বাংলাদেশের বাজারে নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দুটি মডেলের ওয়াশিং মেশিন এনেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ। ডব্লিউএ৯৫সিজি ও ডব্লিউডব্লিউ৯০ডিজি মডেলের ইকো বাবল প্রযুক্তিনির্ভর ওয়াশিং মেশিনগুলোর ধারণক্ষমতা যথাক্রমে ৯ কেজি ও সাড়ে ৯ কেজি। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাড়ে ৯ কেজি ধারণক্ষমতার ওয়াশিং মেশিনটিতে ইকো বাবলের পাশাপাশি ডুয়েল স্টর্ম, বাবল স্টর্ম ও স্পিড স্প্রে প্রযুক্তি রয়েছে। এর ফলে দ্রুত পরিষ্কারের পাশাপাশি কাপড়ের মানও ভালো থাকে। অপর দিকে ৯ কেজি ধারণক্ষমতার ওয়াশিং মেশিনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় পানি ও বিদ্যুৎ উভয়ই কম খরচ হয়। ওয়াশিং মেশিন দুটির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ও ৯২ হাজার ৯০০ টাকা।

নতুন স্মার্ট ওয়াশিং মেশিনগুলোর বিষয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, সাড়ে ৯ কেজি টপ লোড ওয়াশার ও ৯ কেজি ফ্রন্ট লোড ওয়াশার ওয়াশিং মেশিনগুলো ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। আমাদের ক্রেতাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনায় অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে দলীয় পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সালমানকে প্রধান আসামি করে তাঁর অন্তত আটজন সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০ জনকে। মামলার পর সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার অন্য আসামি হলেন উৎস হোসেন, অপু মিয়া, নীরব মিয়া, সুব্রত দাস, পিয়াস মিয়া, রিজন মিয়া ও জীবন চন্দ্র। তাঁদের সবার বয়স ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি পূর্বধলা উপজেলায়। তিনি স্বামীসহ ঢাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে তিনি বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর চাচা ঢাকায় অ্যাম্বুলেন্স চালান। গত মঙ্গলবার তাঁর চাচা সেখান থেকে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে পূর্বধলায় আসেন। পরে রোগীকে রেখে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে রাতে ওই নারীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলার বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের জালশুকা এলাকায় পৌঁছালে সালমান রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক তাঁদের থামান। পরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে ওই নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। এ সময় বাধা দিলে ওই নারী ও তাঁর চাচাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় সালমানকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে বহিষ্কার করে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম আলোতে ‘নেত্রকোনায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনায় মামলার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সালমানের পাঁচ সহযোগী মেহেদী হাসান, রেদুয়ান আহম্মদ, রাকিব হাসান, গৌরব কানু ও ফরহাদ করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, মামলার সন্দিগ্ধ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সালমানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ