মে মাসেই বোনাস দিতে হবে গার্মেন্টসকর্মীদের, জুনের শুরুতে বেতন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 19th, May 2025 GMT
চলতি মে মাসেই গার্মেন্টসকর্মীদের ঈদ বোনাস দিতে হবে এবং জুনের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে বেতন দিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গার্মেন্টস কর্মীদের বোনাস মে মাসের ভেতরেই দিয়ে দিতে হবে। আর বেতন জুনের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে। তবে অযৌক্তিক দাবির জন্য রাস্তাঘাট ঘেরাও করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে কোনো বাস, ট্রেন, নৌযান অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারবে না। একই নিয়ম থাকবে পশু আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষের নানা দাবি থাকবেই। আমরা আহ্বান করব সব মন্ত্রণালয় যেন যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়। তবে কেউ যেন অযৌক্তিক দাবি না করে। আর সবাই যেন তাদের নিজেদের কমপ্লেক্সে দাবির জন্য দাঁড়ায়। রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন তারা না করে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র ম ন টস উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
অব্যাহতি পাওয়া সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান
বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবিবার (১৮ মে) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে রবিবার কতিপয় বরখাস্ত বা অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেসক্লাবে যান এবং অত্যন্ত ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের বক্তব্য শোনেন। প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে দাবি-দাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে, অভিযোগসমূহ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনসমূহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে; যা সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।
তবে দুঃখজনক যে, কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পরপর দুবার সফল বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উশৃঙ্খল বরখাস্ত সেনা সদস্যদের উস্কানিতে ওই প্রতিনিধি দলের গাড়ির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়। সারাদিন জুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু-সংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।
যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে—এমন কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়। সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং সংবেদনশীলতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করছে। সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনরায় অনুরোধ জানায়।
ঢাকা/হাসান/ইভা