১২ মে সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি জমকালো সান্ধ্য আয়োজনে ঘোষণা করা হয় ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডসের সম্মানজনক ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কার অর্জন করেন। স্বাধীন প্রকাশনার অধিকার রক্ষার জন্য লেখক, প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়।
বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কারটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পুরস্কারজয়ী সাহিত্যিক মার্গারেট অ্যাটউড মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার অক্লান্ত একজন সংগ্রামী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। অ্যাটউড লন্ডনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না; তিনি একটি ভিডিও বার্তায় পুরস্কার গ্রহণের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন, যা দেখানো হয় তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার সময়। কানাডিয়ান লেখিকা তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন এই বলে যে, তিনি এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন। যদিও একটু বিভ্রান্তও বটে। তিনি বলেন, অতীত এবং বর্তমানের অসংখ্য লেখক, প্রকাশক ও বই বিক্রেতাদের মতো আমাকে কখনও কারাবরণ করতে হয়নি। যদিও পরিসংখ্যানটি আবার বিবেচনা করতে হতে পারে যদি আমি নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করি। 
মার্গারেট অ্যাটউড একটি নিপীড়নমূলক সমাজব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে লিখেছিলেন বিখ্যাত ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস ‘দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেল’। এখানে তিনি এমন একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কথা বলেছেন, যেখানে ক্ষমতাহীন নারীদের জোর করে সন্তান ধারণে বাধ্য করা হয়। ডিস্টোপিয়ান এ উপন্যাস মূলত এক সতর্কবার্তা– যা ধর্ম, রাষ্ট্র আর পুরুষতন্ত্রের নিপীড়নের চূড়ান্তরূপের সামনে পাঠককে এনে দাঁড় করায়। v  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিন ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই হবে না: ট্রাম্প

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নিজের একসঙ্গে বসা ছাড়া ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার কাতার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যাওয়ার পথে এ কথা বলেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ইউএইতে যাওয়ার পথে সেখানে থাকা বিবিসির সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, রাশিয়া তুরস্কে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে, তা নিয়ে আপনি কি হতাশ?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন, পুতিন ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই হবে না, ঠিক আছে?’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘স্পষ্টত তার (পুতিন) সেখানে যাওয়ার কথা ছিল না। তিনি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, ধারণা করেছিলেন আমিও সেখানে (তুরস্কে) যাচ্ছি।’

‘আমি না গেলে তিনি যাচ্ছিলেন না। আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, আমি মনে করি, তিনি ও আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই ঘটছে না। তবে আমাদের এটা সমাধান করতেই হবে। কারণ, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’

এদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিনিধিদল আজ ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে। রাশিয়া-তুরস্কের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আজ একটি বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি। সূত্র: বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ