ভারতীয় ক্রিকেটে হয়তো জাতীয় দলের হয়ে তার যাত্রা খুব বড় নয়, কিন্তু আইপিএলে হার্শাল প্যাটেল নামটাই যেন ধারাবাহিকতা ও নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি। বয়স ৩৪ হলেও গতকাল তিনি এমন এক রেকর্ড গড়লেন, যা তাকে জায়গা করে দিল আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের কাতারে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা এই ডানহাতি পেসার সোমবার (১৯ মে) লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ১৬তম ওভারে এইডেন মার্করামকে ফিরিয়ে পূর্ণ করলেন ১৫০ উইকেট। তবে বিশেষত্ব এখানে অন্য জায়গায়। তিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন মাত্র ‘২ হাজার ৩৮১ বল’ করেই। যা আইপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন বলের ব্যবধানে ১৫০ উইকেটের রেকর্ড।

এর আগে এই রেকর্ড ছিল লাসিথ মালিঙ্গার দখলে। যিনি ১৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ‘২ হাজার ৪৪৪ বল’ করে। আর যুজবেন্দ্র চাহালের লেগস্পিনে এই কৃতিত্ব আসে ‘২ হাজার ৫৪৩ বল’ পরে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তান-বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ, সব ম্যাচ লাহোরে

হায়দরাবাদের তাণ্ডবে লক্ষ্ণৌর স্বপ্নভঙ্গ

যদিও ইনিংসের হিসাবে এখনও সবার ওপরে রয়েছেন মালিঙ্গা। মাত্র ১০৫ ইনিংসেই ১৫০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। হার্শাল সেই সংখ্যায় পৌঁছেছেন ১১৪ ইনিংসে। আর চাহালের লেগেছে ১১৭ ইনিংস।

হার্শাল প্যাটেলের আইপিএল যাত্রা এক কথায় উজ্জ্বল। ২০২১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনি ৩২ উইকেট নিয়ে জিতেছিলেন পার্পল ক্যাপ। আর ২০২৪ সালে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে পেয়েছেন আরও ২৪ উইকেট, যা তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দিয়েছে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মর্যাদা।

সোমবারের ম্যাচে যদিও বল হাতে খুব বেশি উজ্জ্বল ছিলেন না। ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট নেন। তবুও এই পারফরম্যান্স তাকে আলাদা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৫০ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ দিন চেষ্টার পর ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

রাঙামাটি শহরের জেলা সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। পাঁচ দিনের চেষ্টার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফ্যাসিবাবিরোধী ছাত্র-জনতার সমন্বয়ক ইমাম হোসেন ইমু জানান, চার থেকে পাঁচ দিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়েছে। 

গত ১৩ মে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে রাঙামাটিতে এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে। তা না হলে শুক্রবার থেকে ছাত্র-জনতা নিজেরাই বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয ভাঙবে বলে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। 

গত শুক্রবার বিকেল থেকে ১০-১৫ জনের শ্রমিক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলতে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় শ্রমিকরা। পরে চট্টগ্রাম থেকে হ্যামার এক্সক্যাভেটর নিয়ে আসার পর ভাস্কর্যটি পুরোপুরি ভাঙার কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের দাঁড়ানো ভাস্কর্যটি বিকট শব্দে নিচে পড়ে যায়। ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। অনেকেই মোবাইল ফোনে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে নির্বাচন কার্যালয় সামনে ও সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পাশে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী খন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। আজকে (মঙ্গলবার) ওই এলাকায় (ভাস্কর্যস্থল) তিনি যাননি। 

একই ভাষ্য রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ উদ্দীনের। তিনি জানান, ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ