খুলনায় যুবদলের সাবেক নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা
Published: 12th, July 2025 GMT
খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে মাহবুবুর রহমানের বাবা আবদুল করিম মোল্লা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে দৌলতপুর থানায় এই মামলা করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পর এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের তিনটি দল কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে বলে তিনি আশা করছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় যুবদলের নেতা মাহবুবুর রহমানের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন তাঁকে বহিষ্কার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। বহিষ্কারের পরও দলীয় সব কর্মকাণ্ডে মাহবুবুর রহমানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে মহানগরের দৌলতপুর পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকার নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে ও রগ কেটে মাহবুবুর রহমানকে হত্যা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই সময় নিজের প্রাইভেট কার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুবুর রহমান। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁকে গুলি ও দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। মোটরসাইকেলে আসা একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত অবস্থায় মাহবুবুরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে আসা তিনজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাঁরা মাহবুবুর রহমানের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করেন। ঘটনাস্থলে পাঁচটি গুলির খোসা পাওয়া যায়। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ৮টি গুলি লাগে। গুলির ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁকে গুলি করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা স্থানীয় নাকি বহিরাগত ভাড়াটে, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলাকে বলেন, ‘আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আমরা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারব। বিষয়টা যেহেতু তদন্তানাধীন, সেজন্য আমরা এখনই কোনো কারণ বলছি না। সুনির্দিষ্টভাবে বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট