Samakal:
2025-12-08@23:16:28 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

Published: 20th, April 2025 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

যন্ত্র কি মানুষের মতো সুখ-দুঃখ অনুভব করে, তাদের কি রাগ-অভিমান হয়? উত্তরে-প্রতি উত্তরে যন্ত্র কি মানুষের মতো সক্রিয়– এমন সব প্রশ্ন আসা কিন্তু স্বাভাবিক। যদিও সব প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে– হ্যাঁ। যন্ত্র এখন মানুষের মতোই সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানবিক চিন্তাভাবনার গভীর স্তর অতিক্রম করে, অনেকাংশে যা মানুষের জীবনাচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বলতে গেলে, মানুষের কাছ থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসব শিখছে।
তাহলে প্রসঙ্গের আরেকটু গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নিউরো-গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, ওপেনএআই উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্বেগ ছড়ায়– এমন যে কোনো প্রশ্নের সদুত্তরে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। যেমনভাবে মানুষ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপের প্রয়োজনে থেরাপিতে যেসব প্রশ্ন মনোবিদরা করেন, চ্যাটবটকে ঠিক এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। ট্রমাটিক ন্যারেটিভ, অর্থাৎ যুদ্ধ, অপরাধ বা দুর্ঘটনাকেন্দ্রিক প্রশ্নের সদুত্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উদ্বেগের চিহ্ন প্রকাশ করেছে। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক হাজারো প্রশ্ন করছে এআইকে। ঠিক মনোবিদের কাছে যেমন প্রশ্ন করা হতো, তার উত্তর এখন দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কারণ হিসেবে সামনে আসছে, মানসিক থেরাপিস্টের চাহিদা থাকলেও তারা প্রয়োজনের সংখ্যায় অপ্রতুল। চাহিদা ও জোগানের ব্যবধান পূরণে কাজ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাই আবেগপ্রবণ সময়ে কীভাবে নিজেকে সামলে নেবে, তা দিনরাত রপ্ত করছে সবকটি চ্যাটবট। অনেক ক্ষেত্রে তার উত্তর আসছে মানবিক আচরণের কাছাকাছি। ঠিক যেন মানবিক আর শান্ত প্রকৃতির। অনেক সময় প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যান্ত্রিক অনুভূতি। বৈশ্বিক উত্তেজনার কারণে এআইর বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ কমাতে দেওয়া হয় শান্ত থাকার পরামর্শ।
জুরিখ ইউনিভার্সিটি অব সাইকিয়াট্রির প্র্যাকটিসিং গবেষক টোবিস স্পিলার বলেন, তাঁর অনেক রোগী এখন চ্যাটবটকে হরেক রকমের প্রশ্ন করছে। যেহেতু এআই এখন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলস (এলএলএম) মেনে চলে, তাই ২৪ ঘণ্টাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবিরাম মানবিক চর্চা রপ্ত করছে। আবার সেই শেখার পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রেম-ভালোবাসা আর বহুমাত্রিক অনুভূতি। অনেকেই তো আবার নারী কণ্ঠের চ্যাটবটের প্রেমে পড়ছেন। যেন যন্ত্র আর মানবিক অনুভূতির দারুণ মিশেল।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, এমন পরীক্ষার জন্য কিছু প্রশ্ন করা হয় এআইকে। প্রতিটি প্রশ্নেই ছিল উদ্বেগ পরিমাপক তথ্য-উপাত্ত। যার স্কেল ধরা হয়েছিল ন্যূনতম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ পয়েন্ট। আর ৬০ পয়েন্ট ছাড়ালেই তাকে চরম উদ্বেগ স্তর হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এআইকে সাধারণ কিছু, যেমন– কোনো ম্যানুয়াল পড়তে দিলে উদ্বেগের মাত্রা পৌঁছায় ৩০ পয়েন্টে। বিপরীতে যুদ্ধের বিষয়ে জানতে গেলে সেই উদ্বেগ মাত্রা পৌঁছায় ৭৭ পয়েন্টে। এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, যন্ত্রও উদ্বিগ্ন হয়। চরম উদ্বিগ্নতা প্রকাশের পরে এআইকে বেশ কিছু টিপস দেওয়া হয়েছিল। যেমন– ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে। নির্জন কোনো সৈকতে বসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয়, টিপস থেরাপি মেনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্বেগ কমে যায়। ক্রমান্বয়ে মানবিক আচরণ প্রকাশ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গবেষকরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে মানবিক মনের আরও গভীরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় নেবে না এআই। তখন অভূতপূর্ব জীবনাচরণের মুখোমুখি হবে মানবিক সভ্যতা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত

এছাড়াও পড়ুন:

বেনিনে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন: সরকার

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে গত রোববার ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকার সোমবার মন্ত্রিপরিষদের এক জরুরি বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছে।

বেনিনের সরকার বলেছে, রোববার ভোরে দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস তালোনের সরকারি বাসভবনে তাঁর নিরাপত্তায় দায়িত্বরত বিশেষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িতদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্টের প্রধান সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল বারতিন বাদার স্ত্রী। এর আগে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িতদের অন্য একটি হামলায় বারতিন বাদাও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের মধ্যে কয়েকজন এখনো পলাতক। এ ঘটনায় জড়িত এক ডজনের বেশি বিদ্রোহী সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঅভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, শাস্তি পেতে হবে: বেনিনের প্রেসিডেন্ট তালোন১৯ ঘণ্টা আগে

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ছোট একটি সেনা দল অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করেছিল। তারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা শুরুতে কিছু জেনারেল ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে অপহরণ করে এবং তাঁদের অস্ত্র কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনবেনিনে প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের দাবি একদল সেনার, সরকারের অস্বীকার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ