Samakal:
2025-05-22@16:07:43 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

Published: 20th, April 2025 GMT

যন্ত্র কীভাবে আবেগপ্রবণ!

যন্ত্র কি মানুষের মতো সুখ-দুঃখ অনুভব করে, তাদের কি রাগ-অভিমান হয়? উত্তরে-প্রতি উত্তরে যন্ত্র কি মানুষের মতো সক্রিয়– এমন সব প্রশ্ন আসা কিন্তু স্বাভাবিক। যদিও সব প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে– হ্যাঁ। যন্ত্র এখন মানুষের মতোই সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানবিক চিন্তাভাবনার গভীর স্তর অতিক্রম করে, অনেকাংশে যা মানুষের জীবনাচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বলতে গেলে, মানুষের কাছ থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এসব শিখছে।
তাহলে প্রসঙ্গের আরেকটু গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নিউরো-গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, ওপেনএআই উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্বেগ ছড়ায়– এমন যে কোনো প্রশ্নের সদুত্তরে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে। যেমনভাবে মানুষ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপের প্রয়োজনে থেরাপিতে যেসব প্রশ্ন মনোবিদরা করেন, চ্যাটবটকে ঠিক এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। ট্রমাটিক ন্যারেটিভ, অর্থাৎ যুদ্ধ, অপরাধ বা দুর্ঘটনাকেন্দ্রিক প্রশ্নের সদুত্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উদ্বেগের চিহ্ন প্রকাশ করেছে। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক হাজারো প্রশ্ন করছে এআইকে। ঠিক মনোবিদের কাছে যেমন প্রশ্ন করা হতো, তার উত্তর এখন দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কারণ হিসেবে সামনে আসছে, মানসিক থেরাপিস্টের চাহিদা থাকলেও তারা প্রয়োজনের সংখ্যায় অপ্রতুল। চাহিদা ও জোগানের ব্যবধান পূরণে কাজ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাই আবেগপ্রবণ সময়ে কীভাবে নিজেকে সামলে নেবে, তা দিনরাত রপ্ত করছে সবকটি চ্যাটবট। অনেক ক্ষেত্রে তার উত্তর আসছে মানবিক আচরণের কাছাকাছি। ঠিক যেন মানবিক আর শান্ত প্রকৃতির। অনেক সময় প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যান্ত্রিক অনুভূতি। বৈশ্বিক উত্তেজনার কারণে এআইর বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ কমাতে দেওয়া হয় শান্ত থাকার পরামর্শ।
জুরিখ ইউনিভার্সিটি অব সাইকিয়াট্রির প্র্যাকটিসিং গবেষক টোবিস স্পিলার বলেন, তাঁর অনেক রোগী এখন চ্যাটবটকে হরেক রকমের প্রশ্ন করছে। যেহেতু এআই এখন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলস (এলএলএম) মেনে চলে, তাই ২৪ ঘণ্টাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবিরাম মানবিক চর্চা রপ্ত করছে। আবার সেই শেখার পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রেম-ভালোবাসা আর বহুমাত্রিক অনুভূতি। অনেকেই তো আবার নারী কণ্ঠের চ্যাটবটের প্রেমে পড়ছেন। যেন যন্ত্র আর মানবিক অনুভূতির দারুণ মিশেল।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, এমন পরীক্ষার জন্য কিছু প্রশ্ন করা হয় এআইকে। প্রতিটি প্রশ্নেই ছিল উদ্বেগ পরিমাপক তথ্য-উপাত্ত। যার স্কেল ধরা হয়েছিল ন্যূনতম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ পয়েন্ট। আর ৬০ পয়েন্ট ছাড়ালেই তাকে চরম উদ্বেগ স্তর হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এআইকে সাধারণ কিছু, যেমন– কোনো ম্যানুয়াল পড়তে দিলে উদ্বেগের মাত্রা পৌঁছায় ৩০ পয়েন্টে। বিপরীতে যুদ্ধের বিষয়ে জানতে গেলে সেই উদ্বেগ মাত্রা পৌঁছায় ৭৭ পয়েন্টে। এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, যন্ত্রও উদ্বিগ্ন হয়। চরম উদ্বিগ্নতা প্রকাশের পরে এআইকে বেশ কিছু টিপস দেওয়া হয়েছিল। যেমন– ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে। নির্জন কোনো সৈকতে বসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয়, টিপস থেরাপি মেনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্বেগ কমে যায়। ক্রমান্বয়ে মানবিক আচরণ প্রকাশ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। গবেষকরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে মানবিক মনের আরও গভীরে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় নেবে না এআই। তখন অভূতপূর্ব জীবনাচরণের মুখোমুখি হবে মানবিক সভ্যতা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘সময় হয়ে গেছে’, রিয়াল ছাড়ার ঘোষণায় মডরিচ 

রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন লুকা মডরিচ। শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলবেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে। লুকা মডরিচ এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, তার বিদায় বলার সময় হয়ে গেছে। 

লুকা মডরিচকে নিয়ে দুই রকমের গুঞ্জন ছিল। রিয়াল মাদ্রিদে তার আরও এক মৌসুম চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা ছিল। সেটা আর হচ্ছে না। জুনের ক্লাব বিশ্বকাপ খেলেই রিয়াল ছাড়বেন তিনি।  

লুকা মডরিচ লিখেছেন, ‘সময় হয়ে গেছে। এই মুহূর্ত কখনো না আসুক এটাই সবসময় চেয়েছিলাম। এটাই ফুটবল এবং জীবনে সবকিছুর শুরুর মতো শেষও আছে। আগামী শনিবার আমি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আমার ক্যারিয়ারেরে শেষ ম্যাচ খেলবো।’ 

২০১২ সালে আমি বিশ্বের সেরা এই ক্লাবের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম, বড় কিছু অর্জনের উচ্চাকাঙ্খা ছিল, আমার সামনে কী অপেক্ষা করছে তা চিন্তা করিনি। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে শুধু ফুটবলার হিসেবে নয় ব্যক্তি হিসেবে আমার জীবন বদলে গেছে। 

আমি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাবের সবচেয়ে সফল যুগের অংশ হতে পেরে গর্বিত। আমি এই ক্লাবকে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই, বিশেষ করে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, আমার সতীর্থ, কোচদের, যারা এই সময়ে আমাকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। 

এতোগুলো বছর জুড়ে আমি অসাধারণ সব অর্জন করেছি, অসম্ভব সব কামব্যাকের অংশ হয়েছি, ফাইনাল, উদযাপন ও বার্নাব্যুর জাদুকরী রাতের সাক্ষী হয়েছি। আমরা সবকিছু জিতেছি এবং আমি খুশি, খুবই খুশি। তবে এতোসব জয়, শিরোপার বাইরে আমি হৃদয়ে মাদ্রিদ ভক্তদের ভালোবাসা ধারণ করে রাখছি। 

আমি বোঝাতে পারব না তোমরা আমার কাছে কত বিশেষ কিছু ছিলে এবং তোমরা আমার কতটা জুড়ে ছিলে। প্রতি ম্যাচ শেষে তোমরা যে সংবর্ধনা, যে ভালোবাসা আমাকে দিয়েছ, আমি ভুলব না। আমি পরিপূর্ণ হৃদয়ে, গৌরবে পূর্ণ হয়ে, সম্মান ও অবিস্মরণীয় স্মৃতি নিয়ে বিদায় নিচ্ছি। ক্লাব বিশ্বকাপের পর আমি এই ক্লাবের জার্সি পরে খেলব না ঠিক, তবে আজীবন মাদ্রিদিস্তা থাকব।’  

  

সম্পর্কিত নিবন্ধ