চলতি মাসের ২৪ তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সভা। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর এখানেই চূড়ান্ত হবে এশিয়া কাপের সূচি।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু শনিবার বিকেলে জানান, ‘আমরা ঢাকায় এসিসির নির্বাহী সভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। সভাটি হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। আশা করছি, সভায় (সদস্য দেশের) সবাই উপস্থিত থাকবেন।’

তবে ভারতের প্রতিনিধি এই সভায় অংশ নেবেন কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে মিঠু বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি আসবেন কি না, তা এখনই নিশ্চিত নয়। এটি তাদের বোর্ড ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা তাদের উপস্থিতির বিষয়ে আশাবাদী। যদিও না আসেন, ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ তাদের জন্য থাকছে।’

এই সভার সময় ঢাকাতেই চলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬ জুলাই সকালে ও রাতে দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছাবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে ১৭ জুলাই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। জানা গেছে, এই সিরিজ দেখতে এবং এসিসির সভায় অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন এসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

২০২৬ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের স্বত্ব ভারতের হাতে থাকলেও এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। এবারের এসিসি সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে, এ সভাতেই প্রকাশিত হবে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে টুর্নামেন্টে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসবেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন বিভাগের নার্সারিতে নিষিদ্ধ গাছের চারা

গত ১৫ মে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরও খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সারি সারি করে বেডে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আগ্রাসী আকাশমনির চারা। 

এ চিত্র দেখা গেছে নাটোরের লালপুর উপজেলা বন বিভাগের নার্সারিতে। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর জন্য ক্ষতি জেনেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভেতরে থাকা নার্সারিটিতে নিষিদ্ধ প্রজাতির গাছের চারা থাকলেও তা ধ্বংসের কোনো উদ্যোগ নেই। 

প্রশাসন বলছে, বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বন বিভাগ বলছে, গাছগুলো গত বছরের তৈরি। বর্তমানে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছগুলো কী করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি তারা। সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বন বিভাগের নার্সারিতে এ ধরনের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে অবশ্যই সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ রক্ষায় এ বিষয়ে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন পরিবেশকর্মী চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। 

সরেজমিন লালপুর উপজেলা বন বিভাগের সরকারি নার্সারি ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এ নার্সারিতে ১৬ হাজার বনজ, ফলদ ও ঔষধি জাতের চারা প্রস্তুত করা আছে। এর মধ্যে ৮৫০০টি রয়েছে আকাশমণি গাছের চারা। 

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আব্দুল্লা বলেন, ‘আকাশমণির চারা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তবে বিক্রয় বন্ধ আছে। এই গাছগুলো গত বছরের তৈরি। প্রতিটি গাছ ৯ টাকা করে দাম। এগুলো তো আমি চাইলেই ধ্বংস করতে পারি না। গাছগুলো কী করা হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত পাইনি। পেলেই ধ্বংস করা হবে।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘কোনো নার্সারিতে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি জাতের গাছের চারা পাওয়ায় গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় ধ্বংস করা হবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি গাছের চারা রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরে এই ধরনের গাছের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি নার্সারিতে এ গাছ বা চারা থাকলে তা ধ্বংসের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনে যাদের ভয়, তারাই নানা অজুহাতে পিছিয়ে দিতে চায়: আমীর খসরু
  • ভারত না এলেও ঢাকাতেই বসছে এসিসির সভা
  • ফেনীতে আরও গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগ
  • এমবাপ্পের ‘সুখের লাগি চাহি প্রেম’...
  • আরো ৭ দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
  • কিয়েভে আবারো ব্যাপক হামলা রাশিয়ার
  • এপ্রিলে বিয়ে, জুলাইয়ে বিচ্ছেদ?
  • দেশে এখনও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হয়নি: ফয়জুল করীম
  • বন বিভাগের নার্সারিতে নিষিদ্ধ গাছের চারা