হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 18th, May 2025 GMT
ঢাকার সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ রোববার দুপুরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম বলেন, ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি ছিল আজ। আশা ছিল, আদেশটি বাতিল করা হবে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত থাকলেও চূড়ান্ত আদেশ আসেনি। পরে আবার শুনানি হবে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন। তাই হতাশ হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।’
আরও পড়ুনহাইকোর্টের সামনে আগামীকাল মানববন্ধন করবেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা২১ ঘণ্টা আগেমাশফিক ইসলাম আরও বলেন, পদোন্নতির আদেশ বাতিল করার পাশাপাশি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চালু করা উচিত। পলিটেকনিকে এখন শিক্ষক–সংকট রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে অতিথি শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান মাশফিক ইসলাম।
ছয় দফা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল ‘শাটডাউন’ সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধ।
আরও পড়ুনকাল থেকে আবার আন্দোলনে কারিগরি শিক্ষার্থীরা২৪ এপ্রিল ২০২৫পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত থেকে সরে এল২৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল