খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে মাহবুবুর রহমানের বাবা আবদুল করিম মোল্লা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে দৌলতপুর থানায় এই মামলা করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পর এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের তিনটি দল কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে বলে তিনি আশা করছেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় যুবদলের নেতা মাহবুবুর রহমানের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন তাঁকে বহিষ্কার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। বহিষ্কারের পরও দলীয় সব কর্মকাণ্ডে মাহবুবুর রহমানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে মহানগরের দৌলতপুর পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকার নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে ও রগ কেটে মাহবুবুর রহমানকে হত্যা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই সময় নিজের প্রাইভেট কার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুবুর রহমান। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে গুলি ও দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। মোটরসাইকেলে আসা একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় মাহবুবুরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে আসা তিনজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাঁরা মাহবুবুর রহমানের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করেন। ঘটনাস্থলে পাঁচটি গুলির খোসা পাওয়া যায়। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ৮টি গুলি লাগে। গুলির ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁকে গুলি করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা স্থানীয় নাকি বহিরাগত ভাড়াটে, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলাকে বলেন, ‘আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আমরা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারব। বিষয়টা যেহেতু তদন্তানাধীন, সেজন্য আমরা এখনই কোনো কারণ বলছি না। সুনির্দিষ্টভাবে বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল র দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতা করবেন না: মজিবুর রহমান মঞ্জু

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতা করবেন না। মানুষ তখনই আওয়ামী লীগ গুম, খুন ভুলে যাবে, যখন আগের ‘মজলুমরা’ একই রকম পাশবিক আচরণ করবে।
 
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যেগে ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কয়দিন আগেও সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। কে ছোট, কে বড় প্রশ্ন তুলিনি। তাহলে আজ কেন এতো বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছি? শত্রুর হাতে আমাদের রক্ত ঝরলে কিংবা নিগৃহীত হয়ে জেলে গেলেই আমরা শুধু ঐক্যবদ্ধ হই।
 
বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনো সংস্কারে এই রোগ সারবে না। ক্ষমতা পেয়ে অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোন দলের পক্ষেই দেশে পরিবর্তন সম্ভব না। হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি করি, সবাইকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধরা ক্ষমা করবে না। 
 
বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ