হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
Published: 10th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার ভারত সীমান্তে টহল জোরদার ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের পুশইন (জোরপূর্বক প্রবেশ) করার একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।
বিজিবি জানায়, ১০৩.২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। তবে, যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছেন।
বিজিবির ৫৫ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
আরো পড়ুন:
বিজিবির অভিযানে এপ্রিলে শত কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী জব্দ
ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৪৪
আরো পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীয়র অনুপ্রবেশ
তিনি বলেন, “সীমান্তে যে কোনো ধরনের পুশইন প্রতিরোধে আমরা প্রস্তুত। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।”
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকার প্রতিদিনই সাধারণ মানুষদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ এবং প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্তের বিশাল এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় ২৪ ঘণ্টা যে কোনো সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর
বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনে হরিণ ধরার জন্য পাতা শিকারিদের ফাঁদে আটকে পড়া একটি বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। চিকিৎসা শেষে প্রাণীটিকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
সমুদ্র থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিকে দূষিত সুন্দরবন
সুন্দরবনে দস্যুদের আস্তানা থেকে ৪ জেলে উদ্ধার
বন বিভাগ জানায়, বনকর্মীরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে ফুট প্যাট্রোল পরিচালনা করে বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারীতে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়া একটি বানর দেখতে পান বন কর্মীরা। তারা আহত বানরটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে আবার বনে ছেড়ে দেন। পরে ওই এলাকায় পাতা হরিণ ধরার আরো ১০টি সিটকা ফাঁদ অপসারণ করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “শিকারিদের পাতা ফাঁদে শুরু হরিণই না অন্য প্রাণীও মারা যায়। গত পাঁচ মাসে আমাদের সহকর্মীরা বন থেকে প্রচুর পরিমাণ ফাঁদ অপসারণ করেছেন। ফাঁদ অপসারণ করতে না পারলে শত শত হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী শিকার হতো। এটাই বাস্তব সত্য।”
তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রাণ বাঁচানোর কাজ করছি। তাই অনুরোধ করব, এইসব প্রাণি হত্যাকারীদের সহায়তা করবেন না, তাদের কাছ থেকে মাংস কিনবেন না। তাদের আমাদের কাছে সোপর্দ করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতাতেই আমাদের প্রাণের সুন্দরবন বাঁচবে, ইনশাল্লাহ।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ