সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুস্তাফিজুর রহমানকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুক্রবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে তার এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এবারের আইপিএলে রাউন্ড রবিন পর্বে বাকি আছে মাত্র ৩টি ম্যাচ। এই তিন ম্যাচেই খেলার জন্য এনওসি চেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। বিসিবি অনুমতি দিয়েছে ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএলে খেলার জন্য।

তবে শর্ত সাপেক্ষে এনওসি মিলেছে এই বাঁহাতি পেসারের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হবে তাকে। ১৭ মে সেই ম্যাচ খেলেই পরদিন ভারতে পাড়ি দিতে হবে মুস্তাফিজকে। যদিও ১৭ তারিখের ম্যাচ খেলে ১৮ তারিখেই দিল্লির হয়ে মাঠে নামা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওই ম্যাচ খেলতে না পারলেও ২১ ও ২৪ মে দিল্লির দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন তিনি। দলটি বর্তমানে ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে। প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে শেষ তিন ম্যাচের অন্তত দুটি জিততেই হবে তাদের।

এবারের আইপিএলের মেগা নিলামে কোনো দল পাননি মুস্তাফিজ। গত বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসও তাকে রিটেইন করেনি। তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর কিছুটা খেলোয়াড় সংকটে পড়েছে আইপিএল। দিল্লির অনেক খেলোয়াড়ই নাকি এখনও ক্যাম্পে যোগ দেয়নি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাক গার্কের বদলি হিসেবে দিল্লিতে জায়গা পেয়েছেন মুস্তাফিজ।
 
এবারের আইপিএলে রেকর্ড ৬ কোটি রুপিতে সুযোগ পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তবে এর পুরো অর্থটা তিনি পাবেন না। ম্যাচ অনুপাতে টাকা পাবেন। দিল্লি ক্যাপিটালসে এর আগেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে মুস্তাফিজের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ