বিরলের শালবনে মিলল মহাবিপন্ন খুদি খেজুরগাছ, ফলও ধরেছে কয়েকটিতে
Published: 11th, May 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কালিয়াগঞ্জ শালবনে মহাবিপন্ন খুদি খেজুরগাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাছের গোড়ায় ফলও ধরেছে। খেজুরগাছ ও ফল দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন।
আজ রোববার বিকেলে খেজুরগাছগুলো পরিদর্শন করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিপন্নপ্রায় উদ্ভিদটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শালবনের ধর্মপুর বিটের কর্মকর্তা মহসীন আলী।
আজ বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি পাটাবন এলাকায় খেজুরগাছ পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মান্নান হোসেন প্রমুখ।
দীর্ঘদিন ধরে শালবনে খুদি খেজুরগাছের সন্ধান নিয়ে কাজ করছেন অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, খুদি খেজুরগাছের বৈজ্ঞানিক নাম ফনিক্স অ্যাকাউলিস। আগে ঢাকা ও ময়মনসিংহ এলাকায় সন্ধান মিললেও দিনাজপুরে এবার প্রথম। এটি প্রায় কাণ্ডবিহীন বামনাকৃতির গাছ। পাতা সরু ও ধারালো। গাছের গোড়ায় ফল ধরে। আকারে দেশি জাতের খেজুরের মতো চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার আকৃতির হয়। ফলটি কাঁচা অবস্থায় লাল আকার ধারণ করে; সম্পূর্ণ পাকলে কালো জামের রং ধারণ করে। খেতেও অনেক মিষ্টি। সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে পাকে।
অধ্যাপক মোশারফ হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গবেষণাকাজে তিনি বিরলের শালবনে আসেন। তখন খুদি খেজুরগাছ দেখা পান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম প্রাকৃতিকভাবে জন্মায় এমন এক হাজার উদ্ভিদ নিয়ে মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয়। কাজের দায়িত্ব পায় প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন। গত বছর আইইউসিএন দুটি গ্রন্থও প্রকাশ করে। যার মধ্যে পাঁচটি উদ্ভিদ মহাবিপন্ন হিসেবে মূল্যায়িত হয়। তারই একটি খুদি খেজুর বা বন খেজুর। সম্প্রতি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় উদ্ভিদগুলো সংরক্ষণে কাজ শুরু করেছে।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিরলের ২১টি মৌজায় ২ হাজার ৮৩৬ একর শালবনে শাল, সেগুন, কড়ইসহ শতাধিক প্রজাতির গাছ আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা কিছু খুদি খেজুরগাছের সন্ধান মিলেছে। কালিয়াগঞ্জ শালবনে ১৫০ থেকে ২০০টি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০ থেকে ৩০টিতে ফলও ধরেছে। যেহেতু এটি মহাবিপন্ন উদ্ভিদ, তাই গাছগুলোর অবস্থান নিশ্চিত করে সেগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ জ রগ ছ র কর মকর ত শ লবন
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত