নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কৌশল: ববি হাজ্জাজ
Published: 19th, May 2025 GMT
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেন, ‘অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কৌশল।’
আজ সোমবার এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দলটির চেয়ারম্যান।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা প্রথমেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চাই ৫ আগস্টের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জন আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এখন কোথায়? পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ভিআইপি প্রটোকলে বিদেশ গমন করতে দেওয়ার পর এখন চুনোপুঁটি নায়িকাকে বিমানবন্দরে আটক করছে সরকার।’
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো নাগরিককে হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পূর্বে এর সপক্ষে প্রাথমিক তদন্তে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে। তবে দেখা যাচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুথানকে কেন্দ্র করে অনেক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা মামলা হয়েছে, যার মূল এজেন্ডা ছিল ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দখল–বাণিজ্য। এসব ঘটনা উদ্বেগের। এসব মামলা ফ্যাসিস্ট হাসিনার চালানো নৃশংসতম গণহত্যার প্রকৃত সত্যের সঙ্গে উপহাস।’
ববি হাজ্জাজ বলেন, একজন চলচ্চিত্রকর্মীর পেশাগত দায়িত্ব পালনকে হত্যার সমতুল্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করলে হাসিনার আমলে র্যাব-পুলিশ বা ডিজিএফআইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোকে মানুষ আর বিশ্বাস করতে চাইবে না। নুসরাত ফারিয়ার আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে এনডিএম সম্মান করে।
তবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে একশ্রেণির পেশাদার সাংস্কৃতিক কর্মী গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বিরোধী দলগুলোর ওপর বিদ্বেষ ছড়িয়েছে অভিযোগ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে আগুন–সন্ত্রাসের মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এবং গত জুলাই আন্দোলনে বিটিভি ভবনে গিয়ে মায়াকান্না করেছে।
ববি হাজ্জাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পানি-স্যানিটেশন খাতে টেকসই বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে
আসন্ন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্থানীয় সরকার ও পানি-স্যানিটেশন খাতে ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তারা এ দাবি জানান। উন্নয়ন সংস্থা ডর্প এ আয়োজন করে। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ‘হেলভেটাস বাংলাদেশ’।
ডর্প-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান, ব্যাংক সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর এবং ডর্প-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এ এইচ এম নোমান। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও অংশীজন আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদভিত্তিক জনপ্রতি বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা নিতে পারেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে বাজেট সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের বাস্তব চাহিদা বাজেটে প্রতিফলিত সম্ভব।
মূল প্রবন্ধে মাহফুজ কবীর দেশের পানি ও স্যানিটেশন খাতে সঠিক বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোতে বাজেট বাড়লেও গ্রামীণ এলাকায় সে তুলনায় বরাদ্দ আশানুরূপ নয়। এই বাজেট বৈষম্য দূর করে সমতাভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বাজেট নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোর জন্য পানি ও স্যানিটেশন অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত ও ন্যায্য বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।