প্লেব্যাক থেকে পর্দায় কতটা সফল তারা?
Published: 12th, July 2025 GMT
বাংলাদেশি সংগীতাঙ্গনের বহু তারকা সুরের ভুবন থেকে পা রেখেছেন রুপালি পর্দায়। কেউ হয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসার পাত্র, কেউ হারিয়ে গেছেন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়— গানের মানুষদের পর্দার মানুষ হয়ে ওঠার এই যাত্রা কতটা সফল?
সাম্প্রতিক সময়ে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান ও জেফার রহমান। শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘তুমি আমি শুধু’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক তাদের। প্রীতম এর আগেই নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন। জেফারের এটি প্রথম চলচ্চিত্র। নির্মাতা ও দর্শক আশাবাদী নতুন জুটিকে ঘিরে।
সংগীতে একসময় তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া আসিফ আকবরও পর্দায় নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ‘গহীনের গান’ নামে সংগীতনির্ভর সিনেমায় ছিলেন প্রধান চরিত্রে। যদিও অভিনয়ের মূল ধারায় আসিফকে স্থায়ী করতে পারেনি।
ব্যান্ডদল ‘সোলস’-এর জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পার্থ বড়ুয়া অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ‘আয়নাবাজি’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’, ‘জেকে ১৯৭১’– এসব সিনেমায় তার উপস্থিতি প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি তাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেড ইন চিটাগং’।
লোকসংগীতের সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম অভিনয় করেছেন ‘মমতাজ’, ‘গরীবের রানী’, ‘রঙিন বউ’-এর মতো কিছু চলচ্চিত্রে। তবে তার মূল অবস্থান সংগীতেই থেকে গেছে, পর্দায় প্রভাব ফেলতে পারেননি।
এসডি রুবেলও নিয়মিতভাবে সিনেমায় কাজ করলেও দর্শকপ্রিয়তা অর্জনে খুব একটা সফল নন। ‘বিচার চাই’, ‘প্রেমের বাঁশি’, ‘মন আমার ছোট্ট নয়’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ নিজেই পরিচালনা করেছেন ‘বৃদ্ধাশ্রম’।
অভিনয়ে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সফল নামগুলোর একটি ফজলুর রহমান বাবু। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘মণপুরা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’সহ অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় স্বীকৃতি ও জনপ্রিয়তা।
গায়ক থেকে অভিনেতা হয়ে উঠেছেন তাহসান রহমান খান। নাটক দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে সিনেমার দর্শকপ্রিয় মুখ হয়েছেন তিনি। ‘যদি একদিন’, ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’, ‘ছক’সহ একাধিক সিনেমায় তার অভিনয় প্রশংসিত।
আঁখি আলমগীর ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরবর্তীতে ‘এক কাপ চা’ সিনেমায় অতিথি চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
অন্যদিকে, প্রয়াত জাফর ইকবাল ছিলেন এই যাত্রার পুরোধা। গিটারিস্ট ও গায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ১৯৭০ সালে ‘আপন পর’ সিনেমা দিয়ে হয়ে ওঠেন রোমান্টিক হিরো। এরপর দীর্ঘদিন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার ছিলেন তিনি।
উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি রুনা লায়লা ১৯৯৭ সালে চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘শিল্পী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তবে সেটিই তার একমাত্র চলচ্চিত্র।
গানের সুর দিয়ে মন জয় করা যায়, কিন্তু পর্দায় আলো ছড়াতে লাগে চোখের ভাষা, অভিনয়ের দক্ষতা। যারা সেটা পেরেছেন, তারাই হয়ে ওঠেন সত্যিকারের পর্দার মানুষ।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর দ য় কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
উইম্বলডনের নতুন রানি শিয়াটেক
উইম্বলডনে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ইতিহাস গড়লেন পোলিশ তারকা ইগা শিয়াটেক। শনিবার রাতে মেয়েদের একক ফাইনালে মার্কিন তারকা অ্যামান্ডা আনিসিমোভাকে হারিয়ে উইম্বলডনের নতুন রানি বনে গেলেন ২৪ বছর বয়সী এই টেনিস সেনসেশন। এদিন মাত্র ৫৭ মিনিটে অ্যামান্ডাকে ৬-০, ৬-০ গেমে উড়িয়ে দেন শিয়াটেক।
ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেননি মার্কিন তারকা অ্যামান্ডা আনিসিমোভা। ফাইনালে ‘ডাবল বাগেল’ স্কোরলাইনে জয় পাওয়া শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯১১ সালে। ১১৪ বছর পর এমন বিরল কীর্তি গড়লেন পোলিশ তারকা শিয়াটেক।
এই জয়ে ক্যারিয়ারের ছয় নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতলেন শিয়াটেক। তবে এটি তার প্রথম উইম্বলডন জয় এবং রোলাঁ গারোর বাইরে দ্বিতীয় মেজর সাফল্য। এর আগে ২০২২ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন তিনি। ফ্রেঞ্চ ওপেনে চারবার চ্যাম্পিয়ন হলেও ঘাসের কোর্টে এতদিন সেরা হতে পারেননি এই পোলিশ খেলোয়াড়। তার লক্ষ্য আগামী মৌসুমে মেলবোর্নের ট্রফিও হাতে তোলা।