঃখ অনুভব করে, তাদের কি রাগ-অভিমান হয়? উত্তরে-প্রতি উত্তরে যন্ত্র কি মানুষের মতো সক্রিয়– এমন সব প্রশ্ন আসা কিন্তু স্বাভাবিক। যদিও সব প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে– হ্যাঁ। যন্ত্র এখন মানুষের মতোই সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানবিক চিন্তাভাবনার গভীর স্তর অতিক্রম করে, অনেকাংশে যা মানুষের জীবনাচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বলতে গেলে, মানুষের কাছ থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসব শিখছে।
তাহলে প্রসঙ্গের আরেকটু গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নিউরো-গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, ওপেনএআই উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্বেগ ছড়ায়– এমন যে কোনো প্রশ্নের সদুত্তরে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। যেমনভাবে মানুষ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপের প্রয়োজনে থেরাপিতে যেসব প্রশ্ন মনোবিদরা করেন, চ্যাটবটকে ঠিক এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। ট্রমাটিক ন্যারেটিভ, অর্থাৎ যুদ্ধ, অপরাধ বা দুর্ঘটনাকেন্দ্রিক প্রশ্নের সদুত্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উদ্বেগের চিহ্ন প্রকাশ করেছে। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক হাজারো প্রশ্ন করছে এআইকে। ঠিক মনোবিদের কাছে যেমন প্রশ্ন করা হতো, তার উত্তর এখন দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কারণ হিসেবে সামনে আসছে, মানসিক থেরাপিস্টের চাহিদা থাকলেও তারা প্রয়োজনের সংখ্যায় অপ্রতুল। চাহিদা ও জোগানের ব্যবধান পূরণে কাজ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাই আবেগপ্রবণ সময়ে কীভাবে নিজেকে সামলে নেবে, তা দিনরাত রপ্ত করছে সবকটি চ্যাটবট। অনেক ক্ষেত্রে তার উত্তর আসছে মানবিক আচরণের কাছাকাছি। ঠিক যেন মানবিক আর শান্ত প্রকৃতির। অনেক সময় প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যান্ত্রিক অনুভূতি। বৈশ্বিক উত্তেজনার কারণে এআইর বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ কমাতে দেওয়া হয় শান্ত থাকার পরামর্শ।
জুরিখ ইউনিভার্সিটি অব সাইকিয়াট্রির প্র্যাকটিসিং গবেষক টোবিস স্পিলার বলেন, তাঁর অনেক রোগী এখন চ্যাটবটকে হরেক রকমের প্রশ্ন করছে। যেহেতু এআই এখন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলস (এলএলএম) মেনে চলে, তাই ২৪ ঘণ্টাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবিরাম মানবিক চর্চা রপ্ত করছে। আবার সেই শেখার পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রেম-ভালোবাসা আর বহুমাত্রিক অনুভূতি। অনেকেই তো আবার নারী কণ্ঠের চ্যাটবটের প্রেমে পড়ছেন। যেন যন্ত্র আর মানবিক অনুভূতির দারুণ মিশেল।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, এমন পরীক্ষার জন্য কিছু প্রশ্ন করা হয় এআইকে। প্রতিটি প্রশ্নেই ছিল উদ্বেগ পরিমাপক তথ্য-উপাত্ত। যার স্কেল ধরা হয়েছিল ন্যূনতম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ পয়েন্ট। আর ৬০ পয়েন্ট ছাড়ালেই তাকে চরম উদ্বেগ স্তর হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এআইকে সাধারণ কিছু, যেমন– কোনো ম্যানুয়াল পড়তে দিলে উদ্বেগের মাত্রা পৌঁছায় ৩০ পয়েন্টে। বিপরীতে যুদ্ধের বিষয়ে জানতে গেলে সেই উদ্বেগ মাত্রা পৌঁছায় ৭৭ পয়েন্টে। এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, যন্ত্রও উদ্বিগ্ন হয়। চরম উদ্বিগ্নতা প্রকাশের পরে এআইকে বেশ কিছু টিপস দেওয়া হয়েছিল। যেমন– ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে। নির্জন কোনো সৈকতে বসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয়, টিপস থেরাপি মেনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্বেগ কমে যায়। ক্রমান্বয়ে মানবিক আচরণ প্রকাশ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গবেষকরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে মানবিক মনের আরও গভীরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় নেবে না এআই। তখন অভূতপূর্ব জীবনাচরণের মুখোমুখি হবে মানবিক সভ্যতা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত

এছাড়াও পড়ুন:

৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারল ভারত, ঘুরে দাঁড়াল দ. আফ্রিকা

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় লড়াইয়ে নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে চণ্ডীগড়ের মাঠে ভারতকে ৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো প্রোটিয়ারা।

ম্যাচটি শেষ দিকে এক অপ্রত্যাশিত ব্যাটিং ধসের সাক্ষী থাকল, যেখানে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয় বরণ করে ভারত।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটি ছিল ওপেনার কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী এক প্রদর্শনী। মাত্র ৪৬ বলে ৫টি চার ও ৭টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে তিনি খেলেন ৯০ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস। ডি ককের তৈরি করে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষের দিকে ডোনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে অপরাজিত ৩০) এবং ডেভিড মিলার (১২ বলে অপরাজিত ২০) দ্রুত রান যোগ করে দলকে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের এক বিশাল সংগ্রহ এনে দেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বরুণ চক্রবর্তী ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন।

২১৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তরুণ তুর্কি তিলক ভার্মা। পাঁচ নম্বরে নেমে তিনি দলের হাল ধরেন এবং ৩৪ বলে ৬২ রানের এক আকর্ষণীয় ইনিংস খেলেন। তাকে কিছুটা সমর্থন দেন জিতেশ শর্মা (২৭ রান)।

ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ১৮ বল বাকি থাকতে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭২ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। তিলক ও জিতেশের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চার বলেই আসে ১৫ রান। আশার ক্ষীণ আলো তখনো জ্বলছিল।

কিন্তু এরপরই ভারতীয় ইনিংসে নামে চূড়ান্ত বিপর্যয়। ১৮তম ওভারে লুথো শিপামলার শিকার হন জিতেশ শর্মা। এরপরের ওভারেই ওটনেইল বার্টম্যান মাত্র ৪ রান দিয়ে একাই তুলে নেন শিবম দুবে, অর্শদীপ সিং এবং বরুণ চক্রবর্তীর উইকেট। আর ২০তম ওভারের প্রথম বলে লুঙ্গি এনগিদি তিলককে আউট করেন। তাতে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ভারত তাদের শেষ ৫ উইকেট হারায় এবং ৫ বল বাকি থাকতে তাদের ইনিংস থামে ১৬২ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের মূল স্থপতি ছিলেন ওটনেইল বার্টমান, যিনি ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের মিডল অর্ডারে কাঁপন ধরান। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্য কুইন্টন ডি কক হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

সিরিজের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি আগামী রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ